বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জিয়া
অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার
বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের
বিচারক আবু আহমেদ জমাদার গতকাল এ পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। সাবেক
প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও
ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা পরে পরোয়ানা বাতিলের আবেদন করলে তাও নাকচ করে দেয়
আদালত। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য আগামী ৪ঠা মার্চ দিন ধার্য করেছে আদালত। ওই দিন
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আদালতে হাজির করারও নির্দেশ
দেয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের আদালতের আদেশের কঠোর সমালোচনা করেছেন তার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেছেন, গ্রেপ্তারের এই আদেশ বেআইনি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়াকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য মামলাটি করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, আদালতের বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিচারক বেগম জিয়ার প্রতি অবিচার করেছেন। অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এ মামলায় খালেদা জিয়াকে বারবার সময় দেয়া হয়েছে। আসামীপক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সময়ক্ষেপণ করেছে। পুলিশ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
ওদিকে, রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গুলশান থানায় যায়নি। ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার লুৎফুল কবীর বলেন, আমরা এখনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাইনি। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) নূরুল আলমও সন্ধ্যায় একই কথা বলেন। পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর তা প্রথমে ডিসি প্রসিকিউশনের কাছে যায়। সেখান থেকে পরোয়ানা পাঠানো হবে ডিএমপি কমিশনার কার্যালয়ে। কমিশনার কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিসি অফিস হয়ে থানায় যাবে পরোয়ানাটি।
ঢাকার আলিয়া মাদরাসায় স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের গতকালের কার্যক্রম শুরু হয় বেলা ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে। শুরুতে খালেদা জিয়ার হাজিরা প্রশ্নে তার পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। আবেদনে বলা হয়, অসুস্থতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে খালেদা জিয়া আদালতে আসতে পারছেন না। এজন্য সময় প্রয়োজন। কিন্তু আদালত বেগম জিয়ার আবেদন নাকচ করে দিয়ে তিনিসহ আদালতে অনুপস্থিত আসামিদের প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। আদালত আদেশে বলেন, ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই মামলাটি করা হয়েছিল। এরপর ৬৩টি দিবস এ মামলার কার্যক্রম চলেছে। এর মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া কেবল ৭ দিন উপস্থিত হয়েছেন। গত তারিখে বলা হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়ার হাজিরা নিশ্চিত করতে হবে। আদালতের প্রতি অনাস্থা আবেদন, মানবিক ও ধর্মীয় কারণে এক মাস সময় দেয়া হয়েছিল। তারপরও হাজির না হওয়ায় আজকের সময় আবেদন খারিজ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলো। এরপর আদালতে সাক্ষ্য দেন দুদকের উপপরিচালক হারুনুর রশীদ। এদিন আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন- অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। তাদের সহায়তা করেন ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ। সাক্ষ্য গ্রহণ চলতে থাকা অবস্থায় বেগম জিয়ার আইনজীবীরা গ্রেপ্তারের আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী। শুনানি শেষে আদালত তাদের আবেদন খারিজ করে গ্রেপ্তারের আদেশ বহাল রাখেন। এ পর্যায়ে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল মামলার আসামি তারেক রহমানের অনুপস্থিতির বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। এ বিষয়ে আদেশ দিতে অনুরোধ করেন। এ সময় কাজল বলেন, তারেক রহমান অসুস্থতার কথা বলে দেশের বাইরে গেছেন। কিন্তু তিনি বিদেশের মাটিতে বহাল তবিয়তে আছেন। সেখানে বসে রাজনীতি করছেন। তাকে আগামী তারিখে উপস্থিত হতে আদেশ চাচ্ছি। আজ আবেদন দিচ্ছি তাই আগামী তারিখে হাজিরের নির্দেশ চাচ্ছি। এ সময় বেগম জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী বলেন, আপনি যে আদেশ দিয়েছেন সে বিষয়ে আমরা রিভিশন আবেদন করব। আমরা মৌখিকভাবে বিষয়টি আপনাকে অবগত করছি। তাই আমাদের রিভিশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে আবেদন করছি। এরপর আদালত বলেন, আগামী ৪ঠা মার্চ মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হলো এবং ওই তারিখ তারেক রহমানকে অবশ্যই আদালতে হাজির করতে হবে। যেহেতু গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে আগের আদেশ বহাল সেজন্য আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন অটোমেটিক নামঞ্জুর হয়ে গেছে।
