রাজনৈতিক আলোচনা- 'প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সমাজের প্রত্যাশা by শহিদুল ইসলাম

ব্যারিস্টার সৈয়দ ইকবাল হায়দার পাকিস্তানের আমজনতার অংশ নন। পাকিস্তানি শাসকশ্রেণীরই একজন প্রথম শ্রেণীর প্রতিনিধি। ১৯৯৩ সাল থেকে দুই বছর তিনি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের আইন, বিচার ও সংসদীয় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি সিনেটের সদস্য নির্বাচিত হন।
সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন কারাগার সংস্কার-সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য। সে সময় তিনি ইংরেজিতে যে নিবন্ধটি লিখেছিলেন সেটি অনুবাদ করে একটি দৈনিক পত্রিকা ১৭ অক্টোবর প্রকাশ করেছিল। বাংলায় নিবন্ধটির নাম দেওয়া হয়েছিল 'বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের জন্য আলোর ইশারা'। অনেক পরে হলেও তাঁর এ উপলব্ধিকে স্বাগত জানাই আর আশা করি পাকিস্তানের শাসকশ্রেণী তাঁর এ সত্য উপলব্ধিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেবে এবং তাঁর কথার প্রতিধ্বনি করে বলতে চাই_'পাকিস্তানকে টিকে থাকতে হলে সেক্যুলার বা ধর্মনিরপেক্ষতা এবং একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করতেই হবে।' বাংলাদেশের প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ কায়মনে কামনা করে পাকিস্তানে একটি গণতান্ত্রিক-ধর্মনিরপেক্ষ শাসকশ্রেণী গড়ে উঠুক। রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহারের কারণে পাকিস্তান অনেক বিপর্যয়ে পড়েছে। তা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া অপরিহার্য বলে মনে করেন ইকবাল হায়দার।
সৈয়দ ইকবাল হায়দার যেসব সিদ্ধান্তের কথা নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন, প্রথমেই তার একটি নির্ঘণ্ট তুলে ধরা দরকার বলে মনে করি। সেগুলো পড়লে পাঠক বুঝতে পারবেন, তাঁর সেসব কথা এ দেশের মানুষ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বলেছে। তখন পাকিস্তানি শাসকশ্রেণীর কানে তা প্রবেশ করেনি। অর্ধেক পাকিস্তান হারানোর পর পাকিস্তানের প্রগতিশীল মানুষ যে নতুন করে সেসব ইচ্ছাই পোষণ করছে, হায়দারের নিবন্ধ তা-ই প্রমাণ করে। তিনি বাংলাদেশ সরকারের বহু পদক্ষেপ ইতিবাচক বলে মনে করেন। তার মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠন ও একাত্তরের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের উদ্যোগকে তিনি জোরালো সমর্থন দিয়েছেন। আলোচনা পরে করি। আগে তাঁর কথাগুলো পর পর সাজিয়ে হাজির করি। রাজনীতিতে ধর্মের অপব্যবহারের কারণে আমরা অনেক বিপর্যয়ে পড়েছি এবং তা থেকে নিষ্কৃতি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনে প্রয়াসী। আমি মনে করি, কোনো দেশ ধর্মনিরপেক্ষ না হলে প্রকৃত গণতান্ত্রিক হতে পারে না। আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্পর্কে তিনি বলেছেন, 'পাকিস্তানের সিভিল সোসাইটি এখন ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্ত উন্মুক্ত করার চাপ বাড়িয়ে চলেছে। বিশ্বের কোনো অঞ্চলেই দক্ষিণ এশিয়ার মতো এমন ক্লোজ বর্ডার নেই।' আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর কাছে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কারণ তারা পরস্পরের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এবং তাতে প্রত্যেকে উপকৃত হচ্ছে। তাই তাঁর সিদ্ধান্ত হলো, 'আমরা সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার করতে পারলে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়ে যাবে।' বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্পর্কে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ গৌরবময় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এখন তাদের ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহার করতে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।' আরো বলেন, 'মসজিদকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার স্থান হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া অনুচিত।...কাউকেই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া যাবে না।...কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের শাসকচক্র ধর্ম নিয়ে খেলতেই পছন্দ করে। আর এ কারণেই পাকিস্তানের ভেতর থেকেই তার অস্তিত্বের প্রতি সবচেয়ে গুরুতর হুমকি সৃষ্টি হয়েছে।' ধর্ম নিয়ে খেলে পাকিস্তান ২৪ বছরও টেকেনি। তিনি খুব জরুরি কথা বলেছেন, 'আমরা ৯/১১-এর শিকার, ২৬/১১-এর শিকার। প্রতি সপ্তাহে এবং কখনো প্রায় প্রতিদিন ধর্মীয় লেবাসধারী সন্ত্রাসীদের হাতে মারা যাচ্ছে অনেক মানুষ। তাদের অর্থের জোগান আসছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে এবং এর পেছনে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমি এখানে স্পষ্ট করে বলতে চাই, তালেবান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষ নয়, বরং তাদের মিত্র। এ অপশক্তি প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।' এ প্রসঙ্গে ৯/১১-এর পর আমার একটা লেখার কথা মনে পড়ল, যেটা ছাপা হয়েছিল সংবাদে, ২২ সেপ্টেম্বর ২০০১। সেখানেই আমি লিখেছিলাম, 'সাম্রাজ্যবাদ ও সন্ত্রাসবাদ একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ যমজ ভাই। বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে হামলা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের হাতকে দানবীয় শক্তিতে বলবান করবে।' আজ তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে।
আমি মনে করি, পাকিস্তানকে টিকে থাকতে হলে সেক্যুলার বা ধর্মনিরপেক্ষতা এবং একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করতে হবে। একাত্তরের কথা আমরা ভুলিনি। তিনি বলেছেন, 'এখন মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং আমি তাকে স্বাগত জানাই। একাত্তরে পাকিস্তানি শাসকচক্র বাংলাদেশে যে বর্বর গণহত্যা সংঘটিত করেছে তার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের কাছে দুঃখ ও ক্ষমা প্রকাশে আমার কোনো দ্বিধা বা সংকোচ নেই।' তাঁর এই ব্যক্তিগত দুঃখ ও ক্ষমা প্রকাশে বাংলাদেশের মানুষ অবশ্যই খুশি হবে; কিন্তু একাত্তরের গণহত্যা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী করেনি, করেছে পাকিস্তান নামের একটি রাষ্ট্র। সেই রাষ্ট্রটিকেই ক্ষমা ও দুঃখ প্রকাশে বাধ্য করা তাঁর এক বড় কর্তব্য বলে মনে করে এ দেশের মানুষ। তিনি আরো বলেছেন, 'কিন্তু পাকিস্তানের ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তি এখনো বাংলাদেশকে হারানোর যন্ত্রণা অনুভব করে। এটা প্রকৃতপক্ষে বর্তমান পাকিস্তানের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি।' বাংলাদেশ যে একদিন পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে আসবে, সে কথা ১৯৪৭-এর আগে মওলানা আবুল কালাম আজাদ লিখেছিলেন, 'বাংলাদেশ বাইরের কোনো নেতৃত্ব মেনে নেয় না। আজ কিংবা কাল তারা সে নেতৃত্ব অস্বীকার করবে।' (কালের কণ্ঠ ১১.৫.২০১০)। ওই নিবন্ধেই লিখেছেন, 'যদি পূর্ব পাকিস্তান আমাদের সঙ্গে পূর্ণ অধিকার নিয়ে থাকত এবং জনসংখ্যা অনুযায়ী তাদের ক্ষমতার অংশীদার করা হতো, তাহলে পাকিস্তানের ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তি সাম্রাজ্যবাদী ও ধর্মান্ধ শক্তিকে পরাজিত করতে সক্ষম হতো।' একই কথা নানাভাবে বুঝিয়েছিলেন মওলানা আজাদ তাঁর বিখ্যাত নিবন্ধ 'পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা মুসলমানদের জন্য আত্মহত্যা'য়। আজ সৈয়দ ইকবাল হায়দার যা বলছেন তা সবই সত্য। কিন্তু পাকিস্তান আমলে তা কেউ শোনেনি। যেমন কেউ শোনেনি ভারত ভাগের বিপদ সম্পর্কে আজাদের কণ্ঠে। আজাদ নিজেই সে কথা লিখেছেন, 'মুসলমানরা এখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি কথাও শোনার পক্ষপাতী নয়, যতক্ষণ না পর্যন্ত এরা এটা হাতে পায় ও ভোগ করতে পারে। আজকের মুসলমানরা সাদাকে কালো বলতে রাজি আছে, কিন্তু পাকিস্তান দাবি ছাড়বে না।' (কালের কণ্ঠ, ১১.৫.১০)। পাকিস্তান ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত তারা বাঙালির কণ্ঠে গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা শুনতে রাজি ছিল না। অনেক খেসারত দেওয়ার পর আজ পাকিস্তানি শাসকশ্রেণীর একজন সদস্য সাদাকে সাদা বলতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ একটি রাষ্ট্রের টিকে থাকা যে তার ওপর নির্ভরশীল। গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা না থাকায় পাকিস্তান টেকেনি, কিন্তু তা থাকার জন্য ভারত আজও অখণ্ড অবস্থায় টিকে আছে।
