বঙ্গবন্ধু আজীবন মানুষের কথা বলেছেন -আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী
লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেছিলেন আমাদের স্বাধীনতা দেয়ার জন্যই। তাই আমরা
তারই নেতৃত্বে স্বাধীনতা পেয়েছি। তিনি যদি জন্মগ্রহণ না করতেন তাহলে আমরা
স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে একটি দেশ পেতাম কি-না সেটাই সন্দেহ ছিল। তিনি
আজীবন মানুষের কথা বলেছেন। গতকাল বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক
সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন ও
জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা
বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন
দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী
তোফায়েল আহমেদ, শিল্পী হাশেম খান, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, সৈয়দা সাজেদা
চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া
চৌধুরী, আব্দুল মান্নান খান, আবদুল মতিন খসরু প্রমুখ। যৌথভাবে সভা পরিচালনা
করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও
প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩
বছরের মধ্যে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ হয়েছিলাম। জাতির পিতা যদি বেঁচে থাকতেন
এবং আর মাত্র ৫টা বছর হাতে পেতেন তাহলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে
স্বীকৃতি পেতো। এটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে
বাংলাদেশ উন্নত হতে পারতো। বাংলাদেশ যেনো আর এগুতে না পারে সেজন্যই ছিল
ষড়যন্ত্র। সেটা আমি নিজে উপলব্ধি করতে পেরেছি। বিদেশ থেকে যখন বাংলাদেশে
ফিরে এসে রাজনীতি শুরু করি তখন প্রতি পদে পদে বাধা। তবে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি। তাদের সমর্থন পেয়েছি সবসময়। হয়তো উপরে
কিছু কিছু একটু টালমাটাল হয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কখনই আমার
থেকে দূরে যায়নি। আমি বাবা, মা ও ভাই হারিয়ে, সবকিছু হারিয়ে, স্বজনহারা হয়ে
এসে ভালোবাসা পেয়েছি বাংলাদেশের মানুষের। তিনি বলেন, গ্রামে গ্রামে যখন
হেঁটেছি তখন গ্রামের মহিলারা ছুটে এসেছেন, বুকে জড়িয়ে ধরেছেন। মাথায় হাত
বুলিয়ে দিয়েছেন। গালে, কপালে চুমু খেয়েছেন। আর খালি একটা কথা বলেছে, মা,
তোমার বাপ জীবনটা দিয়ে গেছে আমাদের জন্য। তুমিও মাঠে নেমেছো? এই যে কথাগুলো
আমাকে প্রেরণা দিয়েছে। এই সাধারণ মানুষের ভালোবাসার মধ্যেই তো আমি আমার
বাবা, মায়ের হারানো ভালোবাসা ফিরে পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা
তো সারাজীবন এদের জন্য রাজনীতি করেছেন। এদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছেন।
কাজেই আমি এটাকে আমার কর্তব্য বলে মনে করেছি। কোনো রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ না,
কোনো আশা-আকাঙ্ক্ষা না, কোনো পদ না। আমি মনে করেছি, এটা আমার ডিউটি, আমার
কর্তব্য। বাংলাদেশের মানুষের জন্য কিছু আমাকে করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি
কখনও পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিতো না। তারা এডহক বেসিসে কর্মসূচি নিতো। দুই
বছর, তিন বছর মেয়াদি দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসূচি। এর কোনো ফলাফল দেশ পায়নি।
তবে তারা পেয়েছে। নিজেরা ভাগ্য গড়েছে। কিন্তু আমরা এসেই পঞ্চবার্ষিকী
পরিকল্পনা নিয়েছি। জাতির পিতা এ পরিকল্পনা নিতেন। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে
আমরা পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে আমরা
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবো। ২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবো। এই সুবর্ণজয়ন্তী পালন ও জাতির পিতার
জন্মশতবার্ষিকী পালনের আগেই আমরা দেশটাকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবো।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মানুষের জন্য আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করলে যে কাজ করা
যায়- এটা আমরা প্রমাণ করেছি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়েছি বলেই
আজকে উন্নয়নের ছোঁয়াটা মানুষ পাচ্ছে। যদি আমরা না আসতে পারতাম তাহলে সব
কাজগুলো নষ্ট করে দেয়া হতো। যেটা ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট করেছিলো।
ইতিমধ্যে জাতিসংঘ আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। একদিকে যেমন ৭ই মার্চ ইউনেস্কো
