ফের কান্না :শেষ বলের ছক্কায় হার
অবিশ্বাস্য!
আফসোসে মোড়ানো অবিস্মরণীয় সমাপ্তি। বাংলাদেশের হাতের মুঠো থেকে আরো একবার
ছুটে গেল শিরোপা। ফের কান্না সঙ্গী হলো বাংলাদেশের। প্রেমাদাসার শোক ছড়িয়ে
পড়লে ৫৬ হাজার বর্গমাইলে। সাব্বিরের ৭৭ আর মোস্তাফিজের অসাধারণ বোলিং যে
আশা জাগিয়েছিল সে আশার গুড়ে বালি ঢেলে দিলেন দিনেশ কার্তিক। মাত্র আট বল
খেলে দলকে জেতালেন, নিজেও জিতে নিলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
কোন প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়ের স্বপ্নটা অধরাই রয়ে গেল বাংলাদেশের। বড় ব্যবধানে হারলে হয়তো এতটা দূঃখ হতো না যতটা হলো শেষ বলের হারে। সারা দেশে ভেঙে পড়ে কান্না আর হতাশায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেবল আলোচনা এ খেলা নিয়েই। কেউ বা হতাশ কেউ বা ক্ষুব্ধ। কারো ক্ষোভ সাকিবের ওপর, কারো ক্ষোভ রুবেলের ওপর। আগের ম্যাচে যেখানে মাহমুদুল্লাহ পুরো চার ওভার বল করেন সেখানে মেহেদী হাসান মিরাজ মার খাওয়ার পরে তাকে দিয়েও এক ওভার বল করানো যেত। কেন রুবেলকে ১৯তম ওভারে আনা হলো আর তিনিই বা কেন তেমন পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে দিনেশের তোপের সামনে হার মানলেন। ১২ বলে ভারতের দরকার ছিল ৩৫ রান। কিন্তু ওই ওভারেই ২২ রান নিয়ে খেলায় ফিরে আসে ভারত।
শেষ ওভারের নাটকীয়তায় এবার কপাল পুড়লো বাংলাদেশের। এর আগে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ঢাকার মাটিতেই বাংলাদেশ মাত্র ২ রানে ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল। আর গত টি-২০ বিশ্বকাপেই ভারতের বিপক্ষে হারের ক্ষত এখনো পোড়ায় বাংলাদেশিদের। আগের ম্যাচেই যেখানে ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে ফাইনালে তুলেছিলেন মাহমুদুল্লাহ। সেখানে শেষ বলে ছক্কা মেরে বাংলাদেশের হাত থেকে শিরোপা ছিনিয়ে নিয়ে গেল ভারত। শেষ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১২ রানের। বোলার বাকি ছিলেন সৌম্য সরকার, যিনি নিয়মিত বোলার হিসেবে গণ্য নন। অনেকের সংশয় ছিল পারবেন কি সৌম্য? অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান তিনি দিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু দিনেশ কার্তিকের দানবীয় মূর্তির সামনে শেষ পর্যন্ত অসহায় হয়ে যান তিনি। আগের বলেই বিজয় শংকরকে ফিরিয়ে আরো উদ্দীপ্ত করে তোলেন সবাইকে। জয়ের সুবাস পাচ্ছিলেন সম্ভবত তিনিও। শেষ বলটি করার আগে খুব একটা ভাবেন নি সৌম্য। একটু অফের দিকে ছিল বলটি। খুব ওঠেওনি। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। কার্তিকের আঘাতে বল উড়ে চলে যায় সীমানার বাইরে। আট বলে ২৯ রান করেন তিনি। তিনটি ছক্কা আর দুটি চার মারেন ৩২ বছর বয়সী এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
কোন প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়ের স্বপ্নটা অধরাই রয়ে গেল বাংলাদেশের। বড় ব্যবধানে হারলে হয়তো এতটা দূঃখ হতো না যতটা হলো শেষ বলের হারে। সারা দেশে ভেঙে পড়ে কান্না আর হতাশায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেবল আলোচনা এ খেলা নিয়েই। কেউ বা হতাশ কেউ বা ক্ষুব্ধ। কারো ক্ষোভ সাকিবের ওপর, কারো ক্ষোভ রুবেলের ওপর। আগের ম্যাচে যেখানে মাহমুদুল্লাহ পুরো চার ওভার বল করেন সেখানে মেহেদী হাসান মিরাজ মার খাওয়ার পরে তাকে দিয়েও এক ওভার বল করানো যেত। কেন রুবেলকে ১৯তম ওভারে আনা হলো আর তিনিই বা কেন তেমন পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে দিনেশের তোপের সামনে হার মানলেন। ১২ বলে ভারতের দরকার ছিল ৩৫ রান। কিন্তু ওই ওভারেই ২২ রান নিয়ে খেলায় ফিরে আসে ভারত।
