সোহরাওয়ার্দীতে জনসভার অনুমতি পায়নি বিএনপি
দলের
কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী
উদ্যানে পূর্বঘোষিত আজকের জনসভার অনুমতি পায়নি বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম
মহাসচিব রিজভী আহমেদ গতকাল নয়াপল্টনে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য
জানিয়েছেন। জনসভার অনুমতির বিষয়ে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র
রিজভী আহমেদ বলেন, আমরা এখনো সমাবেশের অনুমতির অপেক্ষা করে আছি। আমাদের সব
প্রস্তুতি সম্পন্ন। অনুমতি পেলেই জনসভার কার্যক্রম শুরু করব। তিনি বলেন,
গণপূর্ত জানিয়েছে- পুলিশের অনুমতি পেলেই তারা মাঠ দিয়ে দেবে। এর আগে
সোহরাওয়ার্দীর জনসভার অনুমতির বিষয়ে শনিবার ডিএমপিতে গিয়েছিল বিএনপির
প্রতিনিধিদল। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুস
সালাম, আতাউর রহমান ঢালী ও সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ডিএমপিতে
গিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও কমিশনারের সাক্ষাৎ পাননি। দলের সহ-সাংগঠনিক
সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ জানান, শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত
ডিএমপিতে ছিলাম। আমাদের বলা হয়েছে, কমিশনার স্যার মিটিংয়ে আছেন। তাই তার
সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা কম। এরপর ডিএমপি কমিশনারের সাক্ষাৎ না পেয়ে চলে
এসেছি। উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে ২২শে ফেব্রুয়ারি
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথম দফা জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অমর একুশে গ্রন্থমেলার কারণে সেবার অনুমতি মেলেনি
দলটির। পুলিশের তরফে গ্রন্থমেলার পর অনুমতির বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে
বলে জানানো হয়েছিল। পরে ১২ই মার্চ দ্বিতীয় দফা জনসভার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
কিন্তু এবার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ১২ই মার্চ অনুমতি
না পেয়ে সেদিন নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক তাৎক্ষণিক ব্রিফিংয়ে ১৯শে
মার্চ জনসভার কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কিন্তু তৃতীয় দফায়ও তারা জনসভার অনুমতি
পায়নি। অন্যদিকে একই দাবিতে বিভাগীয় শহরগুলোতেও জনসভার ঘোষণা দিয়েছিল
বিএনপি। ১০ই মার্চ খুলনা ও ১৫ই মার্চ চট্টগ্রামে অনুমতি না পেলেও ভেন্যু
পরিবর্তন করে জনসভা করেছে স্থানীয় বিএনপি। আগামী ৩১শে মার্চ রাজশাহী ও ৭ই
এপ্রিল বরিশালে সমাবেশের তারিখ রয়েছে।
No comments