তিস্তার ঘোলা পানি, মমতার ভাললাগা বাংলাদেশ
বাংলাদেশের
ও ভারতের মধ্যকার তিস্তা নদীর পানিবণ্টন ইস্যু সমাধানে মমতা ব্যানার্জির
ঢাকা সফর কিভাবে সহায়তা করতে পারে তা স্পষ্ট নয়। শেখ হাসিনা ওয়াজেদের সঙ্গে
বৈঠকে এ ইস্যুতে তিনি সুনির্দিষ্ট কিছু ইঙ্গিত বা প্রস্তাব দিতে পারেননি।
এটা বিস্মিত হওয়ার মতো নয়। যখন তিনি নয়া দিল্লি ও ঢাকার মধ্যকার সংশ্লিষ্ট
চুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন, তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে
ভাগাভাগি করার মতো তিস্তায় যথেষ্ট পানি নেই। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশীদের
উপকার করার জন্য উত্তরবঙ্গের কৃষকদের তিনি বঞ্চিত করতে পারেন না।
নিশ্চিতভাবে নদীতে কোন কিছুই পরিবর্তন হয় নি যে, তিনি এখন ওই যুক্তির
বিপরীতে যেতে পারবেন। এমনকি যখন তিনি যুক্তি দেখিয়েছিলেন তখন সন্দেহ করা
হয়েছিল বিভিন্ন ঋতুতে নদীতে পানির পরিমাণের থেকে এর সঙ্গে তার রাজনৈতিক
হিসাব-নিকাশ সংশ্লিষ্ট। খুব কম মানুষই তার ওই যুক্তিকে তখন আমলে নিয়েছিলেন।
কেননা দু’দেশের বিশেষজ্ঞরা চুক্তি স্বাক্ষরের আগে নিশ্চিতভাবে নদীর পানির
পরিমাণ পরিমাপ করেছিলেন; বিশেষ করে শুকনো মওসুমে। এ কারণে এসব কিছু এটাই
ইঙ্গিত দেয় যে, মমতার ঢাকা সফরে তিস্তার পানি নিয়ে অচলাবস্থা নিরসনের
এজেন্ডা ছিল সামান্যই। তিনি জানেন যে, তিনি এ চুক্তি বানচাল করতে পারেন। আর
কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে তার রাজনৈতিক লড়াইয়ে তিনি এ ক্ষমতা ব্যবহার করতে
চান।
যাই হোক, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্বার্থে এ ইস্যুর আশু সমাধান জরুরি। নয়া দিল্লি এ চুক্তি বাস্তবায়নে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছে। ওই প্রতিশ্রুতির প্রতি ভারত সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হলে তা ঢাকার সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এছাড়া, শেখ হাসিনার জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার সমালোচকরা সবসময়ই অভিযোগ করেন যে, নয়া দিল্লির ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। মিস. ব্যানার্জি যদি সত্যিই তিস্তা ইস্যু সমাধানে সহায়তা করতে চান, তাহলে ঢাকায় ফাঁকা ইঙ্গিত না দিয়ে তার উচিত নয়া দিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা করা। অপর একটি ক্ষেত্রে অবশ্য নয়া দিল্লি ও ঢাকা উভয়ের সঙ্গে তার একযোগে কাজ করা প্রয়োজন। সম্প্রতি বাংলাদেশের সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে পশ্চিমবঙ্গের কিছু রাজনীতিক সহায়তা করেছে বলে অকাট্য তথ্য-প্রমাণ সামনে এসেছে। মিস ব্যানার্জির নিজ দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এসব রাজনীতিকের কয়েকজনের যোগসূত্র আছে বলে অভিযোগ এসেছে। দুর্ভাগ্যবশত, বিপজ্জনক এ ঘটনা নিয়ে তিনি সাধারণত শুধু রাজনৈতিক শোরগোল করেন। ভারত-বাংলাদেশে সীমান্ত ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এমন দৃষ্টিভঙ্গি গুরুতরভাবে দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
মমতার বাংলাদেশ সফর ভাললাগা ছাড়া কিছু নয়
তিস্তার পানি নিয়ে আগের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার ইলিশ কূটনীতিও কাজ করেনি। সম্প্রতি তার বাংলাদেশ সফর ভাললাগা (ফিল-গুড এনডেভার) ছাড়া আর কিছু ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিন দিনের বাংলাদেশ সফর নিয়ে এক সম্পাদকীয়তে এসব কথা লিখেছে ভারতের দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকা। ‘ফিল-গুড ট্রিপ’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, মমতাকে বহনকারী বিমান কলকাতা বিমানবন্দরের মাটি স্পর্শ করার পর পরই প্রতারণার অভিযোগে তার এক ঘনিষ্ঠ সহযাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এতে ঢাকা সফর করে যেটুকু ভাল লেগেছিল মমতার অবশ্যই সেই অনুভূতি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। তিনি হয়তো ধারণা করেছিলেন এ নিজস্ব ধরনের ‘পররাষ্ট্রনীতি’ তাকে অনেকটা জায়গা করে দেবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ বিতর্ক নিয়ে এসেছেন। