‘ভারতীয় আইসিসি’ নিয়ে সরব গ্রেগ
অনেকেরই মনের কথা। কিন্তু মুখ ফুটে বলার মতো সাহস আছে ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট খুব কম মানুষেরই। এবার হঠাৎই ‘বিদ্রোহী’ হয়ে উঠলেন একজন। এ জন্য উপলক্ষটাও বেছে নিয়েছেন—টনি গ্রেগ: এ রিঅ্যাপ্রাইজাল অব ইংলিশ ক্রিকেট’স মোস্ট কন্ট্রোভার্সিয়াল ক্যাপ্টেন নামের একটা বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। সেখানেই বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই ‘কন্ট্রোভার্সিয়াল ক্যাপ্টেন’ গ্রেগই বলেছেন, আইসিসিতে ভারতীয় আধিপত্যের অবসান হওয়া প্রয়োজন। আইপিএলের জন্য আলাদা ‘জানালার’ দাবিকেও সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলেছেন ‘হাস্যকর’। ওয়েবসাইট।
গত বছর টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছে ভারত। ওয়ানডেতেও এখন তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তবে মাঠের বাইরের ক্রিকেটে ভারত ‘চ্যাম্পিয়ন’ অনেক আগ থেকেই। বিশাল বাজার আর রমরমা বাণিজ্যের সুযোগ নিয়ে ক্রিকেটবিশ্বে আধিপত্যটা ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠা করেছে দেশটি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির বর্তমান প্রধান একজন ভারতীয় বলেই নয়, বরাবরই বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম নিয়ন্তা ভারতীয় বোর্ড বিসিসিআই।
কখনো আইসিসির প্রধান হলে এই আধিপত্যটাই সবার আগে ভাঙতে চেষ্টা করবেন গ্রেগ, ‘প্রথম কাজই হবে আইসিসিকে সঠিক পথে আনার চেষ্টা করা। এই মুহূর্তে পরিস্থিতিটা এমন যে আইসিসিকে আসলে নিয়ন্ত্রণ করছে বিসিসিআই। তারা জিম্বাবুয়ে, বাংলাদেশ এবং আরও দু-একটি দেশকে দিক-নির্দেশনা দেয় এবং সব সময়ই ভোট পায়। কাজটা কঠিন, কিন্তু যেকোনোভাবেই এটা বদলানো প্রয়োজন।’
আইপিএলের জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়ার দাবি বর্তমান-সাবেক অনেক ক্রিকেটারেরই। কিন্তু একটি দেশের ঘরোয়া টুর্নামেন্টের জন্য এমন দাবি হাস্যকর মনে হচ্ছে গ্রেগের কাছে, ‘এমনিতেই অনেক বেশি ক্রিকেট হচ্ছে। আমি (আইসিসির প্রধান হলে) সব দেশকে ডেকে বলতাম, ভারতের ঘরোয়া টুর্নামেন্টের জন্য জানালার দাবির এই ফাজলামোটার মানে কী? আইপিএলকে একটা জানালা দেওয়া মানে বিশ্বের অন্যান্য জায়গার ক্রিকেট দুই মাসের জন্য বন্ধ, বর্তমান বাস্তবতায় এটা স্রেফ হাস্যকর।’
আইপিএলের থাবায় টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কিত জনপ্রিয় এই ক্রিকেট ভাষ্যকার, ‘পুরো ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের গভীরভাবে ভাবতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে খেলাটার মূল ভিত্তি টেস্ট ক্রিকেট যেন ধ্বংস না হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাকিস্তানের সঙ্গে খেলছে আর গেইল-পোলার্ড আইপিএলে খেলছে...অদ্ভুত!’ ৬৪ বছর বয়সী সাবেক অলরাউন্ডার অবশ্য পরিষ্কার করে দিয়েছেন, আপত্তি শুধুই ভারতীয় বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে। দেশ হিসেবে ভারত, ভারতের মানুষ আর ক্রিকেট তাঁর ভীষণ প্রিয়।
