এক মঞ্চে দুই চৌধুরী
দীর্ঘদিন
পর এক মঞ্চে বসলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ
সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। রাজনীতির মাঠে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে
বিরোধ চলে আসছিল। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্তির
দৌড়েও রয়েছেন তারা। গত শনিবার যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে এই দুই
চৌধুরী একে অপরকে মিষ্টিমুখ করান। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এমন
দৃশ্যের স্থিরচিত্র প্রকাশ পেলে তা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। বিষয়টিকে
অনেকেই ভালো চোখে নিয়ে দুই নেতাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। নেতাকর্মীদের ধারণা
এই দুই নেতা এক সঙ্গে থাকলে সিলেট-২ আসন আওয়ামী লীগের দখলে আসতে বেগ পেতে
হবে না।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এই দুই নেতা। রাজনীতির মাঠে তারা একে অপরের প্রতিপক্ষ। নির্বাচনী এলাকায় তাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে দুটি গ্রুপ। এক দলের হলেও দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে অহিনকূল সম্পর্ক চলে আসছে। বিগত সময়ে স্থানীয় পর্যায়ের প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবির অন্যতম কারণ ছিল তাদের গ্রুপিং। নিজেরা নিজেদের প্রতিপক্ষ হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধির চেয়ারগুলো রয়েছে অন্যদলের দখলে। এতে অনেকটা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। এক সময় এই দুই নেতার মধ্যে খুব সখ্যতা ছিল। যার কারণে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী এম ইলিয়াস আলীকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে সক্ষম হন শফিকুর রহমান চৌধুরী। একপর্যায়ে তাদের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিলে এলাকায় প্রকাশ্যে শফিকুর রহমান ও আনোয়ারুজ্জামান বলয় সৃষ্টি হয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই দুই নেতা দলীয় মনোনয়ন দাবি করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয়। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী অনুসারী ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদাল মিয়া বলেন, দুই নেতাকে একমঞ্চে দেখে ভালো লাগছে। রাজনীতির জন্য এটি শুভ ইঙ্গিত। শফিকুর রহমান চৌধুরী অনুসারী ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান বলেন, রাজনীতির জন্য এটা ভালো মেরুকরণ। এতে আমরা উল্লসিত। কে দলীয় মনোনয়ন পাবে সেটা বড় কথা নয়, সবাই একত্রে থেকে নির্বাচন করলে খুব সহজে এই আসনটি পুনরুদ্ধার করতে পারবো।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এই দুই নেতা। রাজনীতির মাঠে তারা একে অপরের প্রতিপক্ষ। নির্বাচনী এলাকায় তাদের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে দুটি গ্রুপ। এক দলের হলেও দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে অহিনকূল সম্পর্ক চলে আসছে। বিগত সময়ে স্থানীয় পর্যায়ের প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবির অন্যতম কারণ ছিল তাদের গ্রুপিং। নিজেরা নিজেদের প্রতিপক্ষ হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধির চেয়ারগুলো রয়েছে অন্যদলের দখলে। এতে অনেকটা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। এক সময় এই দুই নেতার মধ্যে খুব সখ্যতা ছিল। যার কারণে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী এম ইলিয়াস আলীকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে সক্ষম হন শফিকুর রহমান চৌধুরী। একপর্যায়ে তাদের সম্পর্কে ফাটল দেখা দিলে এলাকায় প্রকাশ্যে শফিকুর রহমান ও আনোয়ারুজ্জামান বলয় সৃষ্টি হয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই দুই নেতা দলীয় মনোনয়ন দাবি করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয়। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী অনুসারী ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদাল মিয়া বলেন, দুই নেতাকে একমঞ্চে দেখে ভালো লাগছে। রাজনীতির জন্য এটি শুভ ইঙ্গিত। শফিকুর রহমান চৌধুরী অনুসারী ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান বলেন, রাজনীতির জন্য এটা ভালো মেরুকরণ। এতে আমরা উল্লসিত। কে দলীয় মনোনয়ন পাবে সেটা বড় কথা নয়, সবাই একত্রে থেকে নির্বাচন করলে খুব সহজে এই আসনটি পুনরুদ্ধার করতে পারবো।
No comments