গোল ছিল যাঁর রক্তে
ভাগ্যিস, শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা পাল্টে ফেলেছিলেন তাঁর বাবা। ফেলেছিলেন বলে আজ ৫৬ বছর পেরিয়ে এসেও রেকর্ডের পাতায় জ্বলজ্বলে তাঁর নাম। এখনো স্প্যানিশ লিগের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনিই। নিশ্চিতভাবেই রেকর্ডের সেই রাজত্বটা আরও অনেক দিন অটুট থাকবে টেলমো জারার। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের হয়ে করেছিলেন ২৫২ গোল। এখনকার সক্রিয় খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোল ডেভিড ভিয়ার। সেটি মাত্র ১৫৮। জারার রেকর্ডটা আদৌ ভাঙবে তো!
অবশ্য স্প্যানিশ লিগে সর্বোচ্চ গোলের এই রেকর্ডটি নয়; জারা আলোচনায় এসেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সৌজন্যে। রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ এই উইঙ্গার এক মৌসুমে ৩৮ গোল করলেন। রোনালদোর আগে এই কীর্তি ছিল রিয়ালেরই হুগো সানচেজ আর বিলবাওয়ের জারার। যে ফর্মে আছেন, লিগের শেষ ম্যাচে রোনালদো হয়তো রেকর্ডটা একার করে নেবেন। কিন্তু তার পরও এক জায়গায় রোনালদো-সানচেজ দুজনের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন ২০০৬ সালে ৮৫ বছর বয়সে ওপারে চলে যাওয়া জারা। সানচেজ-রোনালদোর সময় লিগে ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৮। ১৯৫০-৫১ মৌসুমে জারা যখন রেকর্ডটি করেছিলেন, তখন ছিল ৩০।
রোনালদো অবশ্য এবার এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৩৩ ম্যাচ, ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে সানচেজ খেলেছিলেন ৩৫টি। গোলগড়েও তাই এগিয়ে জারা। গড়ে প্রতি ম্যাচে ১.২৬৭টি গোল স্প্যানিশ লিগের রেকর্ডও। বিলবাওয়ের হয়ে যে ১৫ বছর (১৯৪০-৫৫) খেলেছেন, তাতেই পিচিচি ট্রফিটা জিতেছেন ছয়বার। জারার গোল করার অবিশ্বাস্য দক্ষতা বোঝা যাবে এই রেকর্ড থেকেও—স্পেনের হয়ে ২০ ম্যাচে করেছেন ২০ গোল! এর মধ্যে ১৯৫১ সালে সুইজারল্যান্ডকে ৬-৩ গোলে হারানো সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে একাই করেছিলেন চার গোল। ১৯৫০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়সূচক একমাত্র গোলটিও করেছিলেন তিনি। সেই গোলেই স্পেন উঠে গিয়েছিল সেরা চারে। এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগ পর্যন্ত যেটি ছিল বিশ্বকাপে স্পেনের সেরা অর্জন।
এমন এক প্রতিভাকে কিনা তাঁর বাবা ফুটবলই খেলতে দিতে রাজি হননি! বাবার যুক্তিটাও ছিল অদ্ভুত। জারার বড় দুই ভাই ছিলেন ফুটবলার। সবচেয়ে বড়জন, টমাস প্রথম বিভাগেও খেলেছেন। দ্বিতীয়জন ডমিঙ্গো স্পেনের গৃহযুদ্ধে নিহত না হলে হয়তো নাম কামাতেন। সে যা-ই হোক, বাবার যুক্তি ছিল, ‘বড় দুই ভাই খেলছে, সেটাই যথেষ্ট। তোমার আর ফুটবল খেলে কাজ নেই, বাপু।’
বাবার অবাধ্য হয়েছিলেন জারা। শৈশবের সতীর্থদের কাছে ‘ভয়ানক টেলিমো’ নাম পেয়ে যাওয়া জারা ১৮ বছর বয়সে শুরু করেছিলেন পেশাদার ফুটবল। মাত্র এক বছরই খেলেছেন এরান্দিওতে। এর পরই চলে আসেন বিলবাওতে। তাঁর সময়ে স্বর্ণযুগ কাটিয়েছে ক্লাবটি। একবার লিগ আর পাঁচবার কোপা ডেল রে জিতেছেন।
