আমেরিকায় চার্চের ভেতর নামাজ আদায়! by তারিক চয়ন
অনেক
সময় বাস্তবতা স্বপ্নকেও হার মানায়। তেমনি এক ভালোবাসা আর সম্প্রীতির
বাস্তব কাহিনী এটি। আমেরিকার শহর বোস্টন, যেখানে মুসলমানদের দেয়া হয়েছে এক
বিরল মর্যাদা। বোস্টনের ডাউনটাউনে ১৮১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়‘ ক্যাথেড্রাল
চার্চ অব সেন্ট পল’ যা গোটা আমেরিকার স্বনামধন্য চার্চগুলোর একটি। কিন্তু
সেখানকার অধিবাসীদের মতে এই চার্চের বিশেষত্ব এর সুনামের নয় বরং সেই
ভালোবসার সম্পর্কে যা এটি মুসলমানদের সঙ্গে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে রক্ষা করে
চলছে। এই চার্চের ভেতর মুসলমানরা পবিত্র জুম্মার নামাজ আদায় করে চলেছেন ২০
বছর ধরে।
শুরুর গল্পটা এমন ২০ বছর পূর্বে সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলামনদের নামজের জন্য বরাদ্দ জায়গায় স্থান সংকুলান হচ্ছিল না। বোস্টনের জনৈক মুসলিম ইব্রাহীম বলেন, সেসময়কার স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমাদের জুম্মার নামাজের জন্য জায়গা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সপ্তাহে মাত্র দুই ঘণ্টার জন্যেও কোন জায়গায় মিল ছিল না।
তখন চার্চের কাছে সাহায্য চাই এবং তারা রাজি হয়ে যায়! আমরা চার্চের নামাজ আদায় করা শুরু করি। চার্চ বলে, ‘আমরা যেই সৃষ্টিকর্তার এবাদত করি, আপনারাও তো তারই এবাদত করেন’।
ক্যাথেড্রাল চার্চ অব সেন্ট পল এ অন্যান্য গির্জার মতো বেঞ্চের ব্যবস্থা নেই যেখানে বসে প্রার্থনা করা হয়। খ্রিস্টানরা সহজে বহনযোগ্য চেয়ারে বসে হলের মধ্যে এবাদত করে থাকেন। আর প্রতি শুক্রবার মুসলমানদের জন্য হল খালি করে দেয়া হয়। ছয় বছর আগে চার্চ লাখ ডলার খরচ করে মুসলমানদের জন্য অযুখানা বানিয়ে দেয়। ওসমান নামের একজন নামাজী বলেন, সব সময় মনে প্রশ্ন জাগে-তারা যেমন আমাদের প্রার্থনার জন্য চার্চ খুলে দিয়েছে আমরাও কি প্রয়োজনে তাদের জন্য মসজিদ খোলে দিবো।
উল্লেখ্য, চার্চের এই ভালোবাসার প্রতিদানে এখানকার নামাজীরা প্রতি বছর হাজার হাজার উদ্বাস্তু আমেরিকানদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করে থাকেন। সারা বিশ্ব এখন সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে দগ্ধ, তখন ক্যাথেড্রাল চার্চ অব সেন্ট পল এর উদারতা নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণা জোগায় বলে বিশিষ্টজনদের মন্তব্য।
(ভয়েস অব আমেরিকা অবলম্বনে)
শুরুর গল্পটা এমন ২০ বছর পূর্বে সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলামনদের নামজের জন্য বরাদ্দ জায়গায় স্থান সংকুলান হচ্ছিল না। বোস্টনের জনৈক মুসলিম ইব্রাহীম বলেন, সেসময়কার স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমাদের জুম্মার নামাজের জন্য জায়গা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সপ্তাহে মাত্র দুই ঘণ্টার জন্যেও কোন জায়গায় মিল ছিল না।
তখন চার্চের কাছে সাহায্য চাই এবং তারা রাজি হয়ে যায়! আমরা চার্চের নামাজ আদায় করা শুরু করি। চার্চ বলে, ‘আমরা যেই সৃষ্টিকর্তার এবাদত করি, আপনারাও তো তারই এবাদত করেন’।
ক্যাথেড্রাল চার্চ অব সেন্ট পল এ অন্যান্য গির্জার মতো বেঞ্চের ব্যবস্থা নেই যেখানে বসে প্রার্থনা করা হয়। খ্রিস্টানরা সহজে বহনযোগ্য চেয়ারে বসে হলের মধ্যে এবাদত করে থাকেন। আর প্রতি শুক্রবার মুসলমানদের জন্য হল খালি করে দেয়া হয়। ছয় বছর আগে চার্চ লাখ ডলার খরচ করে মুসলমানদের জন্য অযুখানা বানিয়ে দেয়। ওসমান নামের একজন নামাজী বলেন, সব সময় মনে প্রশ্ন জাগে-তারা যেমন আমাদের প্রার্থনার জন্য চার্চ খুলে দিয়েছে আমরাও কি প্রয়োজনে তাদের জন্য মসজিদ খোলে দিবো।
উল্লেখ্য, চার্চের এই ভালোবাসার প্রতিদানে এখানকার নামাজীরা প্রতি বছর হাজার হাজার উদ্বাস্তু আমেরিকানদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করে থাকেন। সারা বিশ্ব এখন সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পে দগ্ধ, তখন ক্যাথেড্রাল চার্চ অব সেন্ট পল এর উদারতা নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণা জোগায় বলে বিশিষ্টজনদের মন্তব্য।
(ভয়েস অব আমেরিকা অবলম্বনে)
No comments