সেই ঝলমলে ফেদেরার
ইতিহাসের পাতায় দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেহেতু ধ্রুপদি বলে ঠাঁই নিয়েছে, সে কারণে দুজনের মুখোমুখি হওয়া মানেই তো তা মহাকাব্যিক লড়াই। কিন্তু এই প্রথম রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালের লড়াই মহাকাব্যিক দূরে থাক, একটা বড় উচ্চতায়ও উঠল না। বিশ্ব র্যাঙ্কিং-শ্রেষ্ঠ নাদালকে তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী, র্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে থাকা ফেদেরার এটিপি ট্যুরস ফাইনালসে হারালেন সুস্পষ্ট ব্যবধানে। পরশু লন্ডনের ও-টু অ্যারেনায় নাদালের বিপক্ষে (৬-৩, ৩-৬, ৬-১) এই জয় ফেদেরারকে দিল বছর শেষের মর্যাদার টুর্নামেন্টের পঞ্চম শিরোপা, এর আগে যে কৃতিত্ব ছিল শুধু ইভান লেন্ডল ও পিট সাম্প্রাসের।
২০০৭-এর পর আবার বছর শেষের টুর্নামেন্টের জয় ফেদেরারকে দিল ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার প্রাইজমানি, ১৫০০ র্যাঙ্কিং পয়েন্টে আবারও র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠার পথের দিশা। তবে সবচেয়ে বেশি করে তাঁকে যা দিল, তা আত্মবিশ্বাস। সঙ্গে এ-ও বলে দিল, টেনিসের মহান শিল্পীর এপিটাফ যদি লিখে ফেলে থাকেন কেউ, সে বড় ভুল। অস্তগামী বছরটায় শুধু একটি গ্র্যান্ড স্লাম জয় তাঁর মনের মধ্যে যে যন্ত্রণার কাঁটা ফুটিয়ে দিয়েছিল, সেটি যেন তুলে ফেলতে পেরেছেন। টেনিস তাই আবার দেখা দিয়েছে আনন্দ হয়ে, ‘আমি সত্যিই এই সপ্তাহে এখানে খেলাটা উপভোগ করেছি। এখানে দুর্দান্ত একটি পরিবেশ পেয়েছি আবার।’ প্রবল প্রতিপক্ষ নাদালকে ‘সকৌতুকে’ অভিবাদনও জানিয়েছেন, ‘আমি রাফার ছুটিটা মাটি করিনি। সে তো অসাধারণ একটা বছর কাটাল, যা কোনো খেলোয়াড় কেবল স্বপ্নেই ভাবতে পারে।’
সত্যিই স্বপ্নের মতোই গেছে নাদালের বছর। জিতেছেন শেষ তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। মাত্র চব্বিশেই ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড স্লামের সঙ্গে ফেদেরারের হাত থেকে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর জায়গাটা কেড়ে নেওয়া, নিজেকে ক্রমান্বয়ে অস্পর্শনীয় জায়গায় নিয়ে যাওয়া—নাদাল বছর শেষের টুর্নামেন্টেও ফেবারিট ছিলেন। মুখোমুখি ২১ লড়াইয়ে ১৪-৭-এ এগিয়ে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বীর পক্ষেই বাজিটা থাকে স্বাভাবিক। কিন্তু লন্ডনে এসে এবার ফেদেরার নিজেকে জাগিয়ে তুললেন হতাশার বৃত্ত ভেঙে। ডেভিড ফেরার, অ্যান্ডি মারে, রবিন সোদারলিং ও নোভাক জোকোভিচের বিপক্ষে দারুণ খেলে সেই পুরোনো ফেদেরারে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। ২০০৮ গ্র্যান্ড স্লামের মহাকাব্যিক ফাইনালটা যেখানে হেরেছিলেন নাদালের কাছে, সেখানেই তাঁকে পারস্পরিক ২২তম লড়াইয়ে চুরমার করলেন। আবার দেখা গেল তাঁর সেই ভয়ংকর ফোরহ্যান্ডগুলো। নাদালের মধ্যে জয়ের জন্য সেই ভয়ংকর আগ্রাসনই দেখা যায়নি, যদিও দ্বিতীয় সেট জিতে তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। এই সাফল্যে ফেদেরার আবার নতুন করে উজ্জীবিত হলেন আশায়—২০১১ সালের মধ্যেই ফিরে পাবেন হারানো শীর্ষস্থান।
কিন্তু ফেদেরার আসলে বদলে গেছেন কিসে? বছর শেষের টুর্নামেন্ট জেতায় প্রশংসা করেছেন তিনি কোচদের। উইম্বলডন ও ফ্রেঞ্চ ওপেনের উইম্বলডনের ব্যর্থতার পর ১৬ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক কোচ করে আনেন পল অ্যানাকোনেকে। তাঁর কোচিং স্টাফে যুক্ত হন সুইস ডেভিস কাপ অধিনায়ক সেভেরিন লুথি। এঁদের কাছে সুইস তারকার কৃতজ্ঞতার কারণটাও বোঝা যাচ্ছে তাঁর এ কথায়, ‘আমার মনে হয়, শারীরিকভাবে আমি আগের দুই বছরের চেয়ে ভালো বোধ করছি।’
নাদাল বরাবরের মতোই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, ‘ক্লান্ত ছিলাম বলেই কিন্তু আমি হারিনি। আমি দুর্দান্ত ফেদেরারের কাছে হেরেছি তাঁর অন্যতম প্রিয় সারফেসে। ও যদি এভাবে খেলতে থাকে, তাকে থামানো খুবই কঠিন।’ তাহলে বছর শেষে পুনর্জন্ম হলো রজার ফেদেরারের?
