স্পিনের ফাঁদ দেখল জিম্বাবুয়ে
হ্যামিল্টন মাসাকাদজা কি নিজের কথাটা তুলে নেবেন? ঢাকায় পা রেখেই জিম্বাবুইয়ান সহ-অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘আমরা জানি, বাংলাদেশে আমাদের এক গাদা স্পিনারের মোকাবিলা করতে হবে। আমরাও প্রস্তুত হয়েই এসেছি।’ স্পিন মোকাবিলায় জিম্বাবুয়ে কতটা প্রস্তুত, বোঝা যাবে আগামীকাল শুরু হওয়া পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে। তবে সিরিজ শুরুর আগে কাল বিকেএসপিতে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে স্পিনেই ধরাশায়ী তারা!
৯ উইকেটে ২২৩ রানের পুঁজি গড়েও যে বিসিবি একাদশ ২৯ রানে জিতেছে, সে স্পিনারদের কাঁধে চেপেই। জিম্বাবুয়ের ১০ উইকেটের ৭টিই তুলে নিয়েছেন স্পিনাররা।
সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা হয়ে গেছে আগের দিনই। দলে জায়গা পাওয়ার হাতছানি তাই বিসিবি একাদশের কারও জন্যই ছিল না। তবে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ভালো করার পরও বাদ পড়ার সিদ্ধান্তকে এ ম্যাচে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিতে পারতেন শাহরিয়ার নাফীস। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে দলকে জয় এনে দিলেও ব্যাট হাতে নির্বাচকদের জবাব দিতে পারেননি তিনি। ওপেনিংয়ে নেমে আউট হয়েছেন মাত্র ১০ রান করে।
অনুশীলনটাই বড় বলে প্রস্তুতি ম্যাচে দুই দলে খেলেছে ১৩ জন করেন ক্রিকেটার (ব্যাটিং করেছেন ১১ জনই)। টসজয়ী বিসিবি একাদশের ২২৩ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে অলআউট ১৯৪ রানে।
উইকেটে শীতের শিশির জমে থাকার কারণেই কি না, সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বিসিবি একাদশ। এর পরও ২২৩ রানের পুঁজি পাওয়া আসিফ আহমেদ (৪৬), সগির হোসেন (৪৯) ও টেলএন্ডারদের কিছুটা মেরে খেলার সৌজন্যে। এর আগে পঞ্চম আসিফ ও মার্শাল আইয়ুবের ৪৩ জুটিতে শুরুর বিপর্যয়টা এড়িয়েছিল শাহরিয়ারের দল। ষষ্ঠ উইকেটে আসিফ-সগির গড়েন ৫৩ রানের জুটি। বিসিবি একাদশের স্পিনাররা সফল হলেও জিম্বাবুয়ের বোলিংয়ে সফল পেসাররা। দুই পেসার ক্রিস্টোফার পোফু ও কিগান মিথ মিলেই নিয়েছেন ৭টি উইকেট।
জিম্বাবুয়ে ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দেন সহ-অধিনায়ক সৈয়দ রাসেল। দলের ৩০ রানের সময় আলাউদ্দিন ফিরিয়ে দেন ব্রেন্ডন টেলরকেও। এরপর চিবাবা, টাটেন্ডা টাইবু মিলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও স্পিনের ফাঁদে দুজনকেই আটকে ফেলেন নূর হোসেন। সঙ্গে অলক-ফজলে মাহমুদদের স্পিনও যোগ হওয়ায় ১০৮ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে। উতসেয়া-কিগান মেথের ৫৩ রানের জুটিতে খানিক আশা জাগলেও আসিফের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরে যান দুজনই। ব্যর্থ হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ভাই সিঙ্গিরাই মাসাকাদজাও। ৭ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেট শূন্য। হার দিয়ে সফর শুরু, তার পরও হতাশ নয় জিম্বাবুয়ে শিবির। কোচ অ্যালান বুচার বললেন, ম্যাচটাকে তাঁরা নিয়েছিলেন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ হিসেবে। অন্য দিকে দল থেকে ছিটকে পড়া শাহরিয়ার নাফীস মনে করছেন, এই জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশই করা উচিত বাংলাদেশের।
প্রস্তুতি ম্যাচে হারিয়ে শুরুতেই জিম্বাবুয়ের মনোবল নাড়িয়ে দেওয়ার কাজটা করে দিয়েছে বিসিবি একাদশ। বাকি কাজটা সাকিব আল হাসানদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বিসিবি একাদশ: ৫০ ওভারে ২২৩/৯ (ফজলে আহমেদ ৩০, নাফিস ১০, জহিরুল ৭, অলক ১, আসিফ ৪৬, মার্শাল ১৩, সগীর ৪৯, মাহমুদুল ২৮, আলাউদ্দিন ১৪, ফরহাদ ১০; মেথ ৪/৪৬, পোফু ৩/৩৭, প্রাইস /১১৯, ক্রেমার /১৩৬, উতসেয়া ১/৩৪)।