আলিয়া মাদরাসা মাঠ ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, এই আদালতের উপর আমাদের আস্থা নাই। আমরা আদালত পরিবর্তনের আবেদন করেছি। আমাদের আবেদনটি উচ্চ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় আছে। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর মানুষ জানে দীর্ঘ ৫১ দিন ধরে বেগম খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ আছেন, অভুক্ত আছেন, অসুস্থ আছেন। এসব কারণে তিনি আজ আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। আমরা আবেদনে এসব বিষয় উল্লেখ করেছি। আইনের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে আমাদের সিনিয়র আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। আদালতের কাছে আমাদের শেষ আবেদন ছিল- আপনি যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন সেটা প্রত্যাহার করে নেন যেহেতু আজ মামলার শুনানি হয়নি এবং কোন আসামিই উপস্থিত ছিল না। খন্দকার মাহবুব হোসেন আরও বলেন, এই আদেশ যেটাকে আমরা মনে করি- বেআইনি আদেশ। শুনানিতে এজে মোহাম্মদ আলী বারবার বলেছেন- এটা বেআইনি আদেশ। এই আদেশের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ও নৈতিকভাবে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। এই আদেশ সঠিক হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করব। কিন্তু আদালত সেটাও নাকচ করে দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রাখলেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্বাস- এই আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পাব না। সেটা আবার প্রমাণ হয়েছে। দেশের এই বর্তমান অবস্থায় তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী অবরুদ্ধ ও আটক অবস্থায় আছেন। তার রাজনৈতিক কার্যালয়ের চতুর্দিকে দলীয় সরকারের বিভিন্ন সংগঠন ঘেরাও করে রেখে তার জীবনের উপর হুমকি দিচ্ছে। এই অবস্থায় তার পক্ষে আদালতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব নয়। এটা বিবেচনা যোগ্য। এটা বিবেচনা করে আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তাও নাকচ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আইনগতভাবে যত রকম পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব সেটা আমরা নেব। তবে আমরা বারবার বলেছি- এই মামলাটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা। এখানে কোন অর্থ আত্মসাৎ হয়নি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এই মামলাটি করা হয়েছে এবং এটা রাজনৈতিকভাবেই ফায়সালা তারা করবে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করাটা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি হয়েছে বলে আমি মনে করি।
দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি করে। ২০১১ সালের ৮ই আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি করা হয়। গতবছর ১৯শে মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলা দুটির বিচার শুরু হয়।
খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের আদালতের আদেশের কঠোর সমালোচনা করেছেন তার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেছেন, গ্রেপ্তারের এই আদেশ বেআইনি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়াকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য মামলাটি করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, আদালতের বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিচারক বেগম জিয়ার প্রতি অবিচার করেছেন। অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এ মামলায় খালেদা জিয়াকে বারবার সময় দেয়া হয়েছে। আসামীপক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সময়ক্ষেপণ করেছে। পুলিশ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
ওদিকে, রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গুলশান থানায় যায়নি। ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার লুৎফুল কবীর বলেন, আমরা এখনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাইনি। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) নূরুল আলমও সন্ধ্যায় একই কথা বলেন। পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর তা প্রথমে ডিসি প্রসিকিউশনের কাছে যায়। সেখান থেকে পরোয়ানা পাঠানো হবে ডিএমপি কমিশনার কার্যালয়ে। কমিশনার কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিসি অফিস হয়ে থানায় যাবে পরোয়ানাটি।