২০০৭-এর পর আবার বছর শেষের টুর্নামেন্টের জয় ফেদেরারকে দিল ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার প্রাইজমানি, ১৫০০ র্যাঙ্কিং পয়েন্টে আবারও র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠার পথের দিশা। তবে সবচেয়ে বেশি করে তাঁকে যা দিল, তা আত্মবিশ্বাস। সঙ্গে এ-ও বলে দিল, টেনিসের মহান শিল্পীর এপিটাফ যদি লিখে ফেলে থাকেন কেউ, সে বড় ভুল। অস্তগামী বছরটায় শুধু একটি গ্র্যান্ড স্লাম জয় তাঁর মনের মধ্যে যে যন্ত্রণার কাঁটা ফুটিয়ে দিয়েছিল, সেটি যেন তুলে ফেলতে পেরেছেন। টেনিস তাই আবার দেখা দিয়েছে আনন্দ হয়ে, ‘আমি সত্যিই এই সপ্তাহে এখানে খেলাটা উপভোগ করেছি। এখানে দুর্দান্ত একটি পরিবেশ পেয়েছি আবার।’ প্রবল প্রতিপক্ষ নাদালকে ‘সকৌতুকে’ অভিবাদনও জানিয়েছেন, ‘আমি রাফার ছুটিটা মাটি করিনি। সে তো অসাধারণ একটা বছর কাটাল, যা কোনো খেলোয়াড় কেবল স্বপ্নেই ভাবতে পারে।’
সত্যিই স্বপ্নের মতোই গেছে নাদালের বছর। জিতেছেন শেষ তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। মাত্র চব্বিশেই ক্যারিয়ার গ্র্যান্ড স্লামের সঙ্গে ফেদেরারের হাত থেকে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর জায়গাটা কেড়ে নেওয়া, নিজেকে ক্রমান্বয়ে অস্পর্শনীয় জায়গায় নিয়ে যাওয়া—নাদাল বছর শেষের টুর্নামেন্টেও ফেবারিট ছিলেন। মুখোমুখি ২১ লড়াইয়ে ১৪-৭-এ এগিয়ে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বীর পক্ষেই বাজিটা থাকে স্বাভাবিক। কিন্তু লন্ডনে এসে এবার ফেদেরার নিজেকে জাগিয়ে তুললেন হতাশার বৃত্ত ভেঙে। ডেভিড ফেরার, অ্যান্ডি মারে, রবিন সোদারলিং ও নোভাক জোকোভিচের বিপক্ষে দারুণ খেলে সেই পুরোনো ফেদেরারে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। ২০০৮ গ্র্যান্ড স্লামের মহাকাব্যিক ফাইনালটা যেখানে হেরেছিলেন নাদালের কাছে, সেখানেই তাঁকে পারস্পরিক ২২তম লড়াইয়ে চুরমার করলেন। আবার দেখা গেল তাঁর সেই ভয়ংকর ফোরহ্যান্ডগুলো। নাদালের মধ্যে জয়ের জন্য সেই ভয়ংকর আগ্রাসনই দেখা যায়নি, যদিও দ্বিতীয় সেট জিতে তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। এই সাফল্যে ফেদেরার আবার নতুন করে উজ্জীবিত হলেন আশায়—২০১১ সালের মধ্যেই ফিরে পাবেন হারানো শীর্ষস্থান।
কিন্তু ফেদেরার আসলে বদলে গেছেন কিসে? বছর শেষের টুর্নামেন্ট জেতায় প্রশংসা করেছেন তিনি কোচদের। উইম্বলডন ও ফ্রেঞ্চ ওপেনের উইম্বলডনের ব্যর্থতার পর ১৬ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক কোচ করে আনেন পল অ্যানাকোনেকে। তাঁর কোচিং স্টাফে যুক্ত হন সুইস ডেভিস কাপ অধিনায়ক সেভেরিন লুথি। এঁদের কাছে সুইস তারকার কৃতজ্ঞতার কারণটাও বোঝা যাচ্ছে তাঁর এ কথায়, ‘আমার মনে হয়, শারীরিকভাবে আমি আগের দুই বছরের চেয়ে ভালো বোধ করছি।’
নাদাল বরাবরের মতোই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, ‘ক্লান্ত ছিলাম বলেই কিন্তু আমি হারিনি। আমি দুর্দান্ত ফেদেরারের কাছে হেরেছি তাঁর অন্যতম প্রিয় সারফেসে। ও যদি এভাবে খেলতে থাকে, তাকে থামানো খুবই কঠিন।’ তাহলে বছর শেষে পুনর্জন্ম হলো রজার ফেদেরারের?
No comments