সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল ইসি
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশনের জন্য সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল রবিবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে আগে গৃহীত এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করার পক্ষে মত দেন নির্বাচন কমিশনাররা।গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কয়েকটি টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্র পক্ষপাত ও বিদ্বেষমূলক সংবাদ পরিবেশন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কমিশন এসব সংবাদমাধ্যমকে সতর্ক করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সে অনুযায়ী গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে একটি খসড়া সতর্কীকরণ পত্র প্রস্তুত করে কমিশনের বৈঠকে উপস্থাপন করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা অনুমোদন পায়নি।
এ বিষয়ে এম সাখাওয়াত হোসেন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সতর্ক করার আগেই সংবাদমাধ্যমগুলো সতর্ক হয়ে গেছে। বর্তমানে আগের মতো আর পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে না বলে আমাদের জানানো হয়েছে।'
আগের তিন পৌর এলাকায়ই ইভিএম ব্যবহার : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা গতকাল কমিশনের বৈঠকে তাঁদের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। নির্বাচন কমিশন ২৭টি ওয়ার্ডের মাত্র ৯টিতে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নির্বাচন কর্মকর্তারা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার বিলুপ্ত তিন পৌরসভার (নারায়ণগঞ্জ, কদম রসুল ও সিদ্ধিরগঞ্জ) একটি করে সংরক্ষিত (নারীদের) ওয়ার্ড বা তিনটি করে সাধারণ ওয়ার্ডে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তাব রেখেছেন। কমিশন আজ সোমবার আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠকে শেষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইভিএম এখনো প্রস্তুত নয় : গত জুলাই মাসেই নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য ৭০০ ইভিএম তৈরি করতে চুক্তি সম্পাদনের কাজটি বাকি রেখে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) ও বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স টেকনোলজি বিভাগকে ওয়ার্ক অর্ডার দেয়। সে সময় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ওয়ার্ক অর্ডার অনুসারে ১ অক্টোবরের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন নতুন ৭০০ ইভিএম পেতে যাচ্ছে। এ ছাড়া আগে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য তৈরি করা ৪০০ ইভিএম মজুদ রয়েছে।
কিন্তু গত বৃহস্পতিবার বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স টেকনোলজির পরিচালক ড. এস এম লুৎফুল কবির কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে কালের কণ্ঠের প্রশ্নের জবাবে জানান, ইভিএম তৈরির কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। চুক্তির বিষয়ে বলেন, এটি সম্পন্ন হওয়ার পথে।
গতকাল কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার স্ট্যাম্প না থাকায় চুক্তি স্বাক্ষরের কাজটি অসম্পন্ন ছিল। গতকাল এ বিষয়ে তিন কোটি ২৫ লাখ টাকার একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা করছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য যথাসময়েই প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইভিএম তৈরি করা সম্ভব হবে। তা ছাড়া কমিশনের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুসারে এ নির্বাচনে ইভিএমের প্রয়োজন হবে মোট ৬০০টি। নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে ৪৫০টির মতো আর দেড় শ রিজার্ভ থাকবে। অর্থাৎ আগের ৪০০-র সঙ্গে নতুন মাত্র ২০০ ইভিএম যোগ করেই এ নির্বাচন পার করা যাবে।
সিসি টিভি ব্যবহার হবে ২০ কেন্দ্রে : নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আগে ২৫টি ভোটকেন্দ্রে সিসি টিভি ব্যবহারের কথা জানানো হলেও গতকালের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মোট ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র জানায়, প্রভাবশালী প্রার্থীদের নিজ ভোটকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রগুলোতেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দলগুলোর হৈচৈয়ে বিব্রত ইসি : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোতে যে হৈচৈ চলছে তাতে নির্বাচন কমিশন বিব্রত বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন। এতে নির্দলীয় নির্বাচনের চরিত্র বদলে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গতকাল ইসি সচিবালয়ে এ নির্বাচন নিয়ে জরুরি বৈঠক শেষে ছহুল হোসাইন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, 'দলগুলো প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে যেভাবে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বৈঠক করছে, তাতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে। কারণ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের সুযোগ নেই।' ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক সম্পর্কে তিনি বলেন, 'এ মিটিং নারায়ণগঞ্জে না হয়ে ঢাকায় কেন্দ্রীয় অফিসে হওয়ায় কমিশনের কিছু করার নেই। তবে এতে নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।'
