প্রমোদ ভ্রমণে ইউএনও, তোলপাড়
জাতির
জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮ তম জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবসে
শনিবারের কর্মসূচি ফেলে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী সংগঠনের আমন্ত্রণে প্রমোদ
ভ্রমণে কক্সবাজারে গিয়েছেন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। তিনি সহ গুরুত্বপূর্ণ একাধিক কর্মকর্তা ও
জনপ্রতিনিধির অনুপস্থিতিতে অব্যবস্থাপনায় দিবসের কর্মসূচি হ-য-ব-র-ল হয়ে
যায়। আজ সোমবার পর্যন্ত ওই কর্মকর্তারা কক্সবাজারে অবস্থান করায় মধুপুরে
তোলপাড় চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) অনুপস্থিতিতে রোববার ও সোমবার অফিসপাড়ায় ছিল ছুটির আমেজ। অনেকে সেবা নিতে এসে ঘুরে গেছেন। এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদকর্মীরা গত তিনদিন অফিসপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে এর সত্যতা পেয়েছেন। ইউএনও না থাকায় সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববারে ৭টি দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তাও ছিলেন অনুপস্থিত। ঢিলেঢালাভাবে অফিস করেছেন কয়েকজন কর্মকর্তা। ঐদিন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সানজিতা নাসরীন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম.এ রশিদ, উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার দাস, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ চক্রবর্তী ছিলেন,অনুপস্থিত। তাদের অনেকের অফিসে ঝুলেছে তালা। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছা.আমিনা আক্তার অফিসে এসেছেন দুপুরের পর। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের দুইজন পিয়নও ছিলেন অনুপস্থিত। সোহেল রানা নামের এক পিয়ন অফিসে আসেন ১২ টা ২৫ মিনিটে। আজও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছা.আমিনা আক্তারসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা অনুপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তার অফিস সহায়ক মো. রফিকুল ইসলাম দুপুর ৩টার সময় জানান, সকাল থেকে স্যারের অপেক্ষায় বসে আছি, স্যার কখন আসবেন জানি না।
জানা যায়, শনিবারের শিশু দিবস পালনের প্রস্তুতি সভায় স্থান নির্ধারিত হয়েছিল জেলা পরিষদের মধুপুর অডিটরিয়ামে। পৌর এলাকার অন্তত ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আনন্দ র্যালি শেষে গতবারের মতো অডিটরিয়ামে আলোচনায় যোগ দেয়ার কথা। কিন্তু র্যালি শেষে আলোচনা সভার স্থান নিয়ে বিপাকে পড়ে ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীগণ। খোঁজ খবর নিয়ে জানেন,আলোচনা সভা হচ্ছে মধুপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে । জেনে অনেকে র্যালি শেষ করে ফিরে যান। মাত্র শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মধুপুর কলেজের অল্প শিক্ষার্থী হল রুমে বসার সুযোগ পান। সাউন্ড সিস্টেম প্রস্তুত না থাকায় বিপত্তি ঘটে অনুষ্ঠান শুরু নিয়ে। আধ ঘণ্টা পরে শুরু হলেও সেখানে অনুপস্থিত মধুপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। খোঁজ নিয়ে জানা গেল তিনি মধুপুর ট্রাক মালিক সমিতির আহবানে তাদের কক্সবাজেরের প্রমোদ ভ্রমণে যোগ দিয়েছেন। ঢাকা থেকে বিমানে তিনি গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন। ইউএনওর প্রমোদ ভ্রমণে সঙ্গী হয়েছেন,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার আলম খান আবু। প্রমোদ ভ্রমণে অংশগ্রহণকারী এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বাপ্পু সিদ্দিকী জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠান ফেলে তিনদিন ব্যাপী ইউএনও’র প্রমোদ ভ্রমণ সত্যিই লজ্জাজনক ব্যাপার। তিনি আরও জানান,শনিবারের শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)। উপজেলা চেয়ারম্যানের পরিবর্তে ছিলে ভাইস চেয়ারম্যান। পরে জানতে পারলাম তারা ট্রাক মালিক সমিতির আমন্ত্রণে কক্সবাজারে প্রমোদ ভ্রমণে গিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.