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে প্রচণ্ড বিবাদ আছে। তিনি সেই ইস্যুতে ‘এটা আমার ওপর ছেড়ে দিন’ জাতীয় নিশ্চয়তা দিয়েছেন। ঢাকা পৌঁছার পর এ নিশ্চয়তা দেয়ার ফলে তাকে সম্ভাষণ জানানো হয়েছে। কিন্তু গত শুক্র ও শনিবারের মধ্যে এর প্রায় পুরোপুরি উল্টো ঘটনা ঘটেছে। এটাকে দেখা হচ্ছে এর আগে তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে তার ঘোর বিরোধিতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে। স্বাগতিকদের কাছে দু-ধরনের ধারণার জন্য তিনি নিজেকে নিজে দুর্বল করেছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি মুখোমুখি বৈঠকেও তিস্তা নিয়ে নিষ্প্রয়োজনীয় সত্য আবারও তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে তিনি বলেছেন, তিস্তায় পানি সীমিত পর্যায়ে। এর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, তিস্তার পানি বণ্টন করা হলে তাতে পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থের ক্ষতি হবে। তিনি অকারণ আপত্তির মাধ্যমে বোঝালেন এতে তার সম্মতি নেই। যদি পানি ভাগাভাগি করা হয় তাহলে তাতে বাধাগ্রস্ত হবে উত্তরবঙ্গের কৃষিকাজ। প্রকৃতপক্ষে, ২০১১ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং যখন ঢাকা সফরে এসেছিলেন প্রতিনিধি দল নিয়ে। তখন তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল। আন্তর্জাতিক চোখ তাকিয়ে ছিল সেদিকে। কিন্তু ওই সময় তিনি নিজেকে ‘নো শো’ অবস্থানে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর থেকে তার অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। প্রায় চার বছর পরে, তিনি দুর্বল ‘কূটনীতি’ নিয়ে এগুলেন। ঢাকা এলেন। তারপর সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি ফের তুলে ধরলেন তার আসল অবস্থান। তার দু’রকম অবস্থান দৃশ্যত হাস্যকর, পররাষ্ট্রনীতিতে এর কি জোরালো কোন ভূমিকা আছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সুস্বাদু ইলিশ ব্রান্ডের কূটনীতিও কাজ করেনি। হাসিনা তাকে জানিয়ে দিয়েছেন, পর্যাপ্ত পানি পাওয়ার ওপর নির্ভর করে ইলিশ চাষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাদেশ সফর থেকে একটি কাহিনী দাঁড় করানো যায়। তা হলো, একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করলেন তাতে পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারিত হয় না। হোন তিনি পশ্চিমবঙ্গের বা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। কণ্টকিত আরেকটি ইস্যুতে তিনি আরও নমনীয় অবস্থান নিতে পারতেন। সেটা হলো সীমান্ত চুক্তি ও ছিটমহল বিনিময়। আদতে, এক দেশের যেসব মানুষ অন্য দেশের ভেতর অবস্থান করছেন তাদের জন্য এটা স্পর্শকাতর। এখনও বিজেপি সরকারের কাছ থেকে এ চুক্তি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার কোন ইঙ্গিত মেলেনি। এর কারণ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ গত এপ্রিলে যখন বিরোধী দলের নেত্রী ছিলেন তখন তিনি এ চুক্তির ঘোর বিরোধী ছিলেন। সীমান্তে অনুপ্রবেশের ইস্যু বাদ দিলেও, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূলে রয়েছে তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তি।
যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার উদ্যোগ নিয়েছেন, তখন পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিপরীত সংকেত দ্বিধাদ্বন্দ্বকে আরও শোচনীয় করে তুলবে।
যাই হোক, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের স্বার্থে এ ইস্যুর আশু সমাধান জরুরি। নয়া দিল্লি এ চুক্তি বাস্তবায়নে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছে। ওই প্রতিশ্রুতির প্রতি ভারত সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হলে তা ঢাকার সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এছাড়া, শেখ হাসিনার জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার সমালোচকরা সবসময়ই অভিযোগ করেন যে, নয়া দিল্লির ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। মিস. ব্যানার্জি যদি সত্যিই তিস্তা ইস্যু সমাধানে সহায়তা করতে চান, তাহলে ঢাকায় ফাঁকা ইঙ্গিত না দিয়ে তার উচিত নয়া দিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা করা। অপর একটি ক্ষেত্রে অবশ্য নয়া দিল্লি ও ঢাকা উভয়ের সঙ্গে তার একযোগে কাজ করা প্রয়োজন। সম্প্রতি বাংলাদেশের সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে পশ্চিমবঙ্গের কিছু রাজনীতিক সহায়তা করেছে বলে অকাট্য তথ্য-প্রমাণ সামনে এসেছে। মিস ব্যানার্জির নিজ দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে এসব রাজনীতিকের কয়েকজনের যোগসূত্র আছে বলে অভিযোগ এসেছে। দুর্ভাগ্যবশত, বিপজ্জনক এ ঘটনা নিয়ে তিনি সাধারণত শুধু রাজনৈতিক শোরগোল করেন। ভারত-বাংলাদেশে সীমান্ত ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এমন দৃষ্টিভঙ্গি গুরুতরভাবে দেশের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
