শালিকার প্রেমিককে ফাঁসাতে গিয়ে...
তাহিরপুরে
শালিকার প্রেমিককে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে
ভগ্নিপতি আলাল মিয়া। সে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের মন্দিয়াতা গ্রামের
সাইকুল ইসলামের ছেলে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের
মন্দিয়াতা গ্রামের পাটলাই নদীর তীরে এই ঘটনা ঘটে। রোববার দুপুরে আলাল মিয়া
কে পুলিশ আটক করে সুনামগঞ্জ কোর্টে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের চিকসা গ্রামের তাজুদ আলীর মেয়ে সুজনা বেগম ঢাকা গাজী পুরের একটি গার্মেন্টে কাজ করার সুবাধে গত তিন মাস আগে পরিচয় হয় পটুয়াখালী জেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কিষমত মৌগর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে বনি আমিনের সঙ্গে। একপর্যায়ে সুজনা ও বনি আমিনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বনি আমিন ও সুজনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সুজনা জানায়, গ্রামের ভগ্নীপতি আলালের বাড়িতে বিয়ে হবে। সুজনা বনি আমিনকে প্রস্তুতি নিয়ে আসার কথা বলে গত এক সপ্তাহ আগে আলালের বাড়িতে সুজনা চলে আসে। গত শুক্রবার বিকালে সুজনা বনি আমিনকে এক হাজার টাকা বিকাশ পাঠায় সে যেন তাড়াতাড়ি আলালের বাড়িতে চলে আসে। সুজনার কথামতো বনি আমিন শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে একটি বাসে সুনামগঞ্জ হয়ে তাহিরপুর চলে এসে সুজনার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এইদিকে সুজনার ভগ্নিপতি আলালাকে সব কিছু খুলে বলার পর আলাল বনি আমিনের মোবাইল নাম্বার নিয়ে কথা বলে তাকে একটি মোটরসাইকেল দিয়ে কাউকান্দি বাজারে আসার কথা বলে, আলালও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে কাউকান্দি বাজারে চলে আসে। আলাল কাউকান্দি বাজারে যাওয়ার আগে টাঙ্গুয়া হাওরের দায়িত্বে থাকা আনসার পিসিকে জানায়, কিছুক্ষণ পর মন্দিয়াতা খেয়াঘাট দিয়ে একজন লোক বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে যাবে। আনসার পিসি বিষয়টি টাঙ্গুয়া হাওরের দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানালে তিনি টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এএসআই ইমাম হোসেনসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠায় তাকে আটক করতে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে সুজনার ভগ্নিপতি আলাল মিয়া বনি আমিনকে সঙ্গে করে নিয়ে খেয়াঘাটে আসে এবং তার ব্যাগ তল্লাশি করতে বলে। ব্যাগ তল্লাশি করে বনি আমিনের সাইট পকেট থেকে ২৬টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে টেকেরঘাট ম্যাজিস্ট্রেট ক্যাম্পে নিয়ে এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বনি আমিন জানায় সুজানার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বিয়ে করার আশ^াস দিয়ে সুজনার ভগ্নিপতি আলাল তাকে নিয়ে এসে তার ব্যাগে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে, এসব প্রমাণ বনি আমিনের মোবাইল ফোনে রেকর্ড রয়েছে। তার কথায় প্রমাণ হওয়ায় প্রেমিক বনি আমিনকে পুলিশ ছেড়ে দিয়ে ভগ্নিপতি আলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে সুনামগঞ্জ কোর্টে পাঠিয়েছে।
টাঙ্গুয়া হাওরের নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন চন্দ্র পাল জানান, ইয়াবা ট্যাবলেট আটকের ঘটনাটি সাজানো হওয়ায় আলাল মিয়াকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।
তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর জানান, শালিকার প্রেমিককে ফাঁসাতে গিয়ে আলাল মিয়া নিজেই ফেঁসে গেছে এবং বনি আমিনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। রোববার তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সুনামগঞ্জ কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের চিকসা গ্রামের তাজুদ আলীর মেয়ে সুজনা বেগম ঢাকা গাজী পুরের একটি গার্মেন্টে কাজ করার সুবাধে গত তিন মাস আগে পরিচয় হয় পটুয়াখালী জেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কিষমত মৌগর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে বনি আমিনের সঙ্গে। একপর্যায়ে সুজনা ও বনি আমিনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বনি আমিন ও সুজনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সুজনা জানায়, গ্রামের ভগ্নীপতি আলালের বাড়িতে বিয়ে হবে। সুজনা বনি আমিনকে প্রস্তুতি নিয়ে আসার কথা বলে গত এক সপ্তাহ আগে আলালের বাড়িতে সুজনা চলে আসে। গত শুক্রবার বিকালে সুজনা বনি আমিনকে এক হাজার টাকা বিকাশ পাঠায় সে যেন তাড়াতাড়ি আলালের বাড়িতে চলে আসে। সুজনার কথামতো বনি আমিন শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে একটি বাসে সুনামগঞ্জ হয়ে তাহিরপুর চলে এসে সুজনার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এইদিকে সুজনার ভগ্নিপতি আলালাকে সব কিছু খুলে বলার পর আলাল বনি আমিনের মোবাইল নাম্বার নিয়ে কথা বলে তাকে একটি মোটরসাইকেল দিয়ে কাউকান্দি বাজারে আসার কথা বলে, আলালও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে কাউকান্দি বাজারে চলে আসে। আলাল কাউকান্দি বাজারে যাওয়ার আগে টাঙ্গুয়া হাওরের দায়িত্বে থাকা আনসার পিসিকে জানায়, কিছুক্ষণ পর মন্দিয়াতা খেয়াঘাট দিয়ে একজন লোক বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে যাবে। আনসার পিসি বিষয়টি টাঙ্গুয়া হাওরের দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানালে তিনি টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এএসআই ইমাম হোসেনসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠায় তাকে আটক করতে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে সুজনার ভগ্নিপতি আলাল মিয়া বনি আমিনকে সঙ্গে করে নিয়ে খেয়াঘাটে আসে এবং তার ব্যাগ তল্লাশি করতে বলে। ব্যাগ তল্লাশি করে বনি আমিনের সাইট পকেট থেকে ২৬টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে টেকেরঘাট ম্যাজিস্ট্রেট ক্যাম্পে নিয়ে এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বনি আমিন জানায় সুজানার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বিয়ে করার আশ^াস দিয়ে সুজনার ভগ্নিপতি আলাল তাকে নিয়ে এসে তার ব্যাগে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে, এসব প্রমাণ বনি আমিনের মোবাইল ফোনে রেকর্ড রয়েছে। তার কথায় প্রমাণ হওয়ায় প্রেমিক বনি আমিনকে পুলিশ ছেড়ে দিয়ে ভগ্নিপতি আলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে সুনামগঞ্জ কোর্টে পাঠিয়েছে।
টাঙ্গুয়া হাওরের নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন চন্দ্র পাল জানান, ইয়াবা ট্যাবলেট আটকের ঘটনাটি সাজানো হওয়ায় আলাল মিয়াকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।
তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর জানান, শালিকার প্রেমিককে ফাঁসাতে গিয়ে আলাল মিয়া নিজেই ফেঁসে গেছে এবং বনি আমিনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। রোববার তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সুনামগঞ্জ কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে।
No comments