স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে। অন্যদিকে ৩৭ বছর সময়
লাগলেও আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ
হিসেবে যারা একসময় আমাদের দিকে করুণার দৃষ্টিতে তাকাতো আর একটা ঋণ নিতে
গেলে হাজার রকমের শর্ত জুড়ে দিতো আর দুর্নীতি না করলেও দুর্নীতির অপবাদ
দিয়ে প্রজেক্ট বন্ধ করার পাঁয়তারা করতো যেমন পদ্মা সেতুর বেলায় করেছে। আর
এটা করতে পারবে না। সেই সাহস আর পাবে না। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ। আজকে
আমাদের ঋণ পেতে কোনো অসুবিধা হবে না, হয়তো একটু সুদ বেশি দিতে হবে। তবে
তাতে কিছু আসে-যায় না। ওইটুকু আমরা দিতে পারি। দেশকে আরো উন্নয়নের দিকে
এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের মূল টার্গেট। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম
আয়ের দেশ করবো। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে।
তিনি বলেন, আগামী ২৬শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এবারের উদযাপনটা এবার ভিন্ন আকারে হবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদার সঙ্গে আমরা স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবো।
অন্য দেশ যদি পারে, তবে আমরা কেন পারবো না: এদিকে গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সোসাইটি অব ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের (বিএসসিসিএম) তৃতীয় ও বাংলাদেশ ক্রিটিক্যাল কেয়ার নার্সিংয়ের প্রথম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মানুষের দোরগোড়ায় আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। আমার এটাই প্রশ্ন অন্য দেশ যদি পারে, তবে আমরা কেন পারবো না? কারণ, আমাদের মেধা বা জ্ঞান কোনোটিরই অভাব নেই। তবে সুযোগের অভাব ছিল। যেটি আমরা এখন করে দিচ্ছি। চিকিৎসা-শিক্ষার মানের প্রতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মেডিকেল সায়েন্স এখন অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। নামিদামি বই আসছে। কিন্তু এসব বই এত দামি সবার পক্ষে তো কেনা সম্ভব নয়! কাজেই আমার মনে হয় আপনাদের বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন আছে এবং মন্ত্রণালয় থেকেও এটার উদ্যোগ নেয়া উচিত। আর প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লাইব্রেরিটা একান্তভাবে প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন নিমতলীতে আগুন লাগলো, তখন ডা. সামন্ত লাল সেন এসে বললো আমি এখন কী করব? আইসিইউ তো এখনো চালু হয়নি। অথচ মেশিনপত্র আমি কিনে দিয়েছি। সাত বছর ধরে এগুলো পড়ে আছে। কোনোটিই তো কাজে লাগানো যায়নি। আর আগের সরকার তো লুটপাট ও জ্বালাও-পোড়াওয়ে ব্যস্ত ছিল। তারাও তো করতে পারতো কিন্তু তারাও করেনি। আমাদের বোধ হয় সাত দিনও লাগেনি, সেটি চালু করতে। বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল। ওই সময় তাদের ছিল খুবই অগ্রহণযোগ্য যুক্তি। সেই যুক্তিটা হচ্ছে, এই কমিউনিটি ক্লিনিকে যারা চিকিৎসা নেবে তারা কখনই বিএনপিকে ভোট দিবে না। তারা নৌকায় ভোট দিবে। আর সেই ভয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভিজিটর তো যেতেই হবে। আত্মীয়স্বজন তো যাবে, যাবে তার সঙ্গে রাজনীতিবিদরাও। তারা না গেলে নাকি রোগীর আত্মীয়স্বজনদের মান-সম্মান থাকে না, এ রকমের একটা সমস্যা আছে। নেতারাও মনে করেন, তারা হয়তো না গেলে দায়িত্ব পালনে অবহেলা হলো। চিকিৎসকদের পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ বিষয়ে আপনাদের একটু কড়াকড়ি করতে হবে। পরিষ্কার কথা এটি। ঠিক আছে, যারা আসবে তারা অবশ্যই আসবে। তাহলে একটা ভিজিটর কর্নার করে দিবেন, যেখানে ভিজিটররা বসবেন, খাতা থাকবে। আর এখন তো আমাদের ডিজিটাল সিস্টেমই আছে। দরকার হয় ডিজিটাল সিস্টেমে রোগী দেখে আসবে। ওখানে মনিটর লাগানো থাকবে, ভিজিটররা বাইরে দাঁড়িয়ে রোগী দেখবেন। অথবা গ্লাস দেয়া থাকবে, গ্লাসের বাইরে থেকে রোগী দেখবে। চিকিৎসার জন্য দেশে পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডাক্তারদের কথাবার্তা এবং পরিচর্যায়ও অর্ধেক রোগ ভালো হয়ে যেতে পারে। সেদিকেও আমাদের চিকিৎসকদের একটু বিশেষ যত্নবান হতে হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নতুন নতুন রোগের পাশাপাশি নিত্যনতুন যে প্রযুক্তি আবিষ্কার হচ্ছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য চিকিৎসক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বই লেখার প্রতিও মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান। বিএসসিসিএম-এর সভাপতি অধ্যাপক ইউএইচ সাহেরা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব ডা. সিরাজুল হক খান ও বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ক্রিটিকন বাংলাদেশ-২০১৮’র কংগ্রেস সভাপতি ডা. মীর্জা নাজিম উদ্দিন। এবং শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বিএসসিসিএম’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এএসএম আরিফ আহসান।
