পাকিস্তানে এক নারীর নাক কেটে দেওয়া হয়েছে
ব্যভিচারের অভিযোগে পাকিস্তানে এক নারীর নাক কেটে দিয়েছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ অপরাধে তাঁর মাথাও ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালায় সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে।
ওই নারীর নাম আসিয়া বিবি। প্রতিবেশীর সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ভাশুর আনওয়ার, তাঁর স্ত্রী কুলসুম এবং দুই ছেলে ওয়াকাস ও আওয়াইস মিলে তাঁর নাক ও মাথার চুল কেটে দেন।আসিয়া বিবির এক প্রতিবেশী নিদার বরাত দিয়ে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে প্রায় সাত বছর ধরে বসবাস করছেন আসিয়া। তাঁর স্বামী কাজ করেন মুলতানে। এ কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুব কম সময়ই সাক্ষাৎ হয়। এ সুযোগে আসিয়ার ওপর প্রায়ই নির্যাতন চালাতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন।পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর আসিয়াকে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। সেখানে তিন দিন গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন তিনি। পরে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। আসিয়া বলেছেন, ‘তারা আমাকে ঘরে আটকে রেখে পিটিয়েছে। আমাকে ঠিকমতো খাবারও দেয়নি। আমার শরীর থেকে এখনো রক্ত ঝরছে।’পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, আসিয়াকে উদ্ধার করার সময় তাঁর অবস্থা ছিল খুবই শোচনীয়। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে ক্ষতস্থানে সেলাই দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বড় ধরনের সংক্রমণ থেকে তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট আজম শেখ বলেন, ‘ঘটনার তিন দিনেও চিকিৎসা না হওয়ায় ক্ষতস্থানে কোনো সংক্রমণ না ঘটায় আমরা বিস্মিত।’ তিনি বলেন, আসিয়ার চিকিৎসা চলছে। আশা করা হচ্ছে, পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি। বর্বরোচিত এ ঘটনায় মোটেও অনুতপ্ত নন আসিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাঁর ভাশুর আনওয়ার বলেন, ‘প্রতিবেশী এক ব্যক্তির সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা তাকে হাতেনাতে ধরেছি এবং এর শাস্তি দিয়েছি। সে যা অপরাধ করেছে, তার উপযুক্ত শাস্তিই দেওয়া হয়েছে।’
ওই নারীর নাম আসিয়া বিবি। প্রতিবেশীর সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ভাশুর আনওয়ার, তাঁর স্ত্রী কুলসুম এবং দুই ছেলে ওয়াকাস ও আওয়াইস মিলে তাঁর নাক ও মাথার চুল কেটে দেন।আসিয়া বিবির এক প্রতিবেশী নিদার বরাত দিয়ে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে প্রায় সাত বছর ধরে বসবাস করছেন আসিয়া। তাঁর স্বামী কাজ করেন মুলতানে। এ কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খুব কম সময়ই সাক্ষাৎ হয়। এ সুযোগে আসিয়ার ওপর প্রায়ই নির্যাতন চালাতেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন।পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর আসিয়াকে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। সেখানে তিন দিন গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন তিনি। পরে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। আসিয়া বলেছেন, ‘তারা আমাকে ঘরে আটকে রেখে পিটিয়েছে। আমাকে ঠিকমতো খাবারও দেয়নি। আমার শরীর থেকে এখনো রক্ত ঝরছে।’পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, আসিয়াকে উদ্ধার করার সময় তাঁর অবস্থা ছিল খুবই শোচনীয়। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে ক্ষতস্থানে সেলাই দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বড় ধরনের সংক্রমণ থেকে তিনি অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন। মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট আজম শেখ বলেন, ‘ঘটনার তিন দিনেও চিকিৎসা না হওয়ায় ক্ষতস্থানে কোনো সংক্রমণ না ঘটায় আমরা বিস্মিত।’ তিনি বলেন, আসিয়ার চিকিৎসা চলছে। আশা করা হচ্ছে, পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি। বর্বরোচিত এ ঘটনায় মোটেও অনুতপ্ত নন আসিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাঁর ভাশুর আনওয়ার বলেন, ‘প্রতিবেশী এক ব্যক্তির সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা তাকে হাতেনাতে ধরেছি এবং এর শাস্তি দিয়েছি। সে যা অপরাধ করেছে, তার উপযুক্ত শাস্তিই দেওয়া হয়েছে।’
No comments