এ বিষয়ে এম সাখাওয়াত হোসেন গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সতর্ক করার আগেই সংবাদমাধ্যমগুলো সতর্ক হয়ে গেছে। বর্তমানে আগের মতো আর পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে না বলে আমাদের জানানো হয়েছে।'
আগের তিন পৌর এলাকায়ই ইভিএম ব্যবহার : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা গতকাল কমিশনের বৈঠকে তাঁদের প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। নির্বাচন কমিশন ২৭টি ওয়ার্ডের মাত্র ৯টিতে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নির্বাচন কর্মকর্তারা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার বিলুপ্ত তিন পৌরসভার (নারায়ণগঞ্জ, কদম রসুল ও সিদ্ধিরগঞ্জ) একটি করে সংরক্ষিত (নারীদের) ওয়ার্ড বা তিনটি করে সাধারণ ওয়ার্ডে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তাব রেখেছেন। কমিশন আজ সোমবার আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠকে শেষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইভিএম এখনো প্রস্তুত নয় : গত জুলাই মাসেই নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য ৭০০ ইভিএম তৈরি করতে চুক্তি সম্পাদনের কাজটি বাকি রেখে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) ও বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স টেকনোলজি বিভাগকে ওয়ার্ক অর্ডার দেয়। সে সময় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ওয়ার্ক অর্ডার অনুসারে ১ অক্টোবরের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন নতুন ৭০০ ইভিএম পেতে যাচ্ছে। এ ছাড়া আগে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য তৈরি করা ৪০০ ইভিএম মজুদ রয়েছে।
কিন্তু গত বৃহস্পতিবার বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স টেকনোলজির পরিচালক ড. এস এম লুৎফুল কবির কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে কালের কণ্ঠের প্রশ্নের জবাবে জানান, ইভিএম তৈরির কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। চুক্তির বিষয়ে বলেন, এটি সম্পন্ন হওয়ার পথে।
গতকাল কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার স্ট্যাম্প না থাকায় চুক্তি স্বাক্ষরের কাজটি অসম্পন্ন ছিল। গতকাল এ বিষয়ে তিন কোটি ২৫ লাখ টাকার একটি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশা করছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য যথাসময়েই প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইভিএম তৈরি করা সম্ভব হবে। তা ছাড়া কমিশনের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুসারে এ নির্বাচনে ইভিএমের প্রয়োজন হবে মোট ৬০০টি। নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে ৪৫০টির মতো আর দেড় শ রিজার্ভ থাকবে। অর্থাৎ আগের ৪০০-র সঙ্গে নতুন মাত্র ২০০ ইভিএম যোগ করেই এ নির্বাচন পার করা যাবে।
সিসি টিভি ব্যবহার হবে ২০ কেন্দ্রে : নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আগে ২৫টি ভোটকেন্দ্রে সিসি টিভি ব্যবহারের কথা জানানো হলেও গতকালের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মোট ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র জানায়, প্রভাবশালী প্রার্থীদের নিজ ভোটকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত কেন্দ্রগুলোতেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দলগুলোর হৈচৈয়ে বিব্রত ইসি : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোতে যে হৈচৈ চলছে তাতে নির্বাচন কমিশন বিব্রত বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন। এতে নির্দলীয় নির্বাচনের চরিত্র বদলে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গতকাল ইসি সচিবালয়ে এ নির্বাচন নিয়ে জরুরি বৈঠক শেষে ছহুল হোসাইন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, 'দলগুলো প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে যেভাবে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বৈঠক করছে, তাতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে। কারণ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের সুযোগ নেই।' ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক সম্পর্কে তিনি বলেন, 'এ মিটিং নারায়ণগঞ্জে না হয়ে ঢাকায় কেন্দ্রীয় অফিসে হওয়ায় কমিশনের কিছু করার নেই। তবে এতে নির্বাচনের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।'
No comments