ভালো ঝামেলায়ই পড়েছেন ওয়ার্ন
‘ঘরের’ মাঠে শেষ ম্যাচটা মনে রাখার মতো হয়নি। জয়পুরে শেন ওয়ার্নের শেষ আইপিএল ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালস উড়ে গেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে। তবে ওই ম্যাচের পর থেকে এ পর্যন্ত যা হলো, তাতে ওয়ার্ন চাইলেও মনে হয় ভুলতে পারবেন না। যেটাকে মনে হচ্ছিল মামুলি এক ব্যাপার, সেটাই তিল থেকে মোটামুটি তাল হওয়ার উপক্রম। গত কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহের পর শেষ পর্যন্ত কাল মুম্বাইয়ে বিসিসিআইয়ের শুনানিতে হাজির হতে হলো ওয়ার্নকে।
বিসিসিআই কাল শুনানিতে ডেকেছিল সঞ্জয় দীক্ষিতকেও। ওয়ার্নের সঙ্গে ঝামেলা বা বিতর্ক যা-ই বলেন, সেটা এই দীক্ষিতের সঙ্গেই। দীক্ষিত রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (আরসিএ) সাম্মানিক সচিব ও রাজস্থান সরকারের ঊর্ধ্বতন আমলা। ঘটনার সূত্রপাত ৯ মে। নিজেদের মাঠ জয়পুরে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ৬৩ রানে হারার পর সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্ন বলেছিলেন, ওই ম্যাচে তাদের পছন্দমতো উইকেটে খেলানো হয়নি। দীক্ষিত ওই দিনই জবাব দেন, আইপিএলে কোনো দল কখনোই উইকেট পছন্দের সুযোগ পায় না। তার পরও ওই উইকেটে খেলার কথা নাকি ২ মে-তেই ওয়ার্নকে জানানো হয়েছিল।
১১ মে রাজস্থানের পরের ম্যাচটিও খেলানো হয় ওই উইকেটে। সেই ম্যাচেও ৯ উইকেটে হেরে যাওয়ার পর দীক্ষিতকে সামনে পেয়ে নাকি যাচ্ছেতাই গালাগাল করেন ওয়ার্ন। দীক্ষিত ব্যাপারটা আরসিএকে জানানোর পর আরসিএ পরদিনই আইপিএল কর্তৃপক্ষ ও বিসিসিআইয়ের কাছে ওয়ার্নের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানায়। আইপিএলের সিওও সুন্দর রমনের কাছে লেখা চিঠিতে আরসিএর ভেন্যু পরিচালক নরেন্দ্র যোশি অভিযোগ করেন, ওয়ার্ন দীক্ষিতকে ‘মিথ্যাবাদী, প্রতারক ও অহংকারী’ বলেছেন। দুই দিন পর আরসিএকে ই-মেইল পাঠিয়ে রয়্যালসের প্রধান নির্বাহী শন মরিস জানান, ওয়ার্নের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাল্টা মেইলে দীক্ষিত কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চান। এরপর রয়্যালস আর কোনো সাড়া দেয়নি। আরসিএ-ও বিসিসিআইয়ের কাছে করা অভিযোগ তুলে নেয়নি।
গত রোববার কোচির বিপক্ষে আরেকটি হারের পর ওয়ার্ন টুইট করেন, ‘আইপিএলের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, সে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আর যেসব রাখেনি, সব আমি জানাব।’ দীক্ষিত পাল্টা টুইট করেন, ‘আমিও শোনার জন্য অপেক্ষা করছি। তবে উপযুক্ত প্রমাণ দেওয়ার কথা যেন মনে থাকে।’ এর পরই কালকের শুনানি।
এই ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আবার সমস্যায় পড়েছেন ডিন জোন্স। ভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলে বিশেষজ্ঞ মতামত দিচ্ছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়া ব্যাটসম্যান। সেখানেই নাকি মন্তব্য করেছিলেন, ‘আরসিএর উচিত ওয়ার্নের পা চাটা (লিক)।’ আইপিএলের আইনি কমিটি জোন্সের কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করেছিল। কাল জোন্স ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘পা চাটার কথা বলার প্রশ্নই আসে না। আমি বলেছিলাম, আরসিএর উচিত ওয়ার্নের পায়ে চুমু দেওয়া (কিস), সোজা কথায় এর মানে একজনকে প্রাপ্য সম্মানটা দেওয়া। এখানে অনেকেই বলে শচীন টেন্ডুলকার ঈশ্বর, আমার মতো অনেকের কাছে ওয়ার্নও ক্রিকেটের ঈশ্বর। ওকে প্রাপ্য সম্মানটা দেওয়া উচিত।’