এখানে একাত্তরের অপরাধের জন্য বিচারের উদ্যোগ চলছে। এসব হচ্ছে প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। যারা ওই সময় অপরাধ করেছে, তাদের শাস্তি পেতেই হবে। আমি মনে করি, পাকিস্তানকেও এ ধরনের বিচার ও শাস্তি প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে যারা প্রতিদিন মানুষ হত্যা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছে ১৯৫১ সালে প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে হত্যার মাধ্যমে। ভুট্টো ও তাঁর কন্যাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি দুঃখ করে বলেন, 'তাঁর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি এখন দেশের ক্ষমতায় রয়েছে; কিন্তু ঘাতকদের বিচার হয়নি। এ জন্য কার্যকর কোনো উদ্যোগও লক্ষ করা যায় না। এটাই পাকিস্তানের জনগণের জন্য অভিশাপ এবং যা থেকে মুক্ত হতেই হবে।' ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার মাধ্যমে এ দেশের মানুষের জীবনে অভিশাপ নেমে এসেছিল। আইন করে সে বিচারের সব রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছিল ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। তারপর জাতি সে অভিশাপ থেকে মুক্তিলাভ করেছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে। কিন্তু খালেদা জিয়া দু'দুবার প্রধানমন্ত্রী থাকলেও তাঁর স্বামী জিয়াউর রহমানের বিচারের কথা একবারও মুখে আনেননি। কেন? এর উত্তর জানা একান্ত আবশ্যিক। জিয়া, তাহের, জেলহত্যাসহ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এখনো হয়নি। বর্তমান সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জাতিকে সে অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে। আমরা সবাই সে উদ্যোগের সাফল্য কামনা করি।
অনেক কিছুই লেখার ছিল। কিন্তু সম্পাদক এর বেশি জায়গা দিতে রাজি হবেন না। তাই লেখাটা এখানেই শেষ করতে হয়। তবে সৈয়দ ইকবাল হায়দার তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে যা লিখেছেন তা নিয়ে আমারও কিছু লেখা আছে। তবে তাঁর মুখে এ কথা শুনে আর এক নতুন অ্যাঙ্গেলে বিষয়টি লেখার ইচ্ছা ছিল। তবে আজাদের ওই লেখার একটি অংশ দিয়ে আজ শেষ করব। তিনি লিখেছেন, 'ভারতের মুসলমানরা একই সম্প্রদায়ের নয়। বিভিন্ন গোষ্ঠীতে তারা বিভক্ত। হিন্দুদের বিরুদ্ধে উত্তেজনা ছড়িয়ে তাদের ঐক্যবদ্ধ করা যাবে কিন্তু ইসলামের নামে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করা যাবে না।' মুসলমান-মুসলমান দ্বন্দ্ব-সংঘাত আজও শেষ হয়নি। আজ এক গোষ্ঠীর মুসলমান অন্য গোষ্ঠীর মসজিদে বোমা মেরে মুসলি্ল হত্যা করে চলেছে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা এ সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। একমাত্র গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রই পারে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করতে। সে কথাই সৈয়দ ইকবাল হায়দার বলে গেলেন। বাংলাদেশের সব গণতন্ত্রমনা মানুষ তাঁর বক্তব্যকে সমর্থন করে।
========================
আলোচনা- 'পায়ে পড়ি বাঘ মামা, বেঁচে থাকো'  আন্তর্জাতিক- 'পুরনো বন্ধুকে ত্যাগ করতে প্রস্তুত চীন  আমরাই পারি 'দ্বিতীয় রাজধানী' গড়তে  খবর- পুলিশি হরতাল  যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'উপদেশের খেসারত'  গল্প- 'স্বপ্নভঙ্গের ইতিবৃত্ত'  স্মরণ- 'জগদীশচন্দ্র বসুর কথা বলি'  যুক্তি তর্ক গল্পালোচনা- 'প্রধানমন্ত্রী কি হরতাল চান?  ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা রাজনীতির নতুমাত্রা  খবর, বিএনপি কর্মীদের দাঁড়াতে দেয়নি পুলিশ  গল্প- 'আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসারে'  গল্প- 'মহামানুষের গল্প' by রাসেল আহমেদ  গল্পালোচনা- 'যেভাবে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়!' by আলী হবিব  জলবায়ু সম্মেলনঃ আমি কেন কানকুনে যাচ্ছি? by মেরি রবিনস  ভ্রমণ- 'মেঘনায় যায় মেঘনা রানী' by সালেক খোকন  ভ্রমণ- 'গন্তব্য নাফাখুম' by জাকারিয়া সবুজ  আলোচনা- 'এখনো একটি গ্রেট গেইম অস্বস্তিকরভাবে প্রাসঙ্গিক' by এম আবদুল আজিজ  গল্পসল্প- জীবন ঢেকে যাচ্ছে বালুতে  প্রকৃতি- কোপেনহেগেন থেকে কানকুনঃ সময় এসেছে মুহূর্তটিকে কাজে লাগানোর by জেমস এফ মরিয়ার্টি  আলোচনা- দরিদ্র মানুষের পাঁজরের ওপর দুর্দান্ত পাজেরো  বিএনপির মিছিলে পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের পিটুনি  খবর কালের কন্ঠের- হরতালের ধরপাকড় চলছেই  খবর- খুনের মামলা প্রত্যাহার, শীর্ষ সন্ত্রাসীর অব্যাহতি by নজরুল ইসলাম  প্রকৃতি- চট্টগ্রামে ঐতিহ্যের পাহাড় কেটে বহুতল ভবনঃ সুরক্ষার পরিকল্পনা ধ্বংসের অনুমোদন



দৈনিক কালের কণ্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ মহসীন হাবিব
সাংবাদিক


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.