কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
সরকারি
চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন চাকরি
প্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা। গতকাল তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের
করা মামলা প্রত্যাহারসহ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-
আগামী ২৫শে মার্চ শিক্ষা সনদ হাতে নিয়ে শাহবাগ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
পর্যন্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং ২৯শে মার্চ বিকাল ৪টায় কেন্দ্রীয়
শহীদ মিনারে নাগরিক সমাবেশ। নাগরিক সমাবেশে দেশের বিশিষ্টজনরা অংশ নেবেন
বলে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন।
সকাল ১০টা থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ছাড়াও সেখানে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যুক্ত হয় ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী। পরে সকাল ১১টায় ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘১০ শতাংশের বেশি কোটা নয়’, ‘নাতি পুতি কোটা বাতিল করো’, ‘বেকাররা কোটা বৈষম্য থেকে মুক্তি চায়’, ‘কোটা দিয়ে কামলা নয় মেধা দিয়ে আমলা চাই’, ‘শুধু নির্দিষ্ট কোটায় নিয়োগ বন্ধ করো’সহ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। কোটা সংস্কারের পক্ষে স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। সমাবেশে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসান আল মামুন বলেন, কোটা সংস্কারের যে দাবি, এটা আমাদের কোনো অযৌক্তিক দাবি নয়। ইতিমধ্যে সমাজের বিভিন্ন জায়গা থেকে কোটা সংস্কারের পক্ষে কথা এসেছে। আমরা আশা করছি তরুণদের মনের ভাষা সরকার বুঝতে পারবে। অচিরেই এ কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করবে তারা। তিনি বলেন, গত ১৪ই মার্চ আমাদের ওপর পুলিশ হামলা করেছিল। আবার তারাই আমাদের নামে মামলা করে। আগামী দুইদিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। এরপর তিনি দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার জন্য আন্দোলনকারীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করে চাকরি প্রত্যাশীরা। তারা দাবি আদায়ে পাঁচ দফা ঘোষণা করে। শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো- কোটা সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে কমিয়ে আনা, কোটা প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদ গুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া, চাকরিতে একাধিকবার কোটা সুবিধা ব্যবহার না করা, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া, চাকরি ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা। এরপর থেকে দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছিলো আন্দোলকারীরা। সর্বশেষ ১৪ই মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতে যান শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা হাইকোর্ট মোড়ে আসলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আহত হন অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে সেখান থেকে ৫ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। ওই পাঁচজন শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে আরো ৫০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আটককৃতদের মুক্তির দাবি জানায়। তাদের আন্দোলনের চাপে পুলিশ আটককৃতদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এই ঘটনার পরের দিন পুলিশ রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা ৭০০-৮০০ জন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
সকাল ১০টা থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ছাড়াও সেখানে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যুক্ত হয় ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী। পরে সকাল ১১টায় ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘১০ শতাংশের বেশি কোটা নয়’, ‘নাতি পুতি কোটা বাতিল করো’, ‘বেকাররা কোটা বৈষম্য থেকে মুক্তি চায়’, ‘কোটা দিয়ে কামলা নয় মেধা দিয়ে আমলা চাই’, ‘শুধু নির্দিষ্ট কোটায় নিয়োগ বন্ধ করো’সহ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। কোটা সংস্কারের পক্ষে স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। সমাবেশে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসান আল মামুন বলেন, কোটা সংস্কারের যে দাবি, এটা আমাদের কোনো অযৌক্তিক দাবি নয়। ইতিমধ্যে সমাজের বিভিন্ন জায়গা থেকে কোটা সংস্কারের পক্ষে কথা এসেছে। আমরা আশা করছি তরুণদের মনের ভাষা সরকার বুঝতে পারবে। অচিরেই এ কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করবে তারা। তিনি বলেন, গত ১৪ই মার্চ আমাদের ওপর পুলিশ হামলা করেছিল। আবার তারাই আমাদের নামে মামলা করে। আগামী দুইদিনের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। এরপর তিনি দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার জন্য আন্দোলনকারীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করে চাকরি প্রত্যাশীরা। তারা দাবি আদায়ে পাঁচ দফা ঘোষণা করে। শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো- কোটা সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে কমিয়ে আনা, কোটা প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদ গুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া, চাকরিতে একাধিকবার কোটা সুবিধা ব্যবহার না করা, কোটায় কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া, চাকরি ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা। এরপর থেকে দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছিলো আন্দোলকারীরা। সর্বশেষ ১৪ই মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিতে যান শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা হাইকোর্ট মোড়ে আসলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আহত হন অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে সেখান থেকে ৫ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। ওই পাঁচজন শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে আরো ৫০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আটককৃতদের মুক্তির দাবি জানায়। তাদের আন্দোলনের চাপে পুলিশ আটককৃতদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এই ঘটনার পরের দিন পুলিশ রাষ্ট্রীয় কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা ৭০০-৮০০ জন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
No comments