একজনকে মেয়র, অন্যজনকে প্রতিমন্ত্রী করার ফর্মুলা আওয়ামী লীগের by পাভেল হায়দার চৌধুরী
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে একজনকে দলীয় সমর্থন দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করা এবং অন্যজনকে প্রতিমন্ত্রী ও দলের জেলা সভাপতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব। আজ সোমবার সকালে দলের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীকে দেওয়া হবে বলে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে।গতকাল রবিবার রাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীকে নিয়ে সাজেদা চৌধুরীসহ দলের তিন কেন্দ্রীয় নেতা বৈঠক করেন। তবে দু'জনই তাঁদের অবস্থানে অনড় থাকায় কোনো সমঝোতায় আসা সম্ভব হয়নি।
সে কারণে বিষয়টি রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় তোলা হয়। এ বৈঠকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ দুই প্রার্থীর মনোভাব তুলে ধরেন দলের প্রধান শেখ হাসিনার কাছে। তাঁর কাছে দুই প্রার্থীর বিষয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মী, সাধারণ ভোটার ও কেন্দ্রীয় নেতাদের পর্যালোচনাও তুলে ধরা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আবুল মাল আবদুল মুহিতও উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে নির্দিষ্ট একজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে,
তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাঁকে প্রতিমন্ত্রী ও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হবে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে আওয়ামী লীগ। শামীম ওসমান ও ডা. সেলিনা হায়াত আইভী দুজনই অনড় থাকায় সমঝোতার প্রয়াস ব্যর্থ হচ্ছে বারবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে একবার দুজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সম্পাদকমণ্ডলীর কয়েকজন নেতা বলেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনের বিষয়টি আওয়ামী লীগের জন্য জটিলতার সৃষ্টি করেছে। এ ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। বারবার চেষ্টা করেও প্রার্থীদের মধ্যে সমঝোতা নিশ্চিত করতে না পারায় উদ্বিগ্ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
জানা গেছে, সাজেদা চৌধুরীর গুলশানের বাসায় গতকাল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াত আইভীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় এই তিন নেতার আলাদা বৈঠক হয়। বৈঠকে দুজনই তাঁদের অনড় অবস্থানের কথা জানিয়েছেন দলীয় হাইকমান্ডের কাছে। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার গ্যারান্টিও দিয়েছেন উভয়েই। এলাকার জনগণ তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন দাবি করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন উভয় প্রার্থী। দুই প্রার্থীই দলীয় সমর্থন দাবি করে বলেছেন, সমর্থন পেলে তাঁর বিজয় নিশ্চিত। জবাবে সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, দল তো একজনকে সমর্থন দিতে পারে, দুজনকে সমর্থন দিতে পারবে না। দুজনকে সমঝোতায় আসতে হবে। একজনকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হবে।
ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে আনুষ্ঠানিভাবে জানানো হলেও বৈঠক হয় সাজেদা চৌধুরীর বাসভবনে। প্রথমে শামীম ওসমানের সঙ্গে এবং পরে সেলিনা হায়াত আইভীর সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের তিন নেতা। বৈঠক করে শামীম ওসমান দুপুর পৌনে ১২টায় এবং আইভী দুপুর পৌনে ১টায় বের হয়ে আসেন।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবারের মধ্যে তাঁদের সমর্থিত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, দুই প্রার্থীর মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই তাঁরা সমর্থন দেবেন।
এদিকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, শামীম-আইভী উভয় প্রার্থীর সঙ্গে তাঁরা দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন। প্রার্থীদের এলাকায় জনমতের অবস্থা ও তাঁদের নির্বাচনী কৌশল সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাঁরা দলীয়ভাবে প্রার্থীদের এলাকায় অবস্থা কী তা খোঁজ নিচ্ছেন। তিনি বলেন, সরকারি দল হিসেবে তাঁরা কোনো প্রার্থীর প্রতি সমর্থন দিতে পারেন কি না, এটা নির্বাচনী বিধিবিধানবিরোধী কি না তা-ও দেখছেন। এ ব্যাপারে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
হানিফ বলেন, দুই প্রার্থীর বিষয়ে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মতামতও নিয়েছেন তাঁরা। দুজনের পক্ষে নেতা-কর্মীদের সমর্থন রয়েছে। দুজনই অত্যন্ত জনপ্রিয়। যেহেতু এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন, তাই কাউকে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া যাবে না। সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রেও আচরণবিধি অনুসরণ করা হবে। ১২ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। তার আগের দিনই এর সুরাহা করা হবে। এর মধ্যে স্থানীয় জনমতের ব্যাপারেও আরো খোঁজখবর নেওয়া হবে এবং পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হবে।
গত ২ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী দুই পরিবারের সদস্য শামীম ওসমান ও আইভীকে নিয়ে গণভবনে বসেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সেদিন কোনো সমঝোতা হয়নি। শনিবারও এ বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
নির্বাচনী তফশিল অনুযায়ী ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে নির্দিষ্ট একজনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে,
তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাঁকে প্রতিমন্ত্রী ও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হবে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে আওয়ামী লীগ। শামীম ওসমান ও ডা. সেলিনা হায়াত আইভী দুজনই অনড় থাকায় সমঝোতার প্রয়াস ব্যর্থ হচ্ছে বারবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে একবার দুজনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সম্পাদকমণ্ডলীর কয়েকজন নেতা বলেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনের বিষয়টি আওয়ামী লীগের জন্য জটিলতার সৃষ্টি করেছে। এ ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। বারবার চেষ্টা করেও প্রার্থীদের মধ্যে সমঝোতা নিশ্চিত করতে না পারায় উদ্বিগ্ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
জানা গেছে, সাজেদা চৌধুরীর গুলশানের বাসায় গতকাল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াত আইভীর সঙ্গে কেন্দ্রীয় এই তিন নেতার আলাদা বৈঠক হয়। বৈঠকে দুজনই তাঁদের অনড় অবস্থানের কথা জানিয়েছেন দলীয় হাইকমান্ডের কাছে। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার গ্যারান্টিও দিয়েছেন উভয়েই। এলাকার জনগণ তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন দাবি করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন উভয় প্রার্থী। দুই প্রার্থীই দলীয় সমর্থন দাবি করে বলেছেন, সমর্থন পেলে তাঁর বিজয় নিশ্চিত। জবাবে সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, দল তো একজনকে সমর্থন দিতে পারে, দুজনকে সমর্থন দিতে পারবে না। দুজনকে সমঝোতায় আসতে হবে। একজনকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হবে।
ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে আনুষ্ঠানিভাবে জানানো হলেও বৈঠক হয় সাজেদা চৌধুরীর বাসভবনে। প্রথমে শামীম ওসমানের সঙ্গে এবং পরে সেলিনা হায়াত আইভীর সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের তিন নেতা। বৈঠক করে শামীম ওসমান দুপুর পৌনে ১২টায় এবং আইভী দুপুর পৌনে ১টায় বের হয়ে আসেন।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবারের মধ্যে তাঁদের সমর্থিত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, দুই প্রার্থীর মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই তাঁরা সমর্থন দেবেন।
এদিকে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের বলেন, শামীম-আইভী উভয় প্রার্থীর সঙ্গে তাঁরা দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন। প্রার্থীদের এলাকায় জনমতের অবস্থা ও তাঁদের নির্বাচনী কৌশল সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তাঁরা দলীয়ভাবে প্রার্থীদের এলাকায় অবস্থা কী তা খোঁজ নিচ্ছেন। তিনি বলেন, সরকারি দল হিসেবে তাঁরা কোনো প্রার্থীর প্রতি সমর্থন দিতে পারেন কি না, এটা নির্বাচনী বিধিবিধানবিরোধী কি না তা-ও দেখছেন। এ ব্যাপারে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
হানিফ বলেন, দুই প্রার্থীর বিষয়ে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মতামতও নিয়েছেন তাঁরা। দুজনের পক্ষে নেতা-কর্মীদের সমর্থন রয়েছে। দুজনই অত্যন্ত জনপ্রিয়। যেহেতু এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন, তাই কাউকে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া যাবে না। সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রেও আচরণবিধি অনুসরণ করা হবে। ১২ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। তার আগের দিনই এর সুরাহা করা হবে। এর মধ্যে স্থানীয় জনমতের ব্যাপারেও আরো খোঁজখবর নেওয়া হবে এবং পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা হবে।
গত ২ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী দুই পরিবারের সদস্য শামীম ওসমান ও আইভীকে নিয়ে গণভবনে বসেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সেদিন কোনো সমঝোতা হয়নি। শনিবারও এ বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
নির্বাচনী তফশিল অনুযায়ী ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে।
No comments