মমতার বাংলাদেশ সফর ভাললাগা ছাড়া কিছু নয়
তিস্তার পানি নিয়ে আগের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার ইলিশ কূটনীতিও কাজ করেনি। সম্প্রতি তার বাংলাদেশ সফর ভাললাগা (ফিল-গুড এনডেভার) ছাড়া আর কিছু ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিন দিনের বাংলাদেশ সফর নিয়ে এক সম্পাদকীয়তে এসব কথা লিখেছে ভারতের দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকা। ‘ফিল-গুড ট্রিপ’ শিরোনামে প্রকাশিত ওই সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, মমতাকে বহনকারী বিমান কলকাতা বিমানবন্দরের মাটি স্পর্শ করার পর পরই প্রতারণার অভিযোগে তার এক ঘনিষ্ঠ সহযাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এতে ঢাকা সফর করে যেটুকু ভাল লেগেছিল মমতার অবশ্যই সেই অনুভূতি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। তিনি হয়তো ধারণা করেছিলেন এ নিজস্ব ধরনের ‘পররাষ্ট্রনীতি’ তাকে অনেকটা জায়গা করে দেবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ বিতর্ক নিয়ে এসেছেন। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে প্রচণ্ড বিবাদ আছে। তিনি সেই ইস্যুতে ‘এটা আমার ওপর ছেড়ে দিন’ জাতীয় নিশ্চয়তা দিয়েছেন। ঢাকা পৌঁছার পর এ নিশ্চয়তা দেয়ার ফলে তাকে সম্ভাষণ জানানো হয়েছে। কিন্তু গত শুক্র ও শনিবারের মধ্যে এর প্রায় পুরোপুরি উল্টো ঘটনা ঘটেছে। এটাকে দেখা হচ্ছে এর আগে তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে তার ঘোর বিরোধিতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে। স্বাগতিকদের কাছে দু-ধরনের ধারণার জন্য তিনি নিজেকে নিজে দুর্বল করেছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তিনি মুখোমুখি বৈঠকেও তিস্তা নিয়ে নিষ্প্রয়োজনীয় সত্য আবারও তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে তিনি বলেছেন, তিস্তায় পানি সীমিত পর্যায়ে। এর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, তিস্তার পানি বণ্টন করা হলে তাতে পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থের ক্ষতি হবে। তিনি অকারণ আপত্তির মাধ্যমে বোঝালেন এতে তার সম্মতি নেই। যদি পানি ভাগাভাগি করা হয় তাহলে তাতে বাধাগ্রস্ত হবে উত্তরবঙ্গের কৃষিকাজ। প্রকৃতপক্ষে, ২০১১ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং যখন ঢাকা সফরে এসেছিলেন প্রতিনিধি দল নিয়ে। তখন তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল। আন্তর্জাতিক চোখ তাকিয়ে ছিল সেদিকে। কিন্তু ওই সময় তিনি নিজেকে ‘নো শো’ অবস্থানে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর থেকে তার অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। প্রায় চার বছর পরে, তিনি দুর্বল ‘কূটনীতি’ নিয়ে এগুলেন। ঢাকা এলেন। তারপর সর্বোচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি ফের তুলে ধরলেন তার আসল অবস্থান। তার দু’রকম অবস্থান দৃশ্যত হাস্যকর, পররাষ্ট্রনীতিতে এর কি জোরালো কোন ভূমিকা আছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সুস্বাদু ইলিশ ব্রান্ডের কূটনীতিও কাজ করেনি। হাসিনা তাকে জানিয়ে দিয়েছেন, পর্যাপ্ত পানি পাওয়ার ওপর নির্ভর করে ইলিশ চাষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাদেশ সফর থেকে একটি কাহিনী দাঁড় করানো যায়। তা হলো, একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করলেন তাতে পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারিত হয় না। হোন তিনি পশ্চিমবঙ্গের বা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। কণ্টকিত আরেকটি ইস্যুতে তিনি আরও নমনীয় অবস্থান নিতে পারতেন। সেটা হলো সীমান্ত চুক্তি ও ছিটমহল বিনিময়। আদতে, এক দেশের যেসব মানুষ অন্য দেশের ভেতর অবস্থান করছেন তাদের জন্য এটা স্পর্শকাতর। এখনও বিজেপি সরকারের কাছ থেকে এ চুক্তি নিয়ে অগ্রসর হওয়ার কোন ইঙ্গিত মেলেনি। এর কারণ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ গত এপ্রিলে যখন বিরোধী দলের নেত্রী ছিলেন তখন তিনি এ চুক্তির ঘোর বিরোধী ছিলেন। সীমান্তে অনুপ্রবেশের ইস্যু বাদ দিলেও, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূলে রয়েছে তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তি।
যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার উদ্যোগ নিয়েছেন, তখন পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিপরীত সংকেত দ্বিধাদ্বন্দ্বকে আরও শোচনীয় করে তুলবে।
No comments