লোকসভায় জমি বিল পেশ
ভারতের লোকসভায় (মঙ্গলবার) ভূমি অধিগ্রহণ বিল পেশ করা হয়। এই বিলের প্রতিবাদে সংসদে ব্যাপক প্রতিবাদ জানায় বিরোধী দলের এমপিরা। বিল পেশ হতেই ওয়াক আউট করে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধী এমপিরা সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখায়। সংসদে সরকারপক্ষ এবং বিরোধীদের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। পরে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি এবং বিজেডি এমপিরা সংসদ কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান। অন্যদিক, দিল্লির জন্তর মন্তরে সমাজকর্মী আন্না হাজারের নেতৃত্বে ভূমি অধিগ্রহণ বিলের প্রতিবাদে ধরনা কর্মসূচি চলছে। এদিকে, বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ভূমি বিল থেকে পিছু হটবে না সরকার। বিরোধীদের ভালো পরামর্শ গ্রহণ করা হবে, প্রয়োজনে সংশোধনী আনার জন্য সরকার তৈরি রয়েছে।’ রাজ্যসভায় সরকার পক্ষে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ‘কংগ্রেস আমলে নেহেরুর শাসনকালে ৭০টি অধ্যাদেশ আনা হয়েছিল।’ জেডিইউ প্রেসিডেন্ট শারদ যাদব বলেন, ‘সরকার বুলডোজার দিয়ে কৃষকদের পিষে ফেলতে চাইছে।
ভারত কৃষকদের একটি দেশ। কিন্তু সরকার কারও কথা পরোয়া না করে নিজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বেসরকারি কোম্পানিকে ফায়দা দেয়ার জন্য এই অধ্যাদেশ আনা হয়েছে।’ বিএসপি নেত্রী মায়াবতী বলেন, ‘এই অধ্যাদেশ কৃষকদের কল্যাণে নয়, এই বিল সে ফ কিছু বড় শিল্পপতিদের সাহায্যের জন্য আনা হয়েছে।’ কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, ‘প্রতি ২৭ দিন অন্তর সরকার একটি অধ্যাদেশ আনছে। নেহেরুর শাসনকাল এবং বর্তমান সময়ের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে।’ সরকারপক্ষে কেন্দ্রীয় সংসদবিষয়কমন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, ‘বিরোধিতা করতে হলে সংসদে বসে তা করুন বিরোধীরা। সরকার প্রয়োজনে আলোচনা করে সংশোধনী আনতে প্রস্তুত রয়েছে।’ মঙ্গলবার লোকসভায় জমি বিল পেশের আগে রাজ্যসভায় আলোচনার ডাক দেন ডেপুটি চেয়ারম্যান। অর্ডিন্যান্সের পক্ষে প্রশ্ন করে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ‘ইউপিএ সরকারও বহু অর্ডিন্যান্স পেশ করেছিলেন। এই জমি অধিগ্রহণ অর্ডিন্যান্স সংসদকে উপেক্ষা করছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ ভুল।’ জমি বিলের বিরোধিতায় এদিন সরব হয় কংগ্রেস, তৃণমূল-কংগ্রেস, জেডিইউ, সপা, বসপাসহ একাধিক বিরোধী দল। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, জমি বিল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পিছিয়ে যাবে না। প্রয়োজনে বিল সংশোধন করতেও প্রস্তুত। জমি বিল পেশ করাতে বিরোধীদের পাশে পেতে অধিবেশনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘অর্ডিন্যান্স নিয়ে সরকার আলোচনা করতে রাজি রয়েছে। ভালো প্রস্তাবকে স্বাগত জানানো হবে। প্রয়োজনে সংশোধনীও আনা হবে। একই সঙ্গে গরিব কৃষকদের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজও করা হবে না বলে বিরোধীদের বার্তা দিয়েছেন তিনি। আবারও একই ময়দানে আন্না-কেজরিওয়াল
ভূমি অধিগ্রহণ আইনের বিরোধিতায় আবারও একই ময়দানে বসছেন আন্না হাজারে ও অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ভারতের দিল্লির জন্তর মন্তরে মঙ্গলবার বিকালে ধরনায় বসছেন গুরু-শিষ্য। খবর এনডিটিভির। এর আগে সোমবার বিকালে গান্ধীবাদী মানবাধিকার কর্মী আন্না হাজারের (৭৭) সঙ্গে দেখা করেন দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (৪৪)। এ সময় কেজরিওয়ালের সঙ্গে রাজ্যটির মন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়াও ছিলেন। হাজারের ধরনায় কেজরিওয়ালের বসার খবরে সোমবার থেকেই জন্তর মন্তরে প্রচুর লোকসমাগম লক্ষ্য করা গেছে। দেশটির লোকসভায় মঙ্গলবার বিকালে নতুন ভূমি অধিগ্রহণ আইন পাসের ব্যাপারে আলোচনা হবে। কৃষক-জনতাকে উপেক্ষা করে তৈরি করা এই আইনের বিরোধিতায় নেমেছে ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ২০১১ সালে দুর্নীতিবিরোধী লোকপাল আইনের দাবিতে এই জন্তর মন্তরেই ধরনায় বসেছিলেন হাজারে। সেই ধরনায় হাজারের সঙ্গে যোগ দেন সাবেক সরকারি চাকরিজীবী কেজরিওয়াল।
ভূমি অধিগ্রহণ আইনের বিরোধিতায় আবারও একই ময়দানে বসছেন আন্না হাজারে ও অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ভারতের দিল্লির জন্তর মন্তরে মঙ্গলবার বিকালে ধরনায় বসছেন গুরু-শিষ্য। খবর এনডিটিভির। এর আগে সোমবার বিকালে গান্ধীবাদী মানবাধিকার কর্মী আন্না হাজারের (৭৭) সঙ্গে দেখা করেন দিল্লির নয়া মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (৪৪)। এ সময় কেজরিওয়ালের সঙ্গে রাজ্যটির মন্ত্রী মনীষ সিসোদিয়াও ছিলেন। হাজারের ধরনায় কেজরিওয়ালের বসার খবরে সোমবার থেকেই জন্তর মন্তরে প্রচুর লোকসমাগম লক্ষ্য করা গেছে। দেশটির লোকসভায় মঙ্গলবার বিকালে নতুন ভূমি অধিগ্রহণ আইন পাসের ব্যাপারে আলোচনা হবে। কৃষক-জনতাকে উপেক্ষা করে তৈরি করা এই আইনের বিরোধিতায় নেমেছে ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ২০১১ সালে দুর্নীতিবিরোধী লোকপাল আইনের দাবিতে এই জন্তর মন্তরেই ধরনায় বসেছিলেন হাজারে। সেই ধরনায় হাজারের সঙ্গে যোগ দেন সাবেক সরকারি চাকরিজীবী কেজরিওয়াল।
No comments