জিম্বাবুয়ে: ৪৬.১ ওভারে ১৯৪ (টেলর ১৭, চিবাবা ২৪, টাইবু ৩২, কিগান ২৫, উতসেয়া ২৬, ক্রেমার ২১; নূর হোসেন ৩/৪০, আসিফ ২/২২, অলক ১/১৩, আলাউদ্দিন ১/১৬, ফজলে আহমেদ ১/৩৩, রাসেল ১/৩৮)।
ফল: বিসিবি একাদশ ২৯ রানে জয়ী।
৯ উইকেটে ২২৩ রানের পুঁজি গড়েও যে বিসিবি একাদশ ২৯ রানে জিতেছে, সে স্পিনারদের কাঁধে চেপেই। জিম্বাবুয়ের ১০ উইকেটের ৭টিই তুলে নিয়েছেন স্পিনাররা।
সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা হয়ে গেছে আগের দিনই। দলে জায়গা পাওয়ার হাতছানি তাই বিসিবি একাদশের কারও জন্যই ছিল না। তবে নিউজিল্যান্ড সিরিজে ভালো করার পরও বাদ পড়ার সিদ্ধান্তকে এ ম্যাচে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিতে পারতেন শাহরিয়ার নাফীস। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে দলকে জয় এনে দিলেও ব্যাট হাতে নির্বাচকদের জবাব দিতে পারেননি তিনি। ওপেনিংয়ে নেমে আউট হয়েছেন মাত্র ১০ রান করে।
অনুশীলনটাই বড় বলে প্রস্তুতি ম্যাচে দুই দলে খেলেছে ১৩ জন করেন ক্রিকেটার (ব্যাটিং করেছেন ১১ জনই)। টসজয়ী বিসিবি একাদশের ২২৩ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে অলআউট ১৯৪ রানে।
উইকেটে শীতের শিশির জমে থাকার কারণেই কি না, সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বিসিবি একাদশ। এর পরও ২২৩ রানের পুঁজি পাওয়া আসিফ আহমেদ (৪৬), সগির হোসেন (৪৯) ও টেলএন্ডারদের কিছুটা মেরে খেলার সৌজন্যে। এর আগে পঞ্চম আসিফ ও মার্শাল আইয়ুবের ৪৩ জুটিতে শুরুর বিপর্যয়টা এড়িয়েছিল শাহরিয়ারের দল। ষষ্ঠ উইকেটে আসিফ-সগির গড়েন ৫৩ রানের জুটি। বিসিবি একাদশের স্পিনাররা সফল হলেও জিম্বাবুয়ের বোলিংয়ে সফল পেসাররা। দুই পেসার ক্রিস্টোফার পোফু ও কিগান মিথ মিলেই নিয়েছেন ৭টি উইকেট।
জিম্বাবুয়ে ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দেন সহ-অধিনায়ক সৈয়দ রাসেল। দলের ৩০ রানের সময় আলাউদ্দিন ফিরিয়ে দেন ব্রেন্ডন টেলরকেও। এরপর চিবাবা, টাটেন্ডা টাইবু মিলে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও স্পিনের ফাঁদে দুজনকেই আটকে ফেলেন নূর হোসেন। সঙ্গে অলক-ফজলে মাহমুদদের স্পিনও যোগ হওয়ায় ১০৮ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে। উতসেয়া-কিগান মেথের ৫৩ রানের জুটিতে খানিক আশা জাগলেও আসিফের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরে যান দুজনই। ব্যর্থ হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ভাই সিঙ্গিরাই মাসাকাদজাও। ৭ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেট শূন্য। হার দিয়ে সফর শুরু, তার পরও হতাশ নয় জিম্বাবুয়ে শিবির। কোচ অ্যালান বুচার বললেন, ম্যাচটাকে তাঁরা নিয়েছিলেন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ হিসেবে। অন্য দিকে দল থেকে ছিটকে পড়া শাহরিয়ার নাফীস মনে করছেন, এই জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশই করা উচিত বাংলাদেশের।
প্রস্তুতি ম্যাচে হারিয়ে শুরুতেই জিম্বাবুয়ের মনোবল নাড়িয়ে দেওয়ার কাজটা করে দিয়েছে বিসিবি একাদশ। বাকি কাজটা সাকিব আল হাসানদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বিসিবি একাদশ: ৫০ ওভারে ২২৩/৯ (ফজলে আহমেদ ৩০, নাফিস ১০, জহিরুল ৭, অলক ১, আসিফ ৪৬, মার্শাল ১৩, সগীর ৪৯, মাহমুদুল ২৮, আলাউদ্দিন ১৪, ফরহাদ ১০; মেথ ৪/৪৬, পোফু ৩/৩৭, প্রাইস /১১৯, ক্রেমার /১৩৬, উতসেয়া ১/৩৪)।
জিম্বাবুয়ে: ৪৬.১ ওভারে ১৯৪ (টেলর ১৭, চিবাবা ২৪, টাইবু ৩২, কিগান ২৫, উতসেয়া ২৬, ক্রেমার ২১; নূর হোসেন ৩/৪০, আসিফ ২/২২, অলক ১/১৩, আলাউদ্দিন ১/১৬, ফজলে আহমেদ ১/৩৩, রাসেল ১/৩৮)।
ফল: বিসিবি একাদশ ২৯ রানে জয়ী।
No comments