রংপুরে খাদেম হত্যা: ৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড
রংপুরের
কাউনিয়ার চাঞ্চল্যকর মাজার খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় সাত জঙ্গির ফাঁসির
আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ
চন্দ্র সরকার এ রায় প্রদানসহ তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা
করেন। ফাঁসির আদেশপ্রাপ্তরা হলেন- মাসুদ রানা, বিজয়, লিটন মিয়া, ইছাহাক
আলী, চান্দু মিয়া, সাখাওয়াত ও সরওয়ার। মামলায় ছয় জনকে খালাস দেয়া হয়। এ
মামলার ১৩ জন আসামির সবাই নব্য জেএমবি সদস্য। এদের মধ্যে চান্দু মিয়া পলাতক
রয়েছে। এ ছাড়া মামলা থেকে খালাস পাওয়া ছয় জন হলেন- সাদাত ওরফে রতন,
তৌফিকুল ইসলাম, আবু সাঈদ, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব, মামুন মাস্টার ও
নজিবুল ইসলাম। দুই জন আসামি পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই এ বিচারকার্য
সম্পন্ন করা হয়। গতকাল এ রায়ের মধ্যদিয়ে রংপুরে আলোচিত মাজার খাদেম রহমত
আলী হত্যার অধ্যায় শেষ হলো। এ হত্যার রায়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুরের
আদালত পাড়ায় জোরদার করা হয় পুলিশি নিরাপত্তা। আদালত শুরুর পূর্বে কঠোর
নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। সকাল থেকে
মিডিয়াকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে আদালত চত্বরে। চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল রাখায় তাদের
দুর্ব্যবহার করে হামলা চালায় আদালতের নাজির, সেরেস্তাদাররা। তারা ভাঙচুর
করে দৈনিক পরিবেশের সাংবাদিক মমিনুল ইসলাম রিপনের মোটরসাইকেল। ফলে
বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা তাদের প্রতিহত করতে গিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি
ও হাতাহাতির ঘটনায় আদালতের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। বেঁধে যায় ব্যাপক
হট্টগোল। জঙ্গিদের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিশেষ
জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা জানান, মামলার
বাদীসহ ৪৬ জনের সাক্ষ্য জেরা শেষে বাদী ও আসামি পক্ষের যুক্তি শোনার পর এ
রায় হয়েছে। আমরা জঙ্গিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদান করার জন্য
আদালতের কাছে যুক্তি প্রদর্শন করেছি। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় পুলিশ এ পর্যন্ত
১১ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। দুই জঙ্গি এখনো পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ইতালীয়ান নাগরিক তাভেলা সিজারকে ঢাকায় গুলি করে হত্যার পাঁচ দিন পর ২০১৫ সালের ৩রা অক্টোবর রংপুর নগরীর অদূরে কাউনিয়া উপজেলার ১নং সারাই ইউনিয়নের নাছনিয়া বিল সংলগ্ন আলুটারী গ্রামে জাপানী নাগরিক হোশি কুনিওকে হত্যা করে জঙ্গিরা। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ২০১৫ সালের ১০ই নভেম্বর রাতে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের মাজারের খাদেম আওয়ামী লীগ নেতা ও পল্লী চিকিৎসক রহমত আলীকে চৈতার মোড়ে জঙ্গিরা জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
উল্লেখ্য, ইতালীয়ান নাগরিক তাভেলা সিজারকে ঢাকায় গুলি করে হত্যার পাঁচ দিন পর ২০১৫ সালের ৩রা অক্টোবর রংপুর নগরীর অদূরে কাউনিয়া উপজেলার ১নং সারাই ইউনিয়নের নাছনিয়া বিল সংলগ্ন আলুটারী গ্রামে জাপানী নাগরিক হোশি কুনিওকে হত্যা করে জঙ্গিরা। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ২০১৫ সালের ১০ই নভেম্বর রাতে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের মাজারের খাদেম আওয়ামী লীগ নেতা ও পল্লী চিকিৎসক রহমত আলীকে চৈতার মোড়ে জঙ্গিরা জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
No comments