মেসির জন্য পার্ক-পাহারা
মেসিকে আটকানোর কোনো অস্ত্র কি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের আছে? ‘জি, হ্যাঁ।’ কে সে? ‘জি!’
লিওনেল মেসির সমান হয়তো ফুটবলীয় দক্ষতা নেই। নেই প্রতিপক্ষকে ধাঁধার মধ্যে ফেলে দেওয়া ড্রিবলিং, গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যেতে যেতে হঠাৎই অপ্রত্যাশিত বাঁক নেওয়া, চার-পাঁচজনের জটলার ভেতর থেকেও অবিশ্বাস্যভাবে বল বের করে আনার জাদু, বাঁ পায়ের শিল্পিত কারুকাজ; কিন্তু পার্ক জি সুংয়ের যা আছে, সেটি মেসি তো বটেই, আর কারোরই নেই। কী আছে পার্কের? তিনটা ফুসফুস!
হয়তো মজা করেই বলা। কিন্তু পুরো ৯০ মিনিট সমানতালে যেভাবে দৌড়ান, আসলেই ধন্দে পড়ে যেতে হয়, ম্যানইউর দক্ষিণ কোরীয় মিডফিল্ডারের ফুসফুস কি একটা বেশি নাকি? ইউনাইটেড সতীর্থ প্যাট্রিস এভরাও যেমন বলছেন, ‘জি অবিশ্বাস্য। এই তো চেলসির বিপক্ষে গত ম্যাচটাতে ওর খেলা দেখতে দেখতে আমার হাসি পাচ্ছিল। ও যেভাবে দৌড়ায়, সত্যি অবিশ্বাস্য। আমার ধারণা, এর রহস্য লুকিয়ে আছে ওর কোরীয় খাবারে। ওর মতো দৌড়াব বলে আমিও মাঝেমধ্যে ওর বাসায় গিয়ে কোরীয় খাবার খেয়ে এসেছি!’
ঠাট্টা রেখে এর পরই ‘সিরিয়াস’ হয়ে গেলেন এই ফরাসি লেফট ব্যাক, ‘সিরিয়াসলিই বলছি, জি সবার জন্য একটা উদাহরণ। ও সবার হয়ে দৌড়ায়। কথাটা এ জন্য বলছি, যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ি, তখনো নিশ্চিন্ত থাকি এই ভেবে, আমার দৌড়টা জি-ই দৌড়ে দেবে। ও আমাদের দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন। কারণ ও সব সময় ক্লান্তিহীনভাবে দৌড়াতে পারে। আমরা ফাইনালে যাওয়ার পর আমাদের সমর্থকদের কেউ কেউ বলল, “তোমরা তো জিততে চলেছ। কারণ জি সারাক্ষণ মেসির সঙ্গে গায়ে গা লাগিয়ে দৌড়াবে।” আমি পরে ওর সঙ্গে ঠাট্টা করে বললাম, “দেখেছ, লোকে তো এখন তোমাকে ডিফেন্ডার ভাবছে!”
পার্ক রক্ষণে আছেন, নিজের আসল জায়গা মাঝমাঠেও। আছেন আক্রমণভাগেও। তাঁর এই অবিশ্রান্ত দৌড় এভরার মতো রিও ফার্ডিনান্ডের কাছেও বিস্ময়ের, ‘আমরা ড্রেসিংরুমে মাঝেমধ্যেই কৌতুক করে বলি, জি এত শক্তি পায় কোত্থেকে? আমরা সবাই জানতে চাই, ম্যাচের আগে ও কী খেয়ে আসে। নিশ্চয়ই আমাদের আর ওর খাদ্যতালিকা ভিন্ন। যে পরিমাণ দৌড় ও দৌড়ায়, ওর যা প্রাণশক্তি—সত্যিই কিংবদন্তিতুল্য। ওকে আমাদের দলে পাওয়াটা অনেক বড় পাওয়া। ও আসলেই সত্যিকারের নেপথ্য নায়ক।’
দক্ষিণ কোরিয়া দল থেকে মাস কয়েক আগে অবসর নেওয়া পার্কের আরেকটি বড় গুণ আছে। বড় ম্যাচগুলোয় গোল করতে ভালোবাসেন। ভালোবাসেন নেপথ্য নায়ক থেকে মাঝেমধ্যেই প্রচারের আলোটা নিজের ওপর টেনে আনতে। ফার্ডিনান্ডরাও সেটি জানেন, ‘বড় ম্যাচগুলোয় ও প্রায়ই গোল করে। কোচ প্রায় সবগুলো বড় ম্যাচেই ওকে নামান, এবং সেও ঠিক ঠিক নিজের খেলাটা খেলে দেয়। হয়তো সেভাবে ও খবরের শিরোনামে আসে না। কিন্তু আমরা সতীর্থরা সব সময় ওর পিঠ চাপড়ে দিই।’
সতীর্থরা ২৮ মেও তাঁর পিঠ চাপড়ে দিতে প্রস্তুত। প্রথম এশীয় খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলা, শিরোপা জেতা পার্ক নিজে কি প্রস্তুত, এবার বড় করে শিরোনামে আসতে? ওয়েবসাইট।
লিওনেল মেসির সমান হয়তো ফুটবলীয় দক্ষতা নেই। নেই প্রতিপক্ষকে ধাঁধার মধ্যে ফেলে দেওয়া ড্রিবলিং, গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যেতে যেতে হঠাৎই অপ্রত্যাশিত বাঁক নেওয়া, চার-পাঁচজনের জটলার ভেতর থেকেও অবিশ্বাস্যভাবে বল বের করে আনার জাদু, বাঁ পায়ের শিল্পিত কারুকাজ; কিন্তু পার্ক জি সুংয়ের যা আছে, সেটি মেসি তো বটেই, আর কারোরই নেই। কী আছে পার্কের? তিনটা ফুসফুস!