তিনি বলেন, আগামী ২৬শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এবারের উদযাপনটা এবার ভিন্ন আকারে হবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদার সঙ্গে আমরা স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবো।
অন্য দেশ যদি পারে, তবে আমরা কেন পারবো না: এদিকে গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ সোসাইটি অব ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের (বিএসসিসিএম) তৃতীয় ও বাংলাদেশ ক্রিটিক্যাল কেয়ার নার্সিংয়ের প্রথম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মানুষের দোরগোড়ায় আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। আমার এটাই প্রশ্ন অন্য দেশ যদি পারে, তবে আমরা কেন পারবো না? কারণ, আমাদের মেধা বা জ্ঞান কোনোটিরই অভাব নেই। তবে সুযোগের অভাব ছিল। যেটি আমরা এখন করে দিচ্ছি। চিকিৎসা-শিক্ষার মানের প্রতি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মেডিকেল সায়েন্স এখন অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। নামিদামি বই আসছে। কিন্তু এসব বই এত দামি সবার পক্ষে তো কেনা সম্ভব নয়! কাজেই আমার মনে হয় আপনাদের বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন আছে এবং মন্ত্রণালয় থেকেও এটার উদ্যোগ নেয়া উচিত। আর প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লাইব্রেরিটা একান্তভাবে প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন নিমতলীতে আগুন লাগলো, তখন ডা. সামন্ত লাল সেন এসে বললো আমি এখন কী করব? আইসিইউ তো এখনো চালু হয়নি। অথচ মেশিনপত্র আমি কিনে দিয়েছি। সাত বছর ধরে এগুলো পড়ে আছে। কোনোটিই তো কাজে লাগানো যায়নি। আর আগের সরকার তো লুটপাট ও জ্বালাও-পোড়াওয়ে ব্যস্ত ছিল। তারাও তো করতে পারতো কিন্তু তারাও করেনি। আমাদের বোধ হয় সাত দিনও লাগেনি, সেটি চালু করতে। বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছিল। ওই সময় তাদের ছিল খুবই অগ্রহণযোগ্য যুক্তি। সেই যুক্তিটা হচ্ছে, এই কমিউনিটি ক্লিনিকে যারা চিকিৎসা নেবে তারা কখনই বিএনপিকে ভোট দিবে না। তারা নৌকায় ভোট দিবে। আর সেই ভয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভিজিটর তো যেতেই হবে। আত্মীয়স্বজন তো যাবে, যাবে তার সঙ্গে রাজনীতিবিদরাও। তারা না গেলে নাকি রোগীর আত্মীয়স্বজনদের মান-সম্মান থাকে না, এ রকমের একটা সমস্যা আছে। নেতারাও মনে করেন, তারা হয়তো না গেলে দায়িত্ব পালনে অবহেলা হলো। চিকিৎসকদের পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ বিষয়ে আপনাদের একটু কড়াকড়ি করতে হবে। পরিষ্কার কথা এটি। ঠিক আছে, যারা আসবে তারা অবশ্যই আসবে। তাহলে একটা ভিজিটর কর্নার করে দিবেন, যেখানে ভিজিটররা বসবেন, খাতা থাকবে। আর এখন তো আমাদের ডিজিটাল সিস্টেমই আছে। দরকার হয় ডিজিটাল সিস্টেমে রোগী দেখে আসবে। ওখানে মনিটর লাগানো থাকবে, ভিজিটররা বাইরে দাঁড়িয়ে রোগী দেখবেন। অথবা গ্লাস দেয়া থাকবে, গ্লাসের বাইরে থেকে রোগী দেখবে। চিকিৎসার জন্য দেশে পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাব রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডাক্তারদের কথাবার্তা এবং পরিচর্যায়ও অর্ধেক রোগ ভালো হয়ে যেতে পারে। সেদিকেও আমাদের চিকিৎসকদের একটু বিশেষ যত্নবান হতে হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নতুন নতুন রোগের পাশাপাশি নিত্যনতুন যে প্রযুক্তি আবিষ্কার হচ্ছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য চিকিৎসক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বই লেখার প্রতিও মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান। বিএসসিসিএম-এর সভাপতি অধ্যাপক ইউএইচ সাহেরা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব ডা. সিরাজুল হক খান ও বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ক্রিটিকন বাংলাদেশ-২০১৮’র কংগ্রেস সভাপতি ডা. মীর্জা নাজিম উদ্দিন। এবং শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বিএসসিসিএম’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এএসএম আরিফ আহসান।
No comments