শেষ ওভারের নাটকীয়তায় এবার কপাল পুড়লো বাংলাদেশের। এর আগে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ঢাকার মাটিতেই বাংলাদেশ মাত্র ২ রানে ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল। আর গত টি-২০ বিশ্বকাপেই ভারতের বিপক্ষে হারের ক্ষত এখনো পোড়ায় বাংলাদেশিদের। আগের ম্যাচেই যেখানে ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে ফাইনালে তুলেছিলেন মাহমুদুল্লাহ। সেখানে শেষ বলে ছক্কা মেরে বাংলাদেশের হাত থেকে শিরোপা ছিনিয়ে নিয়ে গেল ভারত। শেষ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১২ রানের। বোলার বাকি ছিলেন সৌম্য সরকার, যিনি নিয়মিত বোলার হিসেবে গণ্য নন। অনেকের সংশয় ছিল পারবেন কি সৌম্য? অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান তিনি দিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু দিনেশ কার্তিকের দানবীয় মূর্তির সামনে শেষ পর্যন্ত অসহায় হয়ে যান তিনি। আগের বলেই বিজয় শংকরকে ফিরিয়ে আরো উদ্দীপ্ত করে তোলেন সবাইকে। জয়ের সুবাস পাচ্ছিলেন সম্ভবত তিনিও। শেষ বলটি করার আগে খুব একটা ভাবেন নি সৌম্য। একটু অফের দিকে ছিল বলটি। খুব ওঠেওনি। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। কার্তিকের আঘাতে বল উড়ে চলে যায় সীমানার বাইরে। আট বলে ২৯ রান করেন তিনি। তিনটি ছক্কা আর দুটি চার মারেন ৩২ বছর বয়সী এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যাদের আসর শুরু হয়েছিল তারাই শেষ হাসি হাসলো। নিয়মিত দলের ছয় জনকে দেশে রেখে এসেও ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত। ১৮তম ওভারে কোন রান না দিয়ে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের আশা জাগিয়ে তুলেছিলেন। না হয়, এর আগ পর্যন্ত বাংরাদেশের ১৬৬ রানের জবাবে ভারতকে তেমন চাপে পড়তে দেখা যায়নি। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা দলকে জয়ের ভিত গড়ে দেন ফিফটি করে। ৪২ বলে ৫৬ রান করেন তিনি। শুরুতে তিনিই রানের গতি বাড়িয়ে দলকে এগিয়ে নেন। শিখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়নাকে আগেভাগে বিদায় করলেও লোকেশ রাহুল ২৪ ও মনিষ পান্ডে ২৮ রান করে ভারতের সে ক্ষতি পুষিয়ে দেন। মন্দ করেননি ১৭ রান করা বিজয় শংকরও।
ম্যাচ হারার জন্য বোলারদের যদি দায়ী করেন তবে দায়টা তার চেয়েও বেশি ফিল্ডারদের। হাত থেকে বল ছুটে যাওয়া আর ঠিক জায়গায় না দাঁড়ানোর কারণে যেমন ভারতের রান বেড়েছে তেমনি ঠিকভাবে বল থ্রো করতে না পারার কারণে কয়েকবারই রানআউট করার সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশ। আর এসবই ভারতকে এগিয়ে নিয়ে গেছে জয়ের দিকে। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষাও যেন তেমন লড়াকু ছিল না। অনেক দিন পরে নেতৃত্বে আসা সাকিবের ভূমিকাও দর্শকদের মন জয় করতে পারেনি। বোলার ব্যবহারেও হিসেবি মনে হয়নি তাকে। রুবেল হোসেন যখন ১৯তম ওভারে মার খাচ্ছিলেন তখন তাকে ঠিকভাবে পরামর্শও দিতে দেখা যায়নি তাকে।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সাকিব আল হাসান চার ওভারে ২৮, নাজমুল ৩২ আর রুবেল ৩৫ রান দেন। মোস্তাফিজ চার ওভারে দেন ২১ রান। একটি মেডেন ওভারও পান তিনি। রুবেলের সমালোচনা করা হলেও এ রুবেলই প্রথম তিন ওভারে ১৩ রান দিয়ে দু উইকেট নিয়ে নায়ক হয়ে গিয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত ভাগ্যের ফেরে তাকেই যে খলনায়ক হয়ে যেতে হবে কে জানতো।
No comments