মাহবুবুল হক সাংবাদিকদের মোবাইলে জানান, ইউএনও স্যার ছুটিতে আছেন। রোববার যে ৭ জন কর্মকর্তা অনুপস্থিত ছিলেন,তা আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস প্রমোদ ভ্রমণের কথা স্বীকার করে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান,আমার ছেলে অসুস্থ ছিল বলে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠান শুরু করে দিয়ে এসেছি। পরে ঢাকায় এসে সুযোগ পেয়েছি তাই স্বপরিবারে বিমানে কক্সবাজার এসেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) অনুপস্থিতিতে রোববার ও সোমবার অফিসপাড়ায় ছিল ছুটির আমেজ। অনেকে সেবা নিতে এসে ঘুরে গেছেন। এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সংবাদকর্মীরা গত তিনদিন অফিসপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে এর সত্যতা পেয়েছেন। ইউএনও না থাকায় সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববারে ৭টি দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তাও ছিলেন অনুপস্থিত। ঢিলেঢালাভাবে অফিস করেছেন কয়েকজন কর্মকর্তা। ঐদিন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সানজিতা নাসরীন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম.এ রশিদ, উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার দাস, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ চক্রবর্তী ছিলেন,অনুপস্থিত। তাদের অনেকের অফিসে ঝুলেছে তালা। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছা.আমিনা আক্তার অফিসে এসেছেন দুপুরের পর। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের দুইজন পিয়নও ছিলেন অনুপস্থিত। সোহেল রানা নামের এক পিয়ন অফিসে আসেন ১২ টা ২৫ মিনিটে। আজও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছা.আমিনা আক্তারসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা অনুপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তার অফিস সহায়ক মো. রফিকুল ইসলাম দুপুর ৩টার সময় জানান, সকাল থেকে স্যারের অপেক্ষায় বসে আছি, স্যার কখন আসবেন জানি না।
জানা যায়, শনিবারের শিশু দিবস পালনের প্রস্তুতি সভায় স্থান নির্ধারিত হয়েছিল জেলা পরিষদের মধুপুর অডিটরিয়ামে। পৌর এলাকার অন্তত ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আনন্দ র্যালি শেষে গতবারের মতো অডিটরিয়ামে আলোচনায় যোগ দেয়ার কথা। কিন্তু র্যালি শেষে আলোচনা সভার স্থান নিয়ে বিপাকে পড়ে ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীগণ। খোঁজ খবর নিয়ে জানেন,আলোচনা সভা হচ্ছে মধুপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে । জেনে অনেকে র্যালি শেষ করে ফিরে যান। মাত্র শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মধুপুর কলেজের অল্প শিক্ষার্থী হল রুমে বসার সুযোগ পান। সাউন্ড সিস্টেম প্রস্তুত না থাকায় বিপত্তি ঘটে অনুষ্ঠান শুরু নিয়ে। আধ ঘণ্টা পরে শুরু হলেও সেখানে অনুপস্থিত মধুপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। খোঁজ নিয়ে জানা গেল তিনি মধুপুর ট্রাক মালিক সমিতির আহবানে তাদের কক্সবাজেরের প্রমোদ ভ্রমণে যোগ দিয়েছেন। ঢাকা থেকে বিমানে তিনি গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন। ইউএনওর প্রমোদ ভ্রমণে সঙ্গী হয়েছেন,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার আলম খান আবু। প্রমোদ ভ্রমণে অংশগ্রহণকারী এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বাপ্পু সিদ্দিকী জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠান ফেলে তিনদিন ব্যাপী ইউএনও’র প্রমোদ ভ্রমণ সত্যিই লজ্জাজনক ব্যাপার। তিনি আরও জানান,শনিবারের শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)। উপজেলা চেয়ারম্যানের পরিবর্তে ছিলে ভাইস চেয়ারম্যান। পরে জানতে পারলাম তারা ট্রাক মালিক সমিতির আমন্ত্রণে কক্সবাজারে প্রমোদ ভ্রমণে গিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.মাহবুবুল হক সাংবাদিকদের মোবাইলে জানান, ইউএনও স্যার ছুটিতে আছেন। রোববার যে ৭ জন কর্মকর্তা অনুপস্থিত ছিলেন,তা আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস প্রমোদ ভ্রমণের কথা স্বীকার করে মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান,আমার ছেলে অসুস্থ ছিল বলে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠান শুরু করে দিয়ে এসেছি। পরে ঢাকায় এসে সুযোগ পেয়েছি তাই স্বপরিবারে বিমানে কক্সবাজার এসেছি।
No comments