ঢাকার আলিয়া মাদরাসায় স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের গতকালের কার্যক্রম শুরু হয় বেলা ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে। শুরুতে খালেদা জিয়ার হাজিরা প্রশ্নে তার পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। আবেদনে বলা হয়, অসুস্থতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে খালেদা জিয়া আদালতে আসতে পারছেন না। এজন্য সময় প্রয়োজন। কিন্তু আদালত বেগম জিয়ার আবেদন নাকচ করে দিয়ে তিনিসহ আদালতে অনুপস্থিত আসামিদের প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। আদালত আদেশে বলেন, ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই মামলাটি করা হয়েছিল। এরপর ৬৩টি দিবস এ মামলার কার্যক্রম চলেছে। এর মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া কেবল ৭ দিন উপস্থিত হয়েছেন। গত তারিখে বলা হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়ার হাজিরা নিশ্চিত করতে হবে। আদালতের প্রতি অনাস্থা আবেদন, মানবিক ও ধর্মীয় কারণে এক মাস সময় দেয়া হয়েছিল। তারপরও হাজির না হওয়ায় আজকের সময় আবেদন খারিজ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলো। এরপর আদালতে সাক্ষ্য দেন দুদকের উপপরিচালক হারুনুর রশীদ। এদিন আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন- অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। তাদের সহায়তা করেন ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ। সাক্ষ্য গ্রহণ চলতে থাকা অবস্থায় বেগম জিয়ার আইনজীবীরা গ্রেপ্তারের আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী। শুনানি শেষে আদালত তাদের আবেদন খারিজ করে গ্রেপ্তারের আদেশ বহাল রাখেন। এ পর্যায়ে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল মামলার আসামি তারেক রহমানের অনুপস্থিতির বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। এ বিষয়ে আদেশ দিতে অনুরোধ করেন। এ সময় কাজল বলেন, তারেক রহমান অসুস্থতার কথা বলে দেশের বাইরে গেছেন। কিন্তু তিনি বিদেশের মাটিতে বহাল তবিয়তে আছেন। সেখানে বসে রাজনীতি করছেন। তাকে আগামী তারিখে উপস্থিত হতে আদেশ চাচ্ছি। আজ আবেদন দিচ্ছি তাই আগামী তারিখে হাজিরের নির্দেশ চাচ্ছি। এ সময় বেগম জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী বলেন, আপনি যে আদেশ দিয়েছেন সে বিষয়ে আমরা রিভিশন আবেদন করব। আমরা মৌখিকভাবে বিষয়টি আপনাকে অবগত করছি। তাই আমাদের রিভিশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে আবেদন করছি। এরপর আদালত বলেন, আগামী ৪ঠা মার্চ মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হলো এবং ওই তারিখ তারেক রহমানকে অবশ্যই আদালতে হাজির করতে হবে। যেহেতু গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে আগের আদেশ বহাল সেজন্য আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন অটোমেটিক নামঞ্জুর হয়ে গেছে।
আলিয়া মাদরাসা মাঠ ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, এই আদালতের উপর আমাদের আস্থা নাই। আমরা আদালত পরিবর্তনের আবেদন করেছি। আমাদের আবেদনটি উচ্চ আদালতে শুনানির অপেক্ষায় আছে। তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর মানুষ জানে দীর্ঘ ৫১ দিন ধরে বেগম খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ আছেন, অভুক্ত আছেন, অসুস্থ আছেন। এসব কারণে তিনি আজ আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। আমরা আবেদনে এসব বিষয় উল্লেখ করেছি। আইনের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে আমাদের সিনিয়র আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী আদালতকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। আদালতের কাছে আমাদের শেষ আবেদন ছিল- আপনি যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন সেটা প্রত্যাহার করে নেন যেহেতু আজ মামলার শুনানি হয়নি এবং কোন আসামিই উপস্থিত ছিল না। খন্দকার মাহবুব হোসেন আরও বলেন, এই আদেশ যেটাকে আমরা মনে করি- বেআইনি আদেশ। শুনানিতে এজে মোহাম্মদ আলী বারবার বলেছেন- এটা বেআইনি আদেশ। এই আদেশের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ও নৈতিকভাবে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। এই আদেশ সঠিক হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করব। কিন্তু আদালত সেটাও নাকচ করে দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রাখলