আয়ারল্যান্ডে ঐতিহাসিক সফরে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ
যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ চার দিনের এক ঐতিহাসিক সফরে গতকাল মঙ্গলবার আয়ারল্যান্ডে পৌঁছেছেন। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রাজধানী ডাবলিনের বাইরে অবস্থিত ব্যালডোনেল সামরিক বিমানঘাঁটিতে তাঁকে বহনকারী একটি রাজকীয় বিমান গতকাল অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁকে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়। যুক্তরাজ্যের সাবেক উপনিবেশ আয়ারল্যান্ডের মাটিতে গত ১০০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো ব্রিটিশ অধিরাজ পা রাখলেন। এর আগে ডাবলিনের কাছের একটি শহরে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে পেতে রাখা শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। পরে বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয়।
লন্ডনে আইরিশ ভিন্নমতাবলম্বীদের হুমকি ও ডাবলিনের কাছ থেকে বোমা উদ্ধারের পর রানির সফর বাতিল হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন। তবে বোমা উদ্ধারের পরপরই ও আয়ারল্যান্ডের পক্ষ থেকে রানির সফর বাতিল হবে না বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
কর্মকর্তারা জানান, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রানি ও তাঁর স্বামী ডিউক অব এডিনবরা গতকাল মঙ্গলবার ডাবলিনের বাইরে ব্যালডোনেল সামরিক বিমানঘাঁটিতে পৌঁছান। সেখানে তাঁদের আইরিশ সেনারা গার্ড অব অনার প্রদান করেন। একটি শিশু রানির হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেয়। উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়ার পর সেখান থেকে তাঁদের আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মেরি ম্যাকআলিসের সরকারি প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাসাদের বাইরে ম্যাকআলিসে করমর্দন করে রানিকে স্বাগত জানান। এ সময় যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।
আয়ারল্যান্ডের নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, রানির এ ঐতিহাসিক সফরের প্রাক্কালে ডাবলিনের ২৫ কিলোমিটার দূরের মেনুথ শহরে একটি বাসে একটি শক্তিশালী পাইপ বোমা পাওয়া যায়। একটি অজ্ঞাত সূত্র পুলিশকে ফোন করে বোমা পেতে রাখার তথ্য দিলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সেখানে ছুটে যায়। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বাসটি মেনুথ থেকে ডাবলিনের পথে রওনা হচ্ছিল। তারা দ্রুত সেখানে গিয়ে বাসের যাত্রীদের নামিয়ে দেয় এবং বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে। পরে বিস্ফোরিত বোমার অবশিষ্টাংশ তদন্তের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরবর্তী সময়ে ডাবলিনের ট্রামস্টেশনে আরেকটি সন্দেহজনক ডিভাইস খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞরা সেটি পরীক্ষা করে দেখছেন। এর আগে গত রোববার লন্ডনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। উত্তর আয়ারল্যান্ডে ব্রিটিশ সরকারের নিয়ন্ত্রণ এবং ব্রিটেনের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের শান্তি-প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া আইরিশ ভিন্নমতাবলম্বীরা এ হুমকি দেয় বলে গণমাধ্যমগুলোর খবরে জানানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, রানির সফর বানচাল করতে তারাই মেনুথ শহরে বোমা পেতে রেখেছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ম্যাকআলিসের আমন্ত্রণে রানি এলিজাবেথ চার দিনের সফরে এসেছেন। এর আগে ১৯১১ সালে রানির পিতামহ রাজা পঞ্চম জর্জ আয়ারল্যান্ড সফরে এসেছিলেন। এর পর থেকে এ পর্যন্ত ব্রিটিশ রাজপরিবারের কোনো রাজা বা রানি দেশটিতে সফর করেননি। ১৯২১ সালে আয়ারল্যান্ড ব্রিটিশ শাসন থেকে বেরিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। তবে এখনো উত্তর আয়ারল্যান্ডের কিছু অংশে যুক্তরাজ্য নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। এ নিয়ে ভিন্নমতাবলম্বীরা আন্দোলন করে আসছে।
লন্ডনে আইরিশ ভিন্নমতাবলম্বীদের হুমকি ও ডাবলিনের কাছ থেকে বোমা উদ্ধারের পর রানির সফর বাতিল হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন। তবে বোমা উদ্ধারের পরপরই ও আয়ারল্যান্ডের পক্ষ থেকে রানির সফর বাতিল হবে না বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
কর্মকর্তারা জানান, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রানি ও তাঁর স্বামী ডিউক অব এডিনবরা গতকাল মঙ্গলবার ডাবলিনের বাইরে ব্যালডোনেল সামরিক বিমানঘাঁটিতে পৌঁছান। সেখানে তাঁদের আইরিশ সেনারা গার্ড অব অনার প্রদান করেন। একটি শিশু রানির হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেয়। উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়ার পর সেখান থেকে তাঁদের আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মেরি ম্যাকআলিসের সরকারি প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাসাদের বাইরে ম্যাকআলিসে করমর্দন করে রানিকে স্বাগত জানান। এ সময় যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।
আয়ারল্যান্ডের নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, রানির এ ঐতিহাসিক সফরের প্রাক্কালে ডাবলিনের ২৫ কিলোমিটার দূরের মেনুথ শহরে একটি বাসে একটি শক্তিশালী পাইপ বোমা পাওয়া যায়। একটি অজ্ঞাত সূত্র পুলিশকে ফোন করে বোমা পেতে রাখার তথ্য দিলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সেখানে ছুটে যায়। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বাসটি মেনুথ থেকে ডাবলিনের পথে রওনা হচ্ছিল। তারা দ্রুত সেখানে গিয়ে বাসের যাত্রীদের নামিয়ে দেয় এবং বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে। পরে বিস্ফোরিত বোমার অবশিষ্টাংশ তদন্তের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরবর্তী সময়ে ডাবলিনের ট্রামস্টেশনে আরেকটি সন্দেহজনক ডিভাইস খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। সেনাবাহিনীর বোমা বিশেষজ্ঞরা সেটি পরীক্ষা করে দেখছেন। এর আগে গত রোববার লন্ডনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। উত্তর আয়ারল্যান্ডে ব্রিটিশ সরকারের নিয়ন্ত্রণ এবং ব্রিটেনের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের শান্তি-প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া আইরিশ ভিন্নমতাবলম্বীরা এ হুমকি দেয় বলে গণমাধ্যমগুলোর খবরে জানানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, রানির সফর বানচাল করতে তারাই মেনুথ শহরে বোমা পেতে রেখেছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ম্যাকআলিসের আমন্ত্রণে রানি এলিজাবেথ চার দিনের সফরে এসেছেন। এর আগে ১৯১১ সালে রানির পিতামহ রাজা পঞ্চম জর্জ আয়ারল্যান্ড সফরে এসেছিলেন। এর পর থেকে এ পর্যন্ত ব্রিটিশ রাজপরিবারের কোনো রাজা বা রানি দেশটিতে সফর করেননি। ১৯২১ সালে আয়ারল্যান্ড ব্রিটিশ শাসন থেকে বেরিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। তবে এখনো উত্তর আয়ারল্যান্ডের কিছু অংশে যুক্তরাজ্য নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। এ নিয়ে ভিন্নমতাবলম্বীরা আন্দোলন করে আসছে।
No comments