টেকসই কৃষি উন্নয়নে কেঁচো কপ্লেস্টা by শেখ আনোয়ার
সিএমইএস বা বিজ্ঞান গণশিক্ষা কেন্দ্র পূর্ণ উদ্যমে কাজ করছে গ্রামাঞ্চলে। ব্যবহার করা যায় এমন প্রযুক্তি বা লাগসই প্রযুক্তি বিস্তারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সিএমইএস একটি গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে কোন ধরনের প্রযুুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব তা নিয়ে গবেষণা করছে এ প্রতিষ্ঠান। সিএমইএসের রয়েছে নিজস্ব গবেষণা বিভাগ। বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করা হয় এ বিভাগে। পরে গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে মানবকল্যাণে আধুনিক পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে গবেষণাগার থেকে মাঠ পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে বাস্তবায়ন ও প্রয়োগ ঘটানো হয়।
বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনসাধারণের সুবিধার্থে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা একুশটি আঞ্চলিক ইউনিটের মাধ্যমে শিক্ষা ও প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সিএমইএস। এগুলোর মধ্যে উলেল্গখযোগ্য বিষয় হচ্ছে_ পোলট্রি, চক, মোম, বল্গক, বাটিক টাইডাই, বলপয়েন্ট পেন, সাবান, খাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ, মাশরুম, কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট, কাপরাউন্টি্র, ফটোগ্রাফি, মৌচাষ, সৌর বিদ্যুৎ ইত্যাদি। পলল্গী অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত কিশোর-কিশোরীরা সিএমইএসের প্রযুক্তি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছে। সিএমইএসের একটি উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন হচ্ছে কেঁচো কমেঙ্াস্ট সার। পরিবেশ উন্নয়ন ও ভারসাম্য রক্ষা, মাটির উর্বরতা শক্তি সংরক্ষণ, টেকসই কৃষি উন্নয়নে সিএমইএসের নিজস্ব উদ্ভাবন কেঁচো সার ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
জৈব কৃষিকে জনপ্রিয় ও সহজসাধ্য করে তোলা এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে বিজ্ঞান গণশিক্ষা কেন্দ্র উদ্ভাবন করেছে পরিবেশবান্দব জৈব সার_ কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট। 'এমিনা ফোর্টিরনা' জাতের দেশী লাল রঙের কেঁচো গোবর, সবুজ ঘাস, কাঁচাপাতা, কচুরিপানা, চা পাতি, ধানের খড়, রান্নাঘরের উচ্ছেষ্ঠ খেয়ে যে মল ত্যাগ করে তাই-ই কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট। এই মল বা কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট গাছের জন্য প্রাকৃতিক খদ্যো। এ সারে ফলমূল, গাছপালা ও ফসলের ফলন বেশি হয়। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অল্ফ্ন খাবার, ট্রেস এলিমেন্ট, এনজাইম ও নাইট্রোজেন। যা গাছের প্রতিষেধক ক্ষমতা বাড়ায়। গাছের রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। জমির উর্বরতা ও পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ায় বলে সেচের প্রয়োজনও কম পড়ে। মাটির চঐ-এর মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে এই সার। সাধারণ রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে মাটির সামান্য নিচের স্তরে যে কঠিন স্তর পড়ে তা ভেঙে দেয় এই কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট। এতে ভূমির নিন্মস্তরে পানি সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, এই কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট সারের সঙ্গে ৩০ শতাংশ কোকুন থাকে বলে জমিতে প্রয়োগের পর অসংখ্য পূর্ণাঙ্গ কেঁচো জন্মায়। কেঁচোগুলো মাটিতে বায়ু চলাচলের সুযোগ করে দেয় বলে মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া এ সার ব্যবহারে জমিতে গুল্ম জাতীয় আগাছা জন্মায় এবং সেগুলো পরে মাটিতে জৈব সার তৈরি করে মালাচিংয়ের কাজ করে।
নিজেই তৈরি করুন কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট : কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট তৈরির জন্য ছায়াযুক্ত (২২০-২৭০ সে. তাপমাত্রা) পরিবেশ প্রয়োজন। বিশ ফুট দৈর্ঘ্য ও বার ফুট প্রশস্ত একটি কুঁড়েঘর তৈরি করে এতে পানি দিয়ে ভালো করে পিটিয়ে নিন। এরপর আঠার ফুট দৈর্ঘ্য ও দশ ফুট প্রশস্ত আয়তনের বেড় তৈরি করে চিকন গাছের ডাল বিছিয়ে তার ওপর চার-পাঁচ ফুট উঁচু করে ধানের খড়, গাছের শুকনা-কাঁচা পাতা, অন্যান্য আর্বজনা দিন। তারপর তিন-চার ইঞ্চি উঁচু করে পচা গোবর দিন। এবার প্রতি র্বগফুটে দশ-বারোটি সবল কেঁচো ছেড়ে দিয়ে ভেজা চট বা ছালা দিয়ে ঢেকে রাখুন। ব্যাস!
