নদী ভরাট খাল ভরাট
খাল, নদী, জলাশয়, নিচু ভূমি ইত্যাদি যে প্রতিবেশের অবিচ্ছেদ্য ও অপরিহার্য অংশ—এ দেশে এই উপলব্ধির অভাব প্রকট। শুধু যে ব্যক্তিমালিকানার স্থাপনা নির্মাণের জন্য এসব ভরাট করা হয়, তা সব সময় সত্য নয়। অনেক সময় সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানও এমন অদূরদর্শী ও বেআইনি কাজ করে থাকে। এর একটি সাম্প্রতিক দৃষ্টান্ত: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরের রাজখালী খালের একাংশ ভরাট করে মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ করছে।
সড়ক নির্মাণের জন্য খালটির কিছু অংশ ইতিমধ্যেই ভরাট করা হয়েছে, এখন চলছে আরও বেশ কিছু অংশ ভরাটের কাজ। বস্তুত, পুরো সড়কটিরই নির্মাণকাজ চলছে রাজখালী খালটি গ্রাস করে। এ কাজ করতে গিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন যে জলাশয় সংরক্ষণ আইন ভঙ্গ করছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিষয়টি শুধু আইন ভঙ্গের নয়, চলাচলের জন্য সড়ক যেমন প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, তেমনি খালও নগরের পানিনিষ্কাশনের জন্য অত্যাবশ্যক, সেই অর্থে খালও একটি প্রাকৃতিক অবকাঠামো। চট্টগ্রাম নগরে প্রায়ই যে জলাবদ্ধতা ঘটে, তার অন্যতম কারণ পানিনিষ্কাশন-ব্যবস্থার অপর্যাপ্ততা ও অকার্যকারিতা। পৃথিবীর অনেক দেশের জনবহুল নগরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল ও নদী সংরক্ষণ করা, নাব্যতা নির্বিঘ্ন রাখার ব্যবস্থা করতে দূষণ রোধ করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে করা হয় ঠিক উল্টো কাজ। ঘরবাড়ি, দালানকোঠা, রাস্তাঘাট নির্মাণকে আমরা বলি উন্নয়ন; কিন্তু এভাবে নগর উন্নয়ন করতে গিয়ে যদি বিদ্যমান খাল-নদী ভরাট করা হয়, তাহলে সেই উন্নয়ন যে অন্য দিক থেকে কঠিন সমস্যা ডেকে আনে, সেদিকে আমাদের নীতিনির্ধারকেরা বিশেষ লক্ষ রাখেন না। রাজখালী খাল ভরাট করে সড়ক নির্মাণ করায় চট্টগ্রাম নগরের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা সিটি করপোরেশন কীভাবে পূরণ করবে? আর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তিনটি ভবনের অবৈধ বর্ধিতাংশ বাঁচাতে খালটিকে হত্যা করার যে অপতৎপরতা সিটি করপোরেশন চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে অবশ্যই যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এদিকে রাজধানীর চারপাশের নদী ও শাখানদীগুলো অব্যাহতভাবে বেদখল ও ভরাট হয়ে যাচ্ছে, হাইকোর্টের নির্দেশও এ ক্ষেত্রে কোনোভাবেই কার্যকর হচ্ছে না। বিশেষ অভিযান চালিয়ে নদীতীরের বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু নতুন করে গড়ে উঠেছে আরও। এ মুহূর্তে ধলেশ্বরী নদীর শাখানদীর তীরে চলছে ইটভাটা নির্মাণের কাজ। এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রথমে নদীতীরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, কিন্তু ধীরে ধীরে নদীতীর প্রশস্ত হয়, নদী হয়ে আসে সংকুচিত। এবং বিস্ময়ের কথা, এসব বেআইনি কর্মকাণ্ড চলে দিনদুপুরে, দিনের পর দিন—সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর চোখের সামনেই। কিন্তু এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হোক।
সড়ক নির্মাণের জন্য খালটির কিছু অংশ ইতিমধ্যেই ভরাট করা হয়েছে, এখন চলছে আরও বেশ কিছু অংশ ভরাটের কাজ। বস্তুত, পুরো সড়কটিরই নির্মাণকাজ চলছে রাজখালী খালটি গ্রাস করে। এ কাজ করতে গিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন যে জলাশয় সংরক্ষণ আইন ভঙ্গ করছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিষয়টি শুধু আইন ভঙ্গের নয়, চলাচলের জন্য সড়ক যেমন প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, তেমনি খালও নগরের পানিনিষ্কাশনের জন্য অত্যাবশ্যক, সেই অর্থে খালও একটি প্রাকৃতিক অবকাঠামো। চট্টগ্রাম নগরে প্রায়ই যে জলাবদ্ধতা ঘটে, তার অন্যতম কারণ পানিনিষ্কাশন-ব্যবস্থার অপর্যাপ্ততা ও অকার্যকারিতা। পৃথিবীর অনেক দেশের জনবহুল নগরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল ও নদী সংরক্ষণ করা, নাব্যতা নির্বিঘ্ন রাখার ব্যবস্থা করতে দূষণ রোধ করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে করা হয় ঠিক উল্টো কাজ। ঘরবাড়ি, দালানকোঠা, রাস্তাঘাট নির্মাণকে আমরা বলি উন্নয়ন; কিন্তু এভাবে নগর উন্নয়ন করতে গিয়ে যদি বিদ্যমান খাল-নদী ভরাট করা হয়, তাহলে সেই উন্নয়ন যে অন্য দিক থেকে কঠিন সমস্যা ডেকে আনে, সেদিকে আমাদের নীতিনির্ধারকেরা বিশেষ লক্ষ রাখেন না। রাজখালী খাল ভরাট করে সড়ক নির্মাণ করায় চট্টগ্রাম নগরের যে ক্ষতি হচ্ছে, তা সিটি করপোরেশন কীভাবে পূরণ করবে? আর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তিনটি ভবনের অবৈধ বর্ধিতাংশ বাঁচাতে খালটিকে হত্যা করার যে অপতৎপরতা সিটি করপোরেশন চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে অবশ্যই যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এদিকে রাজধানীর চারপাশের নদী ও শাখানদীগুলো অব্যাহতভাবে বেদখল ও ভরাট হয়ে যাচ্ছে, হাইকোর্টের নির্দেশও এ ক্ষেত্রে কোনোভাবেই কার্যকর হচ্ছে না। বিশেষ অভিযান চালিয়ে নদীতীরের বেশ কিছু অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু নতুন করে গড়ে উঠেছে আরও। এ মুহূর্তে ধলেশ্বরী নদীর শাখানদীর তীরে চলছে ইটভাটা নির্মাণের কাজ। এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রথমে নদীতীরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, কিন্তু ধীরে ধীরে নদীতীর প্রশস্ত হয়, নদী হয়ে আসে সংকুচিত। এবং বিস্ময়ের কথা, এসব বেআইনি কর্মকাণ্ড চলে দিনদুপুরে, দিনের পর দিন—সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর চোখের সামনেই। কিন্তু এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হোক।
No comments