মায়াবতীর বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা রাহুল গান্ধীর
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীর বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করলেন দেশটির ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান শরিক দল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী। রাহুল জানান, উত্তর প্রদেশের প্রতিটি গ্রামে গিয়ে মায়াবতীর সরকারকে হটানোর জন্য তিনি লড়াই করবেন। গতকাল বুধবার বেনারসে দলের দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে এসব কথা বলেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী ভট্ট প্রসুল গ্রামে কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের সহিংস আচরণে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় কৃষকেরা আমাকে জানিয়েছেন তাঁরা জমি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তাঁদের প্রশ্ন, কেন এ অত্যাচার করা হলো, কেন তাঁদের ঘরবাড়ি ধংস করা হলো?’
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, ‘উত্তর প্রদেশের সরকার বলছে, ভট্ট প্রসুল গ্রামের সবকিছু ঠিকঠাক আছে। আমার প্রশ্ন হলো, সবকিছু ঠিক থাকলে সেখানে ১৪৪ ধারা কেন জারি করা হয়েছে? গ্রাম ছেড়ে লোকজন কেন পালিয়ে যাচ্ছে? সেখানে কেন বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না?’
মায়াবতীর প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে রাহুল বলেন, ‘আমি উত্তর প্রদেশের প্রতিটি প্রান্তে যাব। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব।’ তিনি বলেন, ‘এটি নির্বাচনী কোনো যুদ্ধ নয়।’
নয়াদিল্লি থেকে আগ্রা পর্যন্ত মহাসড়ক তৈরির জন্য উত্তর প্রদেশের বৃহত্তর নয়ডার ভট্ট প্রসুল গ্রামে জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করে রাজ্য সরকার। স্থানীয় কৃষকেরা এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করলে পুলিশ তাঁদের ওপর গুলি চালায় ও নির্যাতন করে। কৃষকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে ১০ মে সেখানে যান রাহুল। তিনি কৃষকদের সঙ্গে তাঁদের ‘ধরনায়’ (অবস্থান কর্মসূচি) অংশ নেন। ওই দিন রাতে রাজ্য পুলিশ রাহুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
গত সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করার পর রাহুল অভিযোগ করেন, ‘উত্তর প্রদেশের ভট্ট প্রসুল গ্রামের প্রতিটি মানুষ বিষয়টি জানে। আমরা এর ছবিও দেখাতে পারব। সেখানে নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে, গ্রামবাসীকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে।’
রাহুলের এই বক্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল তাঁর দলের পক্ষ থেকে এ বিতর্ক বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাহুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে কংগ্রেসের আরেক সাধারণ সম্পাদক জনার্দন দ্বিবেদী গতকাল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাহুলের বক্তব্য গণমাধ্যমে সঠিকভাবে উঠে আসেনি। তিনি ৭৪ জন কৃষক নিহত হওয়ার কথা কখনোই বলেননি। রাহুল বলেছেন, একটি জায়গায় তিনি ৭৪ ফুট ছাইয়ের স্তূপ দেখেছেন। সেখানে মানুষের হাড়ও দেখতে পেয়েছেন।’
জনার্দন বলেন, কৃষক হত্যা ও নারীদের ধর্ষণের অভিযোগটি তদন্তের বিষয়। তদন্তের পর তা জানা যাবে। আর রাহুল গান্ধী ঘটনার সময় নয়ডায় ছিলেন না। নয়ডার স্থানীয় জনগণ তাঁকে এ বিষয়গুলো জানিয়েছে।
রাহুলের কার্যালয়ের উদ্যোগে ভট্ট প্রসুলে গ্রামবাসীর বিক্ষোভের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত মানুষের ছবি প্রকাশ করা হয়। তবে ছবিতে মরদেহের সংখ্যা স্পষ্টভাবে বোঝা যায়নি।
উত্তর প্রদেশ রাজ্যে ক্ষমতাসীন মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
রাহুল গান্ধী ভট্ট প্রসুল গ্রামে কৃষকদের সঙ্গে পুলিশের সহিংস আচরণে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় কৃষকেরা আমাকে জানিয়েছেন তাঁরা জমি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তাঁদের প্রশ্ন, কেন এ অত্যাচার করা হলো, কেন তাঁদের ঘরবাড়ি ধংস করা হলো?’
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, ‘উত্তর প্রদেশের সরকার বলছে, ভট্ট প্রসুল গ্রামের সবকিছু ঠিকঠাক আছে। আমার প্রশ্ন হলো, সবকিছু ঠিক থাকলে সেখানে ১৪৪ ধারা কেন জারি করা হয়েছে? গ্রাম ছেড়ে লোকজন কেন পালিয়ে যাচ্ছে? সেখানে কেন বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না?’
মায়াবতীর প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে রাহুল বলেন, ‘আমি উত্তর প্রদেশের প্রতিটি প্রান্তে যাব। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব।’ তিনি বলেন, ‘এটি নির্বাচনী কোনো যুদ্ধ নয়।’
নয়াদিল্লি থেকে আগ্রা পর্যন্ত মহাসড়ক তৈরির জন্য উত্তর প্রদেশের বৃহত্তর নয়ডার ভট্ট প্রসুল গ্রামে জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করে রাজ্য সরকার। স্থানীয় কৃষকেরা এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করলে পুলিশ তাঁদের ওপর গুলি চালায় ও নির্যাতন করে। কৃষকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করতে ১০ মে সেখানে যান রাহুল। তিনি কৃষকদের সঙ্গে তাঁদের ‘ধরনায়’ (অবস্থান কর্মসূচি) অংশ নেন। ওই দিন রাতে রাজ্য পুলিশ রাহুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
গত সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করার পর রাহুল অভিযোগ করেন, ‘উত্তর প্রদেশের ভট্ট প্রসুল গ্রামের প্রতিটি মানুষ বিষয়টি জানে। আমরা এর ছবিও দেখাতে পারব। সেখানে নারীদের ধর্ষণ করা হয়েছে, গ্রামবাসীকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে।’
রাহুলের এই বক্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল তাঁর দলের পক্ষ থেকে এ বিতর্ক বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাহুলের বক্তব্য প্রসঙ্গে কংগ্রেসের আরেক সাধারণ সম্পাদক জনার্দন দ্বিবেদী গতকাল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাহুলের বক্তব্য গণমাধ্যমে সঠিকভাবে উঠে আসেনি। তিনি ৭৪ জন কৃষক নিহত হওয়ার কথা কখনোই বলেননি। রাহুল বলেছেন, একটি জায়গায় তিনি ৭৪ ফুট ছাইয়ের স্তূপ দেখেছেন। সেখানে মানুষের হাড়ও দেখতে পেয়েছেন।’
জনার্দন বলেন, কৃষক হত্যা ও নারীদের ধর্ষণের অভিযোগটি তদন্তের বিষয়। তদন্তের পর তা জানা যাবে। আর রাহুল গান্ধী ঘটনার সময় নয়ডায় ছিলেন না। নয়ডার স্থানীয় জনগণ তাঁকে এ বিষয়গুলো জানিয়েছে।
রাহুলের কার্যালয়ের উদ্যোগে ভট্ট প্রসুলে গ্রামবাসীর বিক্ষোভের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত মানুষের ছবি প্রকাশ করা হয়। তবে ছবিতে মরদেহের সংখ্যা স্পষ্টভাবে বোঝা যায়নি।
উত্তর প্রদেশ রাজ্যে ক্ষমতাসীন মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
No comments