'কয়েক দিনের' মধ্যেই ক্ষমতা ছাড়বেন সালেহ
ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। চলমান সংকট নিরসনে বিক্ষোকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথাও জানিয়েছেন তিনি। গত শনিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি এ কথা জানান। তবে সালেহ্র ক্ষমতা ছাড়ার ঘোষণার ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছে বিরোধীরা। সৌদি আরবে চিকিৎসা শেষে গত সেপ্টেম্বরে সালেহ হঠাৎ দেশে ফেরেন। এরপর এটাই তাঁর প্রথম ভাষণ। ভাষণে তিনি বলেন, 'আমি ক্ষমতালোভী নই। ক্ষমতা আঁকড়ে থাকব না। কয়েক দিনের মধ্যেই ক্ষমতা ছাড়ব।' তবে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানাননি তিনি।
সালেহ্র পদত্যাগের দাবিতে গত ৯ মাস ধরে ইয়েমেনে বিক্ষোভ চলছে। সালেহ বলেন, 'তাদের (বিক্ষোভকারীদের) দেশ ধ্বংস করতে দেওয়া যাবে না। এটা অসম্ভব।' দেশ পরিচালনায় সক্ষম কারো হাতেই ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। তবে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের মধ্যস্থতা ছাড়া হবে কি না, সে ব্যাপারে তিনি কিছুই বলেননি। ইয়েমেনের উপ-তথ্যমন্ত্রী আবু আল-জানাদি আল-জাজিরাকে জানান, 'কয়েক দিন' শব্দটির অর্থ_কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ। বিরোধী দল এবং বিক্ষোভকারীরা কোনো সমঝোতায় না পেঁৗছা পর্যন্ত তিনি (সালেহ) ক্ষমতায় থাকবেন।
সালেহ এর আগে কয়েকবার ক্ষমতা ছাড়ার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা সত্য হয়নি। তাই বিরোধীরা তাঁর কথার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। পরিবারের কারো হাতেই তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন বলে মনে করছে বিরোধীরা। এ ব্যাপারে সালেহ বলেন, 'প্রেসিডেন্টের কয়টি ছেলে আছে? পরিবারে সদস্য সংখ্যা কি অনেক বেশি? আমার ভাই ও নাতি-নাতনির সংখ্যা কি অনেক বেশি? আর তাদের কতজনই বা ক্ষমতায় আছে?' সালেহ্র পদত্যাগের দাবিতে গত ৯ মাস ধরে রাজধানী সানার চেইঞ্জ স্কয়ারে ঘাঁটি গেড়ে আছে বিক্ষোভকারীরা। তাদেরই একজন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী তাওয়াক্কুল কারমান। তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, 'আমরা তাঁর (সালেহ) কথা বিশ্বাস করি না। আগে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। বিপ্লবীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।' সালেহ ক্ষমতা না ছাড়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি। ইব্রাহিম মোহাম্মদ আল-সায়েদি নামের আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, 'আমি ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াব, ক্ষমতা ছেড়ে দেব_এটা সেই পুরনো কথা। ক্ষমতা ছাড়ার কথা বললেও তিনি শেষ পর্যন্ত ছাড়েন না।' মোহাম্মদ আল সাবরি নামের আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, 'জনগণ তাঁকে চায় না_এটা যদি সালেহ বুঝতে পারেন, তাহলে আর কালক্ষেপণ না করে আজই তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।' সূত্র : বিবিসি।
সালেহ এর আগে কয়েকবার ক্ষমতা ছাড়ার ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা সত্য হয়নি। তাই বিরোধীরা তাঁর কথার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। পরিবারের কারো হাতেই তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন বলে মনে করছে বিরোধীরা। এ ব্যাপারে সালেহ বলেন, 'প্রেসিডেন্টের কয়টি ছেলে আছে? পরিবারে সদস্য সংখ্যা কি অনেক বেশি? আমার ভাই ও নাতি-নাতনির সংখ্যা কি অনেক বেশি? আর তাদের কতজনই বা ক্ষমতায় আছে?' সালেহ্র পদত্যাগের দাবিতে গত ৯ মাস ধরে রাজধানী সানার চেইঞ্জ স্কয়ারে ঘাঁটি গেড়ে আছে বিক্ষোভকারীরা। তাদেরই একজন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী তাওয়াক্কুল কারমান। তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, 'আমরা তাঁর (সালেহ) কথা বিশ্বাস করি না। আগে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। বিপ্লবীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।' সালেহ ক্ষমতা না ছাড়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি। ইব্রাহিম মোহাম্মদ আল-সায়েদি নামের আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, 'আমি ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াব, ক্ষমতা ছেড়ে দেব_এটা সেই পুরনো কথা। ক্ষমতা ছাড়ার কথা বললেও তিনি শেষ পর্যন্ত ছাড়েন না।' মোহাম্মদ আল সাবরি নামের আরেক বিক্ষোভকারী বলেন, 'জনগণ তাঁকে চায় না_এটা যদি সালেহ বুঝতে পারেন, তাহলে আর কালক্ষেপণ না করে আজই তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।' সূত্র : বিবিসি।
No comments