পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ছয় বছর, শ্রদ্ধা–ভালোবাসায় নিহতদের স্মরণ
(বিডিআর বিদ্রোহের ষষ্ঠবার্ষিকী ছিল গতকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি। পিলখানায় বিপথগামী জওয়ানদের হাতে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গতকাল বনানীর সামরিক কবরস্থানে আসেন স্বজনেরা। ফুল দিয়ে, কবরের মাটি স্পর্শ করে প্রিয়জনদের স্মরণ করেন তাঁরা l ছবি: প্রথম আলো) পিলখানায়
বিপথগামী জওয়ানদের বিদ্রোহে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনেরা গতকাল
বুধবার এসেছিলেন বনানীর সামরিক কবরস্থানে। ছিল সামরিক আনুষ্ঠানিকতা, দিবসটি
পালনের অনেক কিছু। শ্রদ্ধা জানাতে আসেন রাষ্ট্রপ্রতি ও প্রধানমন্ত্রীর
প্রতিনিধি। তাঁরা সবাই স্মরণ করেন পিলখানায় সংঘঠিত ছয় বছর আগের সেই নারকীয়
ঘটনার।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের সময় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। এ হত্যাকাণ্ডের শিকার সেনা কর্মকর্তাদের বেশির ভাগেরই দাফন হয়েছে বনানীর সামরিক কবরস্থানে। কয়েকজনকে তাঁদের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। কবরস্থানে মাঝামাঝি এক সারিতে এ কর্মকর্তাদের দাফন করা হয়েছে। সবার আগে বিডিআরের মহাপরিচালক শাকিল আহমেদ ও তাঁর স্ত্রীর কবর। কবরগুলো সারি করে বাঁধানো দেওয়া হয়েছে সিরামিকের ছোট দেয়াল আর স্টিলের রেলিং দিয়ে। মাঝে কালো সিরামিক লাগানো স্মৃতিস্তম্ভ। তাতে তিন সারিতে নিহত সব কর্মকর্তা ও সদস্যের নাম লেখা। এই নামফলকের বেদিতেই সকাল থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সবাই।
সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদীন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারী। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমদ যৌথভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ফুল দেওয়ার পর নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন উপস্থিত সবাই। তাঁদের স্মরণে দোয়া করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সেনা মসজিদের ধর্মীয় শিক্ষক।
জোহরের নামাজের আগে সব সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে (গ্যারিসন-প্রধান মসজিদ) এরিয়ার তত্ত্বাবধানে এবং ঢাকা সেনানিবাসের সেনা কেন্দ্রীয় মসজিদে সদর দপ্তর লগ এরিয়ার তত্ত্বাবধানে কোরআন খতম, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতেরও আয়োজন করা হয়। মিলাদে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও নিহতের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
বর্ডার গার্ড: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পিলখানায় কোরআন খতম ও পিলখানার কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবির সব ইউনিটে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করা হয়।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের সময় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন প্রাণ হারান। এ হত্যাকাণ্ডের শিকার সেনা কর্মকর্তাদের বেশির ভাগেরই দাফন হয়েছে বনানীর সামরিক কবরস্থানে। কয়েকজনকে তাঁদের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। কবরস্থানে মাঝামাঝি এক সারিতে এ কর্মকর্তাদের দাফন করা হয়েছে। সবার আগে বিডিআরের মহাপরিচালক শাকিল আহমেদ ও তাঁর স্ত্রীর কবর। কবরগুলো সারি করে বাঁধানো দেওয়া হয়েছে সিরামিকের ছোট দেয়াল আর স্টিলের রেলিং দিয়ে। মাঝে কালো সিরামিক লাগানো স্মৃতিস্তম্ভ। তাতে তিন সারিতে নিহত সব কর্মকর্তা ও সদস্যের নাম লেখা। এই নামফলকের বেদিতেই সকাল থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সবাই।
সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদীন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, নৌবাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারী। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমদ যৌথভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ফুল দেওয়ার পর নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন উপস্থিত সবাই। তাঁদের স্মরণে দোয়া করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সেনা মসজিদের ধর্মীয় শিক্ষক।
জোহরের নামাজের আগে সব সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে (গ্যারিসন-প্রধান মসজিদ) এরিয়ার তত্ত্বাবধানে এবং ঢাকা সেনানিবাসের সেনা কেন্দ্রীয় মসজিদে সদর দপ্তর লগ এরিয়ার তত্ত্বাবধানে কোরআন খতম, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতেরও আয়োজন করা হয়। মিলাদে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও নিহতের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
বর্ডার গার্ড: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পিলখানায় কোরআন খতম ও পিলখানার কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবির সব ইউনিটে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করা হয়।
No comments