মাত্র বিশ থেকে ত্রিশ দিন পরেই দেখবেন চা পাতা গুড়ার মতো দানাদার কেঁচো মল। এগুলোই কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট। এবার কেঁচোগুলো সরিয়ে পলিথিনের ব্যাগে কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট ভরে ব্যাগের মুখ বন্দ করে দিন।
জৈব কৃষিকে জনপ্রিয় ও সহজসাধ্য করে তোলা এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে বিজ্ঞান গণশিক্ষা কেন্দ্র উদ্ভাবন করেছে পরিবেশবান্দব জৈব সার_ কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট। 'এমিনা ফোর্টিরনা' জাতের দেশী লাল রঙের কেঁচো গোবর, সবুজ ঘাস, কাঁচাপাতা, কচুরিপানা, চা পাতি, ধানের খড়, রান্নাঘরের উচ্ছেষ্ঠ খেয়ে যে মল ত্যাগ করে তাই-ই কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট। এই মল বা কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট গাছের জন্য প্রাকৃতিক খদ্যো। এ সারে ফলমূল, গাছপালা ও ফসলের ফলন বেশি হয়। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অল্ফ্ন খাবার, ট্রেস এলিমেন্ট, এনজাইম ও নাইট্রোজেন। যা গাছের প্রতিষেধক ক্ষমতা বাড়ায়। গাছের রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। জমির উর্বরতা ও পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ায় বলে সেচের প্রয়োজনও কম পড়ে। মাটির চঐ-এর মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে এই সার। সাধারণ রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে মাটির সামান্য নিচের স্তরে যে কঠিন স্তর পড়ে তা ভেঙে দেয় এই কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট। এতে ভূমির নিন্মস্তরে পানি সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, এই কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট সারের সঙ্গে ৩০ শতাংশ কোকুন থাকে বলে জমিতে প্রয়োগের পর অসংখ্য পূর্ণাঙ্গ কেঁচো জন্মায়। কেঁচোগুলো মাটিতে বায়ু চলাচলের সুযোগ করে দেয় বলে মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া এ সার ব্যবহারে জমিতে গুল্ম জাতীয় আগাছা জন্মায় এবং সেগুলো পরে মাটিতে জৈব সার তৈরি করে মালাচিংয়ের কাজ করে।
নিজেই তৈরি করুন কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট : কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট তৈরির জন্য ছায়াযুক্ত (২২০-২৭০ সে. তাপমাত্রা) পরিবেশ প্রয়োজন। বিশ ফুট দৈর্ঘ্য ও বার ফুট প্রশস্ত একটি কুঁড়েঘর তৈরি করে এতে পানি দিয়ে ভালো করে পিটিয়ে নিন। এরপর আঠার ফুট দৈর্ঘ্য ও দশ ফুট প্রশস্ত আয়তনের বেড় তৈরি করে চিকন গাছের ডাল বিছিয়ে তার ওপর চার-পাঁচ ফুট উঁচু করে ধানের খড়, গাছের শুকনা-কাঁচা পাতা, অন্যান্য আর্বজনা দিন। তারপর তিন-চার ইঞ্চি উঁচু করে পচা গোবর দিন। এবার প্রতি র্বগফুটে দশ-বারোটি সবল কেঁচো ছেড়ে দিয়ে ভেজা চট বা ছালা দিয়ে ঢেকে রাখুন। ব্যাস!
মাত্র বিশ থেকে ত্রিশ দিন পরেই দেখবেন চা পাতা গুড়ার মতো দানাদার কেঁচো মল। এগুলোই কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট। এবার কেঁচোগুলো সরিয়ে পলিথিনের ব্যাগে কেঁচো কল্ফেঙ্াস্ট ভরে ব্যাগের মুখ বন্দ করে দিন।
No comments