তুরস্ক-এফএসএ’র দখলে আফরিন
সিরিয়ার
আফরিন শহরের কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে তুর্কি বাহিনী ও বিদ্রোহী দল ফ্রি
সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ)। পূর্বে শহরটি পুরোপুরি কুর্দি যোদ্ধারা নিয়ন্ত্রণ
করতো। রোববার দখলের কথা জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোগান।
রোববার এক টুইটে তুর্কি সামরিক বাহিনী বলেছে, তুর্কি বাহিনী ও ফ্রি সিরিয়ান
আর্মি আফরিনের কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে। টুইটে আরো বলা হয়, বিশেষজ্ঞরা
এলাকাটিতে স্থলবোমা ও অন্যান্য ধরনের বিস্ফোরক ফাঁদ খুঁজে বের করার চেষ্টা
করছেন। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা। খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় সকাল ৮:৩০-এ
এরদোগান জানান, তুর্কি সমর্থিত বাহিনী শহরটির কেন্দ্র পুরোপুরি নিজেদের
দখলে নিয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীর পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, আফরিনের
কেন্দ্রে একটি তুর্কি পতাকা উড়ছে। এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুর্কি
সমর্থিত এফএসএ যোদ্ধাদের পোস্ট করা বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায় যে,
তারা শহরটির আবাসিক এলাকার রাস্তা দিয়ে হাঁটছে, বিজয়ের চিহ্ন দেখাচ্ছে,
পতাকা উড়াচ্ছে। তবে এসব ছবি বা ভিডিওর সত্যতা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করা
সম্ভব হয়নি। যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি
ফর হিউম্যান রাইটস পূর্বে বলেছিল, বুধবার থেকে কমপক্ষে ১ লাখ ৫০ হাজার
মানুষ আফরিন ছেড়ে পালিয়েছে। প্রসঙ্গত, জানুয়ারি থেকে সিরিয়ার
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত আফরিনে সামরিক অভিযান চালানো শুরু করে তুরস্ক ও
এফএসএ। অভিযানের উদ্দেশ্য, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দিশ পিপল’স প্রটেকশন
ইউনিট (ওয়াইপিজি) যোদ্ধাদের উৎখাত করা। সিরিয়ার কুর্দিশ ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন
পার্টি (পিওয়াইডি) ও এর সশস্ত্র শাখা ওয়াইপিজি’কে সন্ত্রাসী দল হিসেবে
দেখে তুরস্ক। তুরস্কের দাবি, দেশটিতে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স
পার্টি (পিকেকে)’র সঙ্গে দল দুটির সমপর্ক রয়েছে।
No comments