১৯৫৭ সালে অবসর নেন। এর পরও টুকটাক খেলে গেছেন, যে ফুটবলের মূল উদ্দেশ্য ছিল টাকা তুলে গরিবদের মধ্যে দেওয়া। ফুটবলের রবিনহুড ছিলেন জারা। গোলের রেকর্ডের মতো বিশাল হূদয়ও যে ছিল তাঁর।
অবশ্য স্প্যানিশ লিগে সর্বোচ্চ গোলের এই রেকর্ডটি নয়; জারা আলোচনায় এসেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সৌজন্যে। রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ এই উইঙ্গার এক মৌসুমে ৩৮ গোল করলেন। রোনালদোর আগে এই কীর্তি ছিল রিয়ালেরই হুগো সানচেজ আর বিলবাওয়ের জারার। যে ফর্মে আছেন, লিগের শেষ ম্যাচে রোনালদো হয়তো রেকর্ডটা একার করে নেবেন। কিন্তু তার পরও এক জায়গায় রোনালদো-সানচেজ দুজনের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন ২০০৬ সালে ৮৫ বছর বয়সে ওপারে চলে যাওয়া জারা। সানচেজ-রোনালদোর সময় লিগে ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৮। ১৯৫০-৫১ মৌসুমে জারা যখন রেকর্ডটি করেছিলেন, তখন ছিল ৩০।
রোনালদো অবশ্য এবার এখন পর্যন্ত খেলেছেন ৩৩ ম্যাচ, ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে সানচেজ খেলেছিলেন ৩৫টি। গোলগড়েও তাই এগিয়ে জারা। গড়ে প্রতি ম্যাচে ১.২৬৭টি গোল স্প্যানিশ লিগের রেকর্ডও। বিলবাওয়ের হয়ে যে ১৫ বছর (১৯৪০-৫৫) খেলেছেন, তাতেই পিচিচি ট্রফিটা জিতেছেন ছয়বার। জারার গোল করার অবিশ্বাস্য দক্ষতা বোঝা যাবে এই রেকর্ড থেকেও—স্পেনের হয়ে ২০ ম্যাচে করেছেন ২০ গোল! এর মধ্যে ১৯৫১ সালে সুইজারল্যান্ডকে ৬-৩ গোলে হারানো সেই ঐতিহাসিক ম্যাচে একাই করেছিলেন চার গোল। ১৯৫০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়সূচক একমাত্র গোলটিও করেছিলেন তিনি। সেই গোলেই স্পেন উঠে গিয়েছিল সেরা চারে। এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আগ পর্যন্ত যেটি ছিল বিশ্বকাপে স্পেনের সেরা অর্জন।
এমন এক প্রতিভাকে কিনা তাঁর বাবা ফুটবলই খেলতে দিতে রাজি হননি! বাবার যুক্তিটাও ছিল অদ্ভুত। জারার বড় দুই ভাই ছিলেন ফুটবলার। সবচেয়ে বড়জন, টমাস প্রথম বিভাগেও খেলেছেন। দ্বিতীয়জন ডমিঙ্গো স্পেনের গৃহযুদ্ধে নিহত না হলে হয়তো নাম কামাতেন। সে যা-ই হোক, বাবার যুক্তি ছিল, ‘বড় দুই ভাই খেলছে, সেটাই যথেষ্ট। তোমার আর ফুটবল খেলে কাজ নেই, বাপু।’
বাবার অবাধ্য হয়েছিলেন জারা। শৈশবের সতীর্থদের কাছে ‘ভয়ানক টেলিমো’ নাম পেয়ে যাওয়া জারা ১৮ বছর বয়সে শুরু করেছিলেন পেশাদার ফুটবল। মাত্র এক বছরই খেলেছেন এরান্দিওতে। এর পরই চলে আসেন বিলবাওতে। তাঁর সময়ে স্বর্ণযুগ কাটিয়েছে ক্লাবটি। একবার লিগ আর পাঁচবার কোপা ডেল রে জিতেছেন।
১৯৫৭ সালে অবসর নেন। এর পরও টুকটাক খেলে গেছেন, যে ফুটবলের মূল উদ্দেশ্য ছিল টাকা তুলে গরিবদের মধ্যে দেওয়া। ফুটবলের রবিনহুড ছিলেন জারা। গোলের রেকর্ডের মতো বিশাল হূদয়ও যে ছিল তাঁর।
No comments