একটি সোনার পদকের জন্য
সদ্য সমাপ্ত গুয়াংজু এশিয়ান গেমসে ১৯৯টি সোনার পদক নিয়ে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে চীন। স্বাগতিক হিসেবে যেকোনো দেশেরই সোনার পদক জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। কারণ স্বাগতিকেরা সব সময়ই নিজেদের পছন্দমতো কিছু খেলা এসব গেমসে অন্তর্ভুক্ত করে, যেগুলোতে তাদের সব ধরনের পদক জয়ের সম্ভাবনা থেকে যায়। এবারের এশিয়ান গেমসেও চীন এমনই কিছু খেলা অন্তর্ভুক্ত করেছিল, যেসব খেলায় তাদের অধিপত্য প্রশ্নাতীত। উইকি ও জিয়ানকির মতো একেবারে আবহমান চীনা খেলার এশিয়ান গেমসে অন্তর্ভুক্তি তারই প্রমাণ।
স্বাগতিক দেশ হিসেবে চীন তাদের পছন্দমতো খেলা অন্তর্ভুক্তি করতেই পারে। এতে অস্বাভাবিকতার কিছু নেই। তবে অস্বাভাবিক ব্যাপার যেটা, সেটা হলো সোনা জয়ের জন্য অন্য কোনো দেশকে পৃষ্ঠপোষকতা করা। এবারের এশিয়ান গেমসে এমনই একটা ঘটনা ঘটেছে, যেখানে চীন সোনা জয়ের জন্য অন্য একটি দেশকে নিজেদেরে খরচে গুয়াংজু এনেছে, এমনকি তাদের যাবতীয় আতিথেয়তার ভারও বহন করেছে।
এই ‘অন্য আরেকটি দেশ’ হলো ভারত। আর খেলাটি হলো মেয়েদের ওয়াটার পোলো। আজ মঙ্গলবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়েছে, মেয়েদের ওয়াটার পোলোতে প্রাথমিকভাবে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা তিন হওয়াতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির নিয়মানুযায়ী খেলাটি এশিয়ান গেমসের ‘পদকবিহীন’ খেলায় পরিণত হতে যাচ্ছিল। অলিম্পিকের নিয়মানুযায়ী পদকের লড়াই হতে হলে যেকোনো খেলায় কমপক্ষে চারটি দলের অংশগ্রহণ হতে হবে। মেয়েদের ওয়াটার পোলোতে চীনের সোনা জয়ের সম্ভাবনা ছিল শতকরা এক শ ভাগ। কিন্তু তিনটির বেশি কোনো দেশ এতে অংশ না নেওয়ায় সেই সম্ভাবনা ধূলিসাত্ হওয়ার উপক্রম হয়। এ রকম সময়ে চীন ভারতের কাছে একটি দল পাঠানোর অনুরোধ করে। কিন্তু মেয়েদের ওয়াটার পোলোতে ভারতের অবস্থান তথৈবচ হওয়ায় ভারতীয় অলিম্পিক কমিটি দল পাঠানোর ব্যাপারে বেশ দোটানায় ছিল। চীন ভারতকে দল পাঠানোর ব্যাপারে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেয়। এমনকি এই দলটির আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়া, থাকা-খাওয়া এমনকি কেনাকাটারও সব ব্যয়ভার বহন করার প্রতিশ্রুতি দেয় চীন। এমন লোভনীয় প্রস্তাব পেয়ে ভরাডুবির সম্ভাবনা সত্ত্বেও ভারতীয় অলিম্পিক কমিটি মেয়েদের ওয়াটার পোলোতে দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রতিযোগিতা শুরুর পর ভারতীয় ওয়াটার পোলো দলের পারফরম্যান্স ছিল লজ্জাজনক। তিন খেলায় ৯৬ গোল হজম করে দলটি দেশে ফেরে। চীন ও কাজাখস্তানের কাছে ৩৮টি গোল ও উজবেকিস্তানের কাছে ২০টি করে গোল খায় ভারত। মেয়েদের ওয়াটার পোলো দলের এই পারফরম্যান্স ইতিমধ্যেই ক্ষোভের সঞ্চার করেছে ভারতজুড়ে। যেখানে এবারের এশিয়ান গেমসের সাফল্যকে ভারতের সেরা সাফল্য হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে, সেখানে মেয়েদের ওয়াটার পোলো দলটি ছিল শুভ্র দুধে এক ফোঁটা গোবর জলই।
ভারতের সাঁতার ফেডারেশন অবশ্য পুরো ব্যাপারটিকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছে। সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র নানাভাতি বলেন, ‘মেয়েদের ওয়াটার পোলোতে একটা অভিজ্ঞতা সঞ্চারের দরকার ছিল। গুয়াংজু এশিয়ান গেমস এই সুযোগটি এনে দিয়েছে। আর যেখানে চীনা কর্তৃপক্ষ দলটির এশিয়ান গেমসে যাওয়ার সব খরচ বহন করেছে, সেখানে দল না পাঠানোর কোনো কারণ ছিল না।’
স্বাগতিক দেশ হিসেবে চীন তাদের পছন্দমতো খেলা অন্তর্ভুক্তি করতেই পারে। এতে অস্বাভাবিকতার কিছু নেই। তবে অস্বাভাবিক ব্যাপার যেটা, সেটা হলো সোনা জয়ের জন্য অন্য কোনো দেশকে পৃষ্ঠপোষকতা করা। এবারের এশিয়ান গেমসে এমনই একটা ঘটনা ঘটেছে, যেখানে চীন সোনা জয়ের জন্য অন্য একটি দেশকে নিজেদেরে খরচে গুয়াংজু এনেছে, এমনকি তাদের যাবতীয় আতিথেয়তার ভারও বহন করেছে।
এই ‘অন্য আরেকটি দেশ’ হলো ভারত। আর খেলাটি হলো মেয়েদের ওয়াটার পোলো। আজ মঙ্গলবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়েছে, মেয়েদের ওয়াটার পোলোতে প্রাথমিকভাবে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা তিন হওয়াতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির নিয়মানুযায়ী খেলাটি এশিয়ান গেমসের ‘পদকবিহীন’ খেলায় পরিণত হতে যাচ্ছিল। অলিম্পিকের নিয়মানুযায়ী পদকের লড়াই হতে হলে যেকোনো খেলায় কমপক্ষে চারটি দলের অংশগ্রহণ হতে হবে। মেয়েদের ওয়াটার পোলোতে চীনের সোনা জয়ের সম্ভাবনা ছিল শতকরা এক শ ভাগ। কিন্তু তিনটির বেশি কোনো দেশ এতে অংশ না নেওয়ায় সেই সম্ভাবনা ধূলিসাত্ হওয়ার উপক্রম হয়। এ রকম সময়ে চীন ভারতের কাছে একটি দল পাঠানোর অনুরোধ করে। কিন্তু মেয়েদের ওয়াটার পোলোতে ভারতের অবস্থান তথৈবচ হওয়ায় ভারতীয় অলিম্পিক কমিটি দল পাঠানোর ব্যাপারে বেশ দোটানায় ছিল। চীন ভারতকে দল পাঠানোর ব্যাপারে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেয়। এমনকি এই দলটির আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়া, থাকা-খাওয়া এমনকি কেনাকাটারও সব ব্যয়ভার বহন করার প্রতিশ্রুতি দেয় চীন। এমন লোভনীয় প্রস্তাব পেয়ে ভরাডুবির সম্ভাবনা সত্ত্বেও ভারতীয় অলিম্পিক কমিটি মেয়েদের ওয়াটার পোলোতে দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
প্রতিযোগিতা শুরুর পর ভারতীয় ওয়াটার পোলো দলের পারফরম্যান্স ছিল লজ্জাজনক। তিন খেলায় ৯৬ গোল হজম করে দলটি দেশে ফেরে। চীন ও কাজাখস্তানের কাছে ৩৮টি গোল ও উজবেকিস্তানের কাছে ২০টি করে গোল খায় ভারত। মেয়েদের ওয়াটার পোলো দলের এই পারফরম্যান্স ইতিমধ্যেই ক্ষোভের সঞ্চার করেছে ভারতজুড়ে। যেখানে এবারের এশিয়ান গেমসের সাফল্যকে ভারতের সেরা সাফল্য হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে, সেখানে মেয়েদের ওয়াটার পোলো দলটি ছিল শুভ্র দুধে এক ফোঁটা গোবর জলই।
ভারতের সাঁতার ফেডারেশন অবশ্য পুরো ব্যাপারটিকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছে। সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র নানাভাতি বলেন, ‘মেয়েদের ওয়াটার পোলোতে একটা অভিজ্ঞতা সঞ্চারের দরকার ছিল। গুয়াংজু এশিয়ান গেমস এই সুযোগটি এনে দিয়েছে। আর যেখানে চীনা কর্তৃপক্ষ দলটির এশিয়ান গেমসে যাওয়ার সব খরচ বহন করেছে, সেখানে দল না পাঠানোর কোনো কারণ ছিল না।’
No comments