হয়তো মজা করেই বলা। কিন্তু পুরো ৯০ মিনিট সমানতালে যেভাবে দৌড়ান, আসলেই ধন্দে পড়ে যেতে হয়, ম্যানইউর দক্ষিণ কোরীয় মিডফিল্ডারের ফুসফুস কি একটা বেশি নাকি? ইউনাইটেড সতীর্থ প্যাট্রিস এভরাও যেমন বলছেন, ‘জি অবিশ্বাস্য। এই তো চেলসির বিপক্ষে গত ম্যাচটাতে ওর খেলা দেখতে দেখতে আমার হাসি পাচ্ছিল। ও যেভাবে দৌড়ায়, সত্যি অবিশ্বাস্য। আমার ধারণা, এর রহস্য লুকিয়ে আছে ওর কোরীয় খাবারে। ওর মতো দৌড়াব বলে আমিও মাঝেমধ্যে ওর বাসায় গিয়ে কোরীয় খাবার খেয়ে এসেছি!’
ঠাট্টা রেখে এর পরই ‘সিরিয়াস’ হয়ে গেলেন এই ফরাসি লেফট ব্যাক, ‘সিরিয়াসলিই বলছি, জি সবার জন্য একটা উদাহরণ। ও সবার হয়ে দৌড়ায়। কথাটা এ জন্য বলছি, যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ি, তখনো নিশ্চিন্ত থাকি এই ভেবে, আমার দৌড়টা জি-ই দৌড়ে দেবে। ও আমাদের দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন। কারণ ও সব সময় ক্লান্তিহীনভাবে দৌড়াতে পারে। আমরা ফাইনালে যাওয়ার পর আমাদের সমর্থকদের কেউ কেউ বলল, “তোমরা তো জিততে চলেছ। কারণ জি সারাক্ষণ মেসির সঙ্গে গায়ে গা লাগিয়ে দৌড়াবে।” আমি পরে ওর সঙ্গে ঠাট্টা করে বললাম, “দেখেছ, লোকে তো এখন তোমাকে ডিফেন্ডার ভাবছে!”
পার্ক রক্ষণে আছেন, নিজের আসল জায়গা মাঝমাঠেও। আছেন আক্রমণভাগেও। তাঁর এই অবিশ্রান্ত দৌড় এভরার মতো রিও ফার্ডিনান্ডের কাছেও বিস্ময়ের, ‘আমরা ড্রেসিংরুমে মাঝেমধ্যেই কৌতুক করে বলি, জি এত শক্তি পায় কোত্থেকে? আমরা সবাই জানতে চাই, ম্যাচের আগে ও কী খেয়ে আসে। নিশ্চয়ই আমাদের আর ওর খাদ্যতালিকা ভিন্ন। যে পরিমাণ দৌড় ও দৌড়ায়, ওর যা প্রাণশক্তি—সত্যিই কিংবদন্তিতুল্য। ওকে আমাদের দলে পাওয়াটা অনেক বড় পাওয়া। ও আসলেই সত্যিকারের নেপথ্য নায়ক।’
দক্ষিণ কোরিয়া দল থেকে মাস কয়েক আগে অবসর নেওয়া পার্কের আরেকটি বড় গুণ আছে। বড় ম্যাচগুলোয় গোল করতে ভালোবাসেন। ভালোবাসেন নেপথ্য নায়ক থেকে মাঝেমধ্যেই প্রচারের আলোটা নিজের ওপর টেনে আনতে। ফার্ডিনান্ডরাও সেটি জানেন, ‘বড় ম্যাচগুলোয় ও প্রায়ই গোল করে। কোচ প্রায় সবগুলো বড় ম্যাচেই ওকে নামান, এবং সেও ঠিক ঠিক নিজের খেলাটা খেলে দেয়। হয়তো সেভাবে ও খবরের শিরোনামে আসে না। কিন্তু আমরা সতীর্থরা সব সময় ওর পিঠ চাপড়ে দিই।’
সতীর্থরা ২৮ মেও তাঁর পিঠ চাপড়ে দিতে প্রস্তুত। প্রথম এশীয় খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলা, শিরোপা জেতা পার্ক নিজে কি প্রস্তুত, এবার বড় করে শিরোনামে আসতে? ওয়েবসাইট।
No comments