সার্ক বাণিজ্যে বড় বাধা পারস্পরিক আস্থাহীনতা
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে শুল্ক ও অশুল্ক বাধার চেয়ে বড় প্রতিবন্ধক হলো পারস্পরিক আস্থাহীনতা।
ঢাকায় গতকাল বুধবার ‘দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও বাণিজ্য পরিবেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান এ মন্তব্য করেন। সার্ক চেম্বার এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে সেমিনারটির আয়োজন করে।
সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী অভিমত দেন, সার্কভুক্ত কোনো দেশেরই প্রবলভাবে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নেই। কারণ প্রত্যেকটি দেশই বৈদেশিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাজনীতিবিদের উদাসীনতায় এ অঞ্চলের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়নি।
সার্ক চেম্বারের সভাপতি আনিসুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের শীর্ষস্থানীয় সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ, সার্ক চেম্বারের সাবেক সভাপতি তারিক সাঈদ ও বর্তমান সহসভাপতি আবুল কাশেম প্রমুখ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সার্ক অঞ্চলের উন্নয়নে অভিন্ন নীতি গ্রহণ করতে হবে। শুল্ক ও ভিসাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে এ অঞ্চল ব্যবসা-বাণিজ্যে পিছিয়ে পড়ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অধিভুক্ত দেশগুলোর মতো সুবিধা পেলে এ অঞ্চলও এগিয়ে যেতে পারত বলে তিনি মনে করেন।
আগামী ১৫ জুন মালদ্বীপে অনুষ্ঠিতব্য সার্ক দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভিসা ও শুল্ক সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি সুপারিশ করবেন বলে জানান।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ অভিমত দেন, বর্তমানে সার্ক অঞ্চলের ধীর প্রবৃদ্ধির জন্য শুল্ক ও অশুল্ক বাধাই দায়ী। এ অঞ্চলের সংযোগ, অবকাঠামো ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন ধীরে হচ্ছে।
এ কে আজাদ অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে লাখ লাখ ব্যবসায়ী রয়েছে। অথচ বছরে মাত্র ১০০ জন ব্যবসায়ীকে সার্ক ভিসা দেওয়া হয়। তিনি তা ৫০০টিতে উন্নীত করার দাবি জানান। তিনি একটি সার্ক বাণিজ্য অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল গঠনের প্রস্তাব করেন।
সার্ক চেম্বারের সভাপতি আনিসুল হক বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উন্নয়নের অনেক সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এ অঞ্চলের দেশগুলোর সরকারের মধ্যে ভালো যোগাযোগ না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ‘সাউথ এশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন’ বা দক্ষিণ এশীয় অর্থনৈতিক ইউনিয়ন গঠনের পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা ও পরিবহন অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ, আঞ্চলিক ট্রানজিট ও যোগাযোগ বাস্তবায়ন, কাস্টমস-প্রক্রিয়া সহজকরণের তাগিদ দেন তিনি।
সার্ক চেম্বারের সাবেক সভাপতি তারিক সাঈদ বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আন্তযোগাযোগ কম। একের ওপর অপরের আস্থাও কম। এ জন্য তিনি রাজনীতিবিদদের দায়ী করে বলেন, একমাত্র সার্ক সম্মেলন ছাড়া এ বিষয়ে কোথাও কথা হয় না।
এ ছাড়া সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় রয়েছে বিশাল এক বাজার। বিশ্বের মোট সম্পদের ১০ শতাংশ আছে এ অঞ্চলে। এ সম্পদ ব্যবহার করে পারস্পরিক উন্নতির বিরাট সুযোগও রয়েছে।
বক্তারা অভিমত দেন, এই সুযোগ ও বিরাট সম্ভাবনা ব্যবহারের জন্য ‘রাজনৈতিক সদিচ্ছা’ নেই এ অঞ্চলের রাজনীতিবিদদের মধ্যে।
বক্তাদের মতে, রাজনীতিবিদদের সদিচ্ছা না থাকার কারণেই সার্ক প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পরও আটটি দেশের মোট বাণিজ্যের মাত্র পাঁচ শতাংশ হয় নিজেদের মধ্যে, যা ২৫ শতাংশ হওয়া উচিত। আঞ্চলিক সহযোগিতার অভাবে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে এ অঞ্চলের দেশগুলো। বিশ্বের অর্থনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অবদান মাত্র দুই শতাংশ।