বিসিসিআই কাল শুনানিতে ডেকেছিল সঞ্জয় দীক্ষিতকেও। ওয়ার্নের সঙ্গে ঝামেলা বা বিতর্ক যা-ই বলেন, সেটা এই দীক্ষিতের সঙ্গেই। দীক্ষিত রাজস্থান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (আরসিএ) সাম্মানিক সচিব ও রাজস্থান সরকারের ঊর্ধ্বতন আমলা। ঘটনার সূত্রপাত ৯ মে। নিজেদের মাঠ জয়পুরে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে ৬৩ রানে হারার পর সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্ন বলেছিলেন, ওই ম্যাচে তাদের পছন্দমতো উইকেটে খেলানো হয়নি। দীক্ষিত ওই দিনই জবাব দেন, আইপিএলে কোনো দল কখনোই উইকেট পছন্দের সুযোগ পায় না। তার পরও ওই উইকেটে খেলার কথা নাকি ২ মে-তেই ওয়ার্নকে জানানো হয়েছিল।
১১ মে রাজস্থানের পরের ম্যাচটিও খেলানো হয় ওই উইকেটে। সেই ম্যাচেও ৯ উইকেটে হেরে যাওয়ার পর দীক্ষিতকে সামনে পেয়ে নাকি যাচ্ছেতাই গালাগাল করেন ওয়ার্ন। দীক্ষিত ব্যাপারটা আরসিএকে জানানোর পর আরসিএ পরদিনই আইপিএল কর্তৃপক্ষ ও বিসিসিআইয়ের কাছে ওয়ার্নের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানায়। আইপিএলের সিওও সুন্দর রমনের কাছে লেখা চিঠিতে আরসিএর ভেন্যু পরিচালক নরেন্দ্র যোশি অভিযোগ করেন, ওয়ার্ন দীক্ষিতকে ‘মিথ্যাবাদী, প্রতারক ও অহংকারী’ বলেছেন। দুই দিন পর আরসিএকে ই-মেইল পাঠিয়ে রয়্যালসের প্রধান নির্বাহী শন মরিস জানান, ওয়ার্নের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাল্টা মেইলে দীক্ষিত কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চান। এরপর রয়্যালস আর কোনো সাড়া দেয়নি। আরসিএ-ও বিসিসিআইয়ের কাছে করা অভিযোগ তুলে নেয়নি।
গত রোববার কোচির বিপক্ষে আরেকটি হারের পর ওয়ার্ন টুইট করেন, ‘আইপিএলের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, সে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আর যেসব রাখেনি, সব আমি জানাব।’ দীক্ষিত পাল্টা টুইট করেন, ‘আমিও শোনার জন্য অপেক্ষা করছি। তবে উপযুক্ত প্রমাণ দেওয়ার কথা যেন মনে থাকে।’ এর পরই কালকের শুনানি।
এই ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আবার সমস্যায় পড়েছেন ডিন জোন্স। ভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলে বিশেষজ্ঞ মতামত দিচ্ছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়া ব্যাটসম্যান। সেখানেই নাকি মন্তব্য করেছিলেন, ‘আরসিএর উচিত ওয়ার্নের পা চাটা (লিক)।’ আইপিএলের আইনি কমিটি জোন্সের কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করেছিল। কাল জোন্স ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘পা চাটার কথা বলার প্রশ্নই আসে না। আমি বলেছিলাম, আরসিএর উচিত ওয়ার্নের পায়ে চুমু দেওয়া (কিস), সোজা কথায় এর মানে একজনকে প্রাপ্য সম্মানটা দেওয়া। এখানে অনেকেই বলে শচীন টেন্ডুলকার ঈশ্বর, আমার মতো অনেকের কাছে ওয়ার্নও ক্রিকেটের ঈশ্বর। ওকে প্রাপ্য সম্মানটা দেওয়া উচিত।’
No comments