এমন বিদ্রোহী খেলোয়াড়ি জীবনেও একবার হয়েছিলেন গ্রেগ। গত শতাব্দীতেই ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় এক অধ্যায়ের অন্যতম ‘নায়ক’ ছিলেন গ্রেগ। ক্যারি প্যাকারের যে ওয়ার্ল্ড সিরিজ বিশ্ব ক্রিকেটের খোলনলচে পাল্টে দিল, তিনি ছিলেন সেটার অন্যতম সংগঠক। বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটারদের সংগঠিত করার কাজটা গ্রেগই করেছিলেন। যে বইয়ের উদ্বোধনীতে এসেছিলেন, সেই বইটিও ওই ঘটনা নিয়েই। গ্রেগ নিজে অবশ্য লেখেননি, লেখকের নাম ডেভিড টোসেল।
গত বছর টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছে ভারত। ওয়ানডেতেও এখন তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। তবে মাঠের বাইরের ক্রিকেটে ভারত ‘চ্যাম্পিয়ন’ অনেক আগ থেকেই। বিশাল বাজার আর রমরমা বাণিজ্যের সুযোগ নিয়ে ক্রিকেটবিশ্বে আধিপত্যটা ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠা করেছে দেশটি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসির বর্তমান প্রধান একজন ভারতীয় বলেই নয়, বরাবরই বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম নিয়ন্তা ভারতীয় বোর্ড বিসিসিআই।
কখনো আইসিসির প্রধান হলে এই আধিপত্যটাই সবার আগে ভাঙতে চেষ্টা করবেন গ্রেগ, ‘প্রথম কাজই হবে আইসিসিকে সঠিক পথে আনার চেষ্টা করা। এই মুহূর্তে পরিস্থিতিটা এমন যে আইসিসিকে আসলে নিয়ন্ত্রণ করছে বিসিসিআই। তারা জিম্বাবুয়ে, বাংলাদেশ এবং আরও দু-একটি দেশকে দিক-নির্দেশনা দেয় এবং সব সময়ই ভোট পায়। কাজটা কঠিন, কিন্তু যেকোনোভাবেই এটা বদলানো প্রয়োজন।’
আইপিএলের জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়ার দাবি বর্তমান-সাবেক অনেক ক্রিকেটারেরই। কিন্তু একটি দেশের ঘরোয়া টুর্নামেন্টের জন্য এমন দাবি হাস্যকর মনে হচ্ছে গ্রেগের কাছে, ‘এমনিতেই অনেক বেশি ক্রিকেট হচ্ছে। আমি (আইসিসির প্রধান হলে) সব দেশকে ডেকে বলতাম, ভারতের ঘরোয়া টুর্নামেন্টের জন্য জানালার দাবির এই ফাজলামোটার মানে কী? আইপিএলকে একটা জানালা দেওয়া মানে বিশ্বের অন্যান্য জায়গার ক্রিকেট দুই মাসের জন্য বন্ধ, বর্তমান বাস্তবতায় এটা স্রেফ হাস্যকর।’
আইপিএলের থাবায় টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কিত জনপ্রিয় এই ক্রিকেট ভাষ্যকার, ‘পুরো ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের গভীরভাবে ভাবতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে খেলাটার মূল ভিত্তি টেস্ট ক্রিকেট যেন ধ্বংস না হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাকিস্তানের সঙ্গে খেলছে আর গেইল-পোলার্ড আইপিএলে খেলছে...অদ্ভুত!’ ৬৪ বছর বয়সী সাবেক অলরাউন্ডার অবশ্য পরিষ্কার করে দিয়েছেন, আপত্তি শুধুই ভারতীয় বোর্ডের ভূমিকা নিয়ে। দেশ হিসেবে ভারত, ভারতের মানুষ আর ক্রিকেট তাঁর ভীষণ প্রিয়।
এমন বিদ্রোহী খেলোয়াড়ি জীবনেও একবার হয়েছিলেন গ্রেগ। গত শতাব্দীতেই ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় এক অধ্যায়ের অন্যতম ‘নায়ক’ ছিলেন গ্রেগ। ক্যারি প্যাকারের যে ওয়ার্ল্ড সিরিজ বিশ্ব ক্রিকেটের খোলনলচে পাল্টে দিল, তিনি ছিলেন সেটার অন্যতম সংগঠক। বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটারদের সংগঠিত করার কাজটা গ্রেগই করেছিলেন। যে বইয়ের উদ্বোধনীতে এসেছিলেন, সেই বইটিও ওই ঘটনা নিয়েই। গ্রেগ নিজে অবশ্য লেখেননি, লেখকের নাম ডেভিড টোসেল।
No comments