ঢাকায় গতকাল বুধবার ‘দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও বাণিজ্য পরিবেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান এ মন্তব্য করেন। সার্ক চেম্বার এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে সেমিনারটির আয়োজন করে।
সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী অভিমত দেন, সার্কভুক্ত কোনো দেশেরই প্রবলভাবে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নেই। কারণ প্রত্যেকটি দেশই বৈদেশিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাজনীতিবিদের উদাসীনতায় এ অঞ্চলের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়নি।
সার্ক চেম্বারের সভাপতি আনিসুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের শীর্ষস্থানীয় সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ, সার্ক চেম্বারের সাবেক সভাপতি তারিক সাঈদ ও বর্তমান সহসভাপতি আবুল কাশেম প্রমুখ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সার্ক অঞ্চলের উন্নয়নে অভিন্ন নীতি গ্রহণ করতে হবে। শুল্ক ও ভিসাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে এ অঞ্চল ব্যবসা-বাণিজ্যে পিছিয়ে পড়ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অধিভুক্ত দেশগুলোর মতো সুবিধা পেলে এ অঞ্চলও এগিয়ে যেতে পারত বলে তিনি মনে করেন।
আগামী ১৫ জুন মালদ্বীপে অনুষ্ঠিতব্য সার্ক দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভিসা ও শুল্ক সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি সুপারিশ করবেন বলে জানান।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ অভিমত দেন, বর্তমানে সার্ক অঞ্চলের ধীর প্রবৃদ্ধির জন্য শুল্ক ও অশুল্ক বাধাই দায়ী। এ অঞ্চলের সংযোগ, অবকাঠামো ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন ধীরে হচ্ছে।
এ কে আজাদ অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে লাখ লাখ ব্যবসায়ী রয়েছে। অথচ বছরে মাত্র ১০০ জন ব্যবসায়ীকে সার্ক ভিসা দেওয়া হয়। তিনি তা ৫০০টিতে উন্নীত করার দাবি জানান। তিনি একটি সার্ক বাণিজ্য অবকাঠামো উন্নয়ন তহবিল গঠনের প্রস্তাব করেন।
সার্ক চেম্বারের সভাপতি আনিসুল হক বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উন্নয়নের অনেক সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এ অঞ্চলের দেশগুলোর সরকারের মধ্যে ভালো যোগাযোগ না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য ‘সাউথ এশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন’ বা দক্ষিণ এশীয় অর্থনৈতিক ইউনিয়ন গঠনের পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা ও পরিবহন অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ, আঞ্চলিক ট্রানজিট ও যোগাযোগ বাস্তবায়ন, কাস্টমস-প্রক্রিয়া সহজকরণের তাগিদ দেন তিনি।
সার্ক চেম্বারের সাবেক সভাপতি তারিক সাঈদ বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আন্তযোগাযোগ কম। একের ওপর অপরের আস্থাও কম। এ জন্য তিনি রাজনীতিবিদদের দায়ী করে বলেন, একমাত্র সার্ক সম্মেলন ছাড়া এ বিষয়ে কোথাও কথা হয় না।
এ ছাড়া সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় রয়েছে বিশাল এক বাজার। বিশ্বের মোট সম্পদের ১০ শতাংশ আছে এ অঞ্চলে। এ সম্পদ ব্যবহার করে পারস্পরিক উন্নতির বিরাট সুযোগও রয়েছে।
বক্তারা অভিমত দেন, এই সুযোগ ও বিরাট সম্ভাবনা ব্যবহারের জন্য ‘রাজনৈতিক সদিচ্ছা’ নেই এ অঞ্চলের রাজনীতিবিদদের মধ্যে।
বক্তাদের মতে, রাজনীতিবিদদের সদিচ্ছা না থাকার কারণেই সার্ক প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পরও আটটি দেশের মোট বাণিজ্যের মাত্র পাঁচ শতাংশ হয় নিজেদের মধ্যে, যা ২৫ শতাংশ হওয়া উচিত। আঞ্চলিক সহযোগিতার অভাবে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে এ অঞ্চলের দেশগুলো। বিশ্বের অর্থনীতিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অবদান মাত্র দুই শতাংশ।
No comments