রিয়ালকে ৫ গোলের লজ্জা দিল বার্সেলোনা
ডাচ কিংবদন্তি জোহান ক্রুইফের অধীনে ৯০-এর দশকের বার্সেলোনাকে ডাকা হতো ‘স্বপ্নের দল’ বলে। এল ক্ল্যাসিকোতে রিয়ালের বিপক্ষে বার্সেলোনার সবচেয়ে বড় ব্যবধানে ৫-০ গোলের জয়ও শেষবার এসেছিল সে সময়ই। সেই ম্যাচটাতে মাঠে থেকে জয় উদ্যাপন করেছিলেন বার্সার বর্তমান কোচ পেপ গার্দিওলা। এবার তিনি সেই একই কীর্তি করে দেখালেন কোচ হিসেবে। মরিনহোর রিয়াল মাদ্রিদকে গোলবন্যায় ডুবিয়ে অব্যাহত রাখলেন টানা পাঁচ ম্যাচের জয়যাত্রা। অন্যদিকে ‘এল ক্ল্যাসিকোর মর্যাদার লড়াইয়ে ন্যু ক্যাম্প থেকে ৫-০ গোলের লজ্জা নিয়ে ফিরে যেতে হলো রিয়াল মাদ্রিদকে। হারাতে হলো লা লিগার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানটাও।
বার্সেলোনার এই গোল উত্সবে ন্যু ক্যাম্প যার দিকে সবচেয়ে বেশি তাকিয়ে ছিল, সেই মেসিই যোগ দিতে পারেননি। অবশ্য ন্যু ক্যাম্পে রিয়ালের বিপক্ষে প্রথম গোলটা আসতে পারত তাঁর পা থেকেই। খেলার শুরুতেই পাঁচ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক চিপে রিয়াল গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসকে পরাস্ত করলেও শেষ পর্যন্ত সেটা গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। কিন্তু প্রথম গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি কাতালানদের। ১০ মিনিটে রিয়ালের গোলমুখের দ্বার খুলে দেন জাভি। কয়েক মিনিট পর রিয়ালের পক্ষেও একটা ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার এঙ্গেল ডি মারিয়া। কিন্তু বার্সা গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেজ সেই গোলপ্রচেষ্টা রুখে দেন অসাধারণ দক্ষতায়। এবার ১৭ মিনিটের মাথায় পাল্টা আক্রমণে রিয়ালকেই আবার গোল দিয়ে বসেন বার্সার ১৭ নম্বর জার্সিধারী পেদ্রো। ২ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করার পর দ্বিতীয়ার্ধে রিয়ালের ওপর আরও চড়াও হয়ে খেলতে থাকে বার্সেলোনা। গোল করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫ আর ৫৮ মিনিটে স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ডেভিড ভিয়াকে দিয়ে দুটি গোল করিয়েছেন মেসি। ৮৭ মিনিটে পেদ্রোর বদলি হিসেবে নেমে এল ক্ল্যাসিকোতে গোল করার দুর্লভ সুযোগ পেয়ে যান জেফরেন সুয়ারেজ। ক্যাসিয়াসের মাথার ওপর দিয়ে আলতো চিপে রিয়ালের জালে পঞ্চমবারের মতো বল জড়িয়ে দেন এই তরুণ বার্সা স্ট্রাইকার।
গত দুই মৌসুমে টানা চার ম্যাচে বার্সার কাছে হারের প্রতিশোধ নিতেই ন্যু ক্যাম্পে এসেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এসেছিল এ সময়ের অন্যতম সেরা কোচ হোসে মরিনহোর অনুপ্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে। টানা ১৯টি ম্যাচে হারের মুখ না দেখার আত্মবিশ্বাসও ছিল তাদের বড় শক্তি। কিন্তু সেগুলো সবই নস্যাৎ হয়ে গেল মেসি, জাভি, পেদ্রো, ভিয়াদের দুর্দান্ত দাপটে। প্রতিশোধের স্পৃহা অবশ্য একটু ভিন্নভাবে হলেও বার্সেলোনারও ছিল। সেটা অবশ্য রিয়ালের বিপক্ষে নয়, মরিনহোর বিপক্ষে। গত মৌসুমে মরিনহোর ইন্টার মিলানের কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে হেরেই শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল তাদের। এবার রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে মরিনহোকেও যেন একহাত দেখিয়ে দিল গার্দিওলার শিষ্যরা!
বার্সেলোনার এই গোল উত্সবে ন্যু ক্যাম্প যার দিকে সবচেয়ে বেশি তাকিয়ে ছিল, সেই মেসিই যোগ দিতে পারেননি। অবশ্য ন্যু ক্যাম্পে রিয়ালের বিপক্ষে প্রথম গোলটা আসতে পারত তাঁর পা থেকেই। খেলার শুরুতেই পাঁচ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক চিপে রিয়াল গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসকে পরাস্ত করলেও শেষ পর্যন্ত সেটা গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। কিন্তু প্রথম গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি কাতালানদের। ১০ মিনিটে রিয়ালের গোলমুখের দ্বার খুলে দেন জাভি। কয়েক মিনিট পর রিয়ালের পক্ষেও একটা ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার এঙ্গেল ডি মারিয়া। কিন্তু বার্সা গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেজ সেই গোলপ্রচেষ্টা রুখে দেন অসাধারণ দক্ষতায়। এবার ১৭ মিনিটের মাথায় পাল্টা আক্রমণে রিয়ালকেই আবার গোল দিয়ে বসেন বার্সার ১৭ নম্বর জার্সিধারী পেদ্রো। ২ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করার পর দ্বিতীয়ার্ধে রিয়ালের ওপর আরও চড়াও হয়ে খেলতে থাকে বার্সেলোনা। গোল করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫ আর ৫৮ মিনিটে স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ডেভিড ভিয়াকে দিয়ে দুটি গোল করিয়েছেন মেসি। ৮৭ মিনিটে পেদ্রোর বদলি হিসেবে নেমে এল ক্ল্যাসিকোতে গোল করার দুর্লভ সুযোগ পেয়ে যান জেফরেন সুয়ারেজ। ক্যাসিয়াসের মাথার ওপর দিয়ে আলতো চিপে রিয়ালের জালে পঞ্চমবারের মতো বল জড়িয়ে দেন এই তরুণ বার্সা স্ট্রাইকার।
গত দুই মৌসুমে টানা চার ম্যাচে বার্সার কাছে হারের প্রতিশোধ নিতেই ন্যু ক্যাম্পে এসেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এসেছিল এ সময়ের অন্যতম সেরা কোচ হোসে মরিনহোর অনুপ্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে। টানা ১৯টি ম্যাচে হারের মুখ না দেখার আত্মবিশ্বাসও ছিল তাদের বড় শক্তি। কিন্তু সেগুলো সবই নস্যাৎ হয়ে গেল মেসি, জাভি, পেদ্রো, ভিয়াদের দুর্দান্ত দাপটে। প্রতিশোধের স্পৃহা অবশ্য একটু ভিন্নভাবে হলেও বার্সেলোনারও ছিল। সেটা অবশ্য রিয়ালের বিপক্ষে নয়, মরিনহোর বিপক্ষে। গত মৌসুমে মরিনহোর ইন্টার মিলানের কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে হেরেই শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল তাদের। এবার রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে মরিনহোকেও যেন একহাত দেখিয়ে দিল গার্দিওলার শিষ্যরা!
No comments