'নাদাল-বৃত্ত' ভেঙে শিরোপা জয় মারের
এ বছর টানা তিনটি গ্র্যান্ড স্লামের সেমিফাইনালে অ্যান্ডি মারেকে হারিয়েছেন রাফায়েল নাদাল! দুজনের শেষ পাঁচ দেখায় প্রতিটিতেই জিতেছেন এই স্প্যানিয়ার্ডই। গতকাল জাপান ওপেনের ফাইনালেও প্রথম সেটটা জিতে নিয়েছিলেন ৬-৩ গেমে। সে সময় মনে হচ্ছিল মারের ঘাড় থেকে হয়তো 'নাদাল-ভূত' সহজে নামার নয়। তবে এর পরই মারের প্রতিরোধ। বুলেট সার্ভ, দুর্দান্ত রিটার্ন আর অসাধারণ কোর্ট কাভারিংয়ে এই ব্রিটিশ ম্যাচটা জিতে নেন ৩-৬, ৬-২, ৬-০ গেমে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে এ নিয়ে দ্বিতীয় শিরোপা জিতলেন মারে।
এশিয়া সফরে গত সপ্তাহে তিনি জিতেছিলেন থাইল্যান্ড ওপেন। এরপর সাংহাই মাস্টার্স জিততে পারলে রজার ফেদেরারকে পেছনে ফেলে পেয়ে যেতে পারেন র্যাংকিংয়ের তৃতীয় স্থানটাও। তবে আপাতত নাদালের বিপক্ষে টানা পাঁচ ম্যাচের হারের বৃত্তটা ভাঙতে পেরে খুশি তিনি, 'অবশেষে হারালাম নাদালকে! অসাধারণ খেলোয়াড় ও। ফাইনালেও জিতে নিয়েছিল প্রথম সেটটা। পরের দুটো সেটে যেভাবে ফিরে এসেছি, তাতে সন্তুষ্ট আমি। এই ম্যাচের তৃতীয় সেটটা ওর বিপক্ষে আমার ক্যারিয়ার-সেরা।'
খুশি তো হবেনই। সর্বশেষ নাদালকে যে মারে হারাতে পেরেছিলেন গত বছরের আগস্টে। দুজনের ১৮ বারের দেখায় ১৩ জয় নিয়ে এখনো অবশ্য অনেক এগিয়ে নাদাল। গতকাল জিততে পারলে ব্যবধানটা আরো বাড়িয়ে নেওয়ার পাশাপাশি নাম লেখাতে পারতেন পিট সাম্প্রাসের পাশেও। জাপান ওপেনে সর্বশেষ ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে পরপর দুবার শিরোপা জিতেছিলেন ১৪ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী সাম্প্রাস। গতবারের চ্যাম্পিয়ন বলে এবার সে সুযোগ ছিল নাদালের সামনে। সেটা না হওয়ায় নাদালের হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক, 'প্রথম সেটে ছন্দেই ছিলাম আমি। কিন্তু এরপর কী থেকে যে কী হয়ে গেল! বেশি হতাশ হয়েছি তৃতীয় সেটে কোনো গেম জিততে না পেরে। সর্বশেষ কবে এমন হয়েছিল মনে করতে পারছি না এ মুহূর্তে।'
কোনো গেম না জেতার পাশাপাশি তৃতীয় সেটে সেভাবে প্রতিরোধও গড়তে পারেননি নাদাল। যে কারণে সেটটা মারে জিতে নেন মাত্র ২৯ মিনিটে। এ বছর নিয়ে চতুর্থ শিরোপা জিতলেন র্যাংকিংয়ে ৪ নম্বরে থাকা এই তারকা। জাপানের আগে শিরোপা ঘরে তুলেছেন থাইল্যান্ড, সিনসিনাটি ও কুইন্স ক্লাব ওপেনের। সব মিলিয়ে কোনো গ্র্যান্ড স্লাম না জেতা মারের এটা ২০তম এটিপি শিরোপা। বিপরীতে নাদাল এ বছর ১০টি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলে হারলেন ৭টিতেই। যার ৬টিই আবার বর্তমান নাম্বার ওয়ান নোভাক জোকোভিচের বিপক্ষে। সাংহাই মাস্টার্সে অবশ্য খেলছেন না জোকোভিচ। নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রজার ফেদেরারও। তাই ফাইনালে পেঁৗছালে মারের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ পাবেন ১০ গ্র্যান্ড স্লাম জেতা এই তারকা। ওয়েবসাইট
খুশি তো হবেনই। সর্বশেষ নাদালকে যে মারে হারাতে পেরেছিলেন গত বছরের আগস্টে। দুজনের ১৮ বারের দেখায় ১৩ জয় নিয়ে এখনো অবশ্য অনেক এগিয়ে নাদাল। গতকাল জিততে পারলে ব্যবধানটা আরো বাড়িয়ে নেওয়ার পাশাপাশি নাম লেখাতে পারতেন পিট সাম্প্রাসের পাশেও। জাপান ওপেনে সর্বশেষ ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে পরপর দুবার শিরোপা জিতেছিলেন ১৪ গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী সাম্প্রাস। গতবারের চ্যাম্পিয়ন বলে এবার সে সুযোগ ছিল নাদালের সামনে। সেটা না হওয়ায় নাদালের হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক, 'প্রথম সেটে ছন্দেই ছিলাম আমি। কিন্তু এরপর কী থেকে যে কী হয়ে গেল! বেশি হতাশ হয়েছি তৃতীয় সেটে কোনো গেম জিততে না পেরে। সর্বশেষ কবে এমন হয়েছিল মনে করতে পারছি না এ মুহূর্তে।'
কোনো গেম না জেতার পাশাপাশি তৃতীয় সেটে সেভাবে প্রতিরোধও গড়তে পারেননি নাদাল। যে কারণে সেটটা মারে জিতে নেন মাত্র ২৯ মিনিটে। এ বছর নিয়ে চতুর্থ শিরোপা জিতলেন র্যাংকিংয়ে ৪ নম্বরে থাকা এই তারকা। জাপানের আগে শিরোপা ঘরে তুলেছেন থাইল্যান্ড, সিনসিনাটি ও কুইন্স ক্লাব ওপেনের। সব মিলিয়ে কোনো গ্র্যান্ড স্লাম না জেতা মারের এটা ২০তম এটিপি শিরোপা। বিপরীতে নাদাল এ বছর ১০টি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলে হারলেন ৭টিতেই। যার ৬টিই আবার বর্তমান নাম্বার ওয়ান নোভাক জোকোভিচের বিপক্ষে। সাংহাই মাস্টার্সে অবশ্য খেলছেন না জোকোভিচ। নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রজার ফেদেরারও। তাই ফাইনালে পেঁৗছালে মারের বিপক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ পাবেন ১০ গ্র্যান্ড স্লাম জেতা এই তারকা। ওয়েবসাইট
No comments