উজ্জ্বল কেবল সাব্বিরই
ফাইনালে
ব্যাট হাতে দায়িত্ব নিতে পারলেন না তামিম-রিয়াদ-মুশফিকরা। যথারীতি ব্যর্থ
লিটন কুমার দাস ও সৌম্য সরকার। আর সাকিব আল হাসানও থাকলেন ব্যাট হাতে
অনুজ্জ্বল। তবে ব্যতিক্রম সাব্বির রহমান। মোক্ষম সময়ে জ্বলে ওঠে তার ব্যাট।
গতকাল ফাইনালে নিজের উইকেট দেয়ার আগে সাব্বির রহমান করেন ৫০ বলে ৭৭
রান। এতে ইনিংস শেষে লড়াইয়ের পুঁজি পায় টাইগাররা। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি
আসর নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে গতকাল ১৬৬/৮ সংগ্রহ নিয়ে ইনিংস শেষ করে
বাংলাদেশ। শেষ ওভারে ১৮ রান যোগ হয় বাংলাদেশের স্কোর বোর্ডে । ৭ বলে ১৯
রানে অপরাজিত থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৮ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে
মিরাজের এটি সর্বোচ্চ রানের ইনিংসও। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ২১
ম্যাচ পর অর্ধশতকের দেখা পেলেন সাব্বির রহমান। ফাইনালে ৩৭ বলে পাঁচ
বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় অর্ধশতক পূর্ণ করেন সাব্বির। আর ৫০ বলে ৭৭ রানের
ইনিংসে শেষ পর্যন্ত সাব্বিরের ব্যাট থেকে আসে ৭ বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কা।
বাংলাদেশের ব্যাট হাতে ৩৯ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সাব্বিরের এটি
চতুর্থ অর্ধশতক। সংক্ষিপ্ত ঘরানার ক্রিকেটে সাব্বির সর্বশেষ অর্ধশতক হাঁকান
২০১৬’র ফেব্রুয়ারিতে। মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন সাব্বির রহমান। ওই ম্যাচে ১৪৭/৭ সংগ্রহ নিয়ে
২৩ রানের জয় দেখে বাংলাদেশ।
কলম্বোর রণসিংহ প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারত দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রেমাদাসা মাঠের সেন্টার উইকেটে হয় নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল খেলা। আসরে এই উইকেটে এটিই ছিল প্রথম ম্যাচ। ব্যাট হাতে ইনিংসের শুরুটা খারাপ ছিল না বাংলাদেশের। ৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ২৬ রান। কিন্তু পরে ১ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৪.২তম ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭/২-এ। ৯ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। ভারতীয় অফস্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দরের ডেলিভারিতে স্কয়ার লেগে সুরেশ রায়নার হাতে ক্যাচ দেন লিটন। আর লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের ডেলিভারিতে সীমানা দড়ির কাছে তামিমের ক্যাচ অসাধারণ দক্ষতায় লুফে নেন ভারতীয় ফিল্ডার শারদুল ঠাকুর। তামিম করেন ১৩ বলে ১৫ রান। আরো একবার মলিন নৈপুণ্য দেখালেন সৌম্য সরকার ।
ফাইনালে ব্যক্তিগত ১ রানে উইকেট খোয়ান সৌম্য। আসরের পাঁচ ম্যাচে সৌম্য সরকারের সংগ্রহ ১৪, ২৪, ১, ১০ ও ১। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে চাহালের ডেলিভারিতে বাজে শটে শিখর ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ দেন সৌম্য। ওই ওভারে আগেই সাজঘরে ফেরেন তামিম। আর ৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৫/৩-এ । আসরে টানা দুই ম্যাচে অর্ধশতকের কৃতিত্ব মুশফিকুর রহীমের। শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। কিন্তু ফাইনালে অল্পতেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। লেগস্পিনার চাহালের ডেলিভারিতে বিজয় শঙ্করের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। ১২ বলে ৯ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। আর ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭২/৪-এ।
মাহমুদুল্লার ‘১০০০’
১৪তম ওভারের শেষ বলে ১০০ রানের ঘরে পৌঁছে বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ উইকেট দেন ব্যক্তিগত ২১ রানে। ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১০/৫-এ। বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০০ রান পূর্ণ হলো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। এর আগে ১০০০ রানের ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীম। ফাইনালে খেলতে নামার আগে এ ল্যান্ডমার্ক থেকে ৪ রান দূরে ছিলেন রিয়াদ।
কলম্বোর রণসিংহ প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারত দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রেমাদাসা মাঠের সেন্টার উইকেটে হয় নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল খেলা। আসরে এই উইকেটে এটিই ছিল প্রথম ম্যাচ। ব্যাট হাতে ইনিংসের শুরুটা খারাপ ছিল না বাংলাদেশের। ৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ২৬ রান। কিন্তু পরে ১ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৪.২তম ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭/২-এ। ৯ বলে ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। ভারতীয় অফস্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দরের ডেলিভারিতে স্কয়ার লেগে সুরেশ রায়নার হাতে ক্যাচ দেন লিটন। আর লেগ স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহালের ডেলিভারিতে সীমানা দড়ির কাছে তামিমের ক্যাচ অসাধারণ দক্ষতায় লুফে নেন ভারতীয় ফিল্ডার শারদুল ঠাকুর। তামিম করেন ১৩ বলে ১৫ রান। আরো একবার মলিন নৈপুণ্য দেখালেন সৌম্য সরকার ।
ফাইনালে ব্যক্তিগত ১ রানে উইকেট খোয়ান সৌম্য। আসরের পাঁচ ম্যাচে সৌম্য সরকারের সংগ্রহ ১৪, ২৪, ১, ১০ ও ১। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে চাহালের ডেলিভারিতে বাজে শটে শিখর ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ দেন সৌম্য। ওই ওভারে আগেই সাজঘরে ফেরেন তামিম। আর ৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৫/৩-এ । আসরে টানা দুই ম্যাচে অর্ধশতকের কৃতিত্ব মুশফিকুর রহীমের। শ্রীলঙ্কা ও ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। কিন্তু ফাইনালে অল্পতেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। লেগস্পিনার চাহালের ডেলিভারিতে বিজয় শঙ্করের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। ১২ বলে ৯ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। আর ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭২/৪-এ।
মাহমুদুল্লার ‘১০০০’
১৪তম ওভারের শেষ বলে ১০০ রানের ঘরে পৌঁছে বাংলাদেশ। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ উইকেট দেন ব্যক্তিগত ২১ রানে। ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১০/৫-এ। বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০০ রান পূর্ণ হলো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের। এর আগে ১০০০ রানের ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীম। ফাইনালে খেলতে নামার আগে এ ল্যান্ডমার্ক থেকে ৪ রান দূরে ছিলেন রিয়াদ।
No comments