আগাম জমা পরিবর্তন না করার দাবি ডিএসইর

দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য ব্রোকারেজ হাউসের প্রতিদিনের লেনদেনের ওপর নিরাপত্তা জামানতের হার (মেম্বারস মার্জিন) আগের অবস্থায় বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
সংগঠনটির সভাপতি শাকিল রিজভীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল সোমবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানায়। এ সময় তাঁরা এসইসিকে বলেন, বর্ধিত হারে মার্জিন জমা দিতে হলে অনেক ব্রোকারেজ হাউসের পক্ষে লেনদেন চালানো সম্ভব হবে না। এতে ব্রোকারেজ হাউসগুলো বড় ধরনের সমস্যায় পড়বে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) নেতারা বৈঠকে না থাকলেও ডিএসইর দাবির সঙ্গে একমত বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির নেতারা। শাকিল রিজভী বলেন, ‘গত কয়েক মাসে পুঁজিবাজারে লেনদেনের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বাড়লেও তা নিষ্পত্তিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। তাই হঠাৎ করে কেন মেম্বার মার্জিন সীমা বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দিল তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। তা ছাড়া এখন এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন আছে বলেও আমরা মনে করি না। তাই ডিএসইর পক্ষ থেকে এটি পরিবর্তন না করতে এসইসির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানিয়েছি।’ কারণ হিসেবে ডিএসই সভাপতি বলেন, নতুন আইন কার্যকর হলে ব্রোকারেজ হাউসগুলো নগদ অর্থের সমস্যায় পড়বে। এ কারণে দেখা যাবে, দিনের শুরুতে এক ঘণ্টা লেনদেন করার পর লেনদেন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। আর এটা হলে শেয়ারবাজারে একটা অস্থিরতা দেখা দেবে। এ প্রসঙ্গে এসইসির সদস্য মনসুর আলম বলেন, ‘আমরা তাদের যুক্তিগুলো শুনেছি। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কমিশন বৈঠকেই এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’এসইসি গত বৃহস্পতিবার সদস্য মার্জিন আইনে সংশোধনী আনে। ওই দিনের ঘোষণা অনুযায়ী রোববার থেকে সিদ্ধান্তটি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে এর কার্যকারিতা এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়। আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে নতুন নিয়মে মেম্বার মার্জিন চালু করার কথা রয়েছে। সংশোধনী অনুসারে লেনদেনের বিপরীতে মার্জিন জমার হার বাড়ানো হয়। তবে মার্জিন ছাড়া সর্বনিম্ন লেনদেনের আগের সীমা (পাঁচ কোটি টাকা) বহাল রাখা হয়েছে। কিন্তু লেনদেন পাঁচ কোটি টাকা থেকে ছয় কোটি টাকার মধ্যে হলে, অতিরিক্ত এক কোটি টাকা লেনদেনের বিপরীতে ৪০ শতাংশ মার্জিন জমা রাখতে হবে। ছয় কোটি টাকা থেকে সাত কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেন হলে মার্জিন জমা রাখতে হবে ৬০ শতাংশ। লেনদেন সাত থেকে নয় কোটি টাকার মধ্যে হলে ৮০ শতাংশ মার্জিন জমা রাখতে হবে। আর লেনদেন নয় কোটি টাকার ওপরে হলে মার্জিন জমা দিতে হবে ১০০ শতাংশ। আগে এ হার ছিল যথাক্রমে ২০, ৩০, ৫০ ও ১০০ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউসগুলো প্রাতিষ্ঠানিক নিশ্চয়তা বা করপোরেট গ্যারান্টি দিলেই চলত। কিন্তু নতুন নিয়মে করপোরেট গ্যারান্টি ৫০ শতাংশের বেশি গ্রহণযোগ্য হবে না।

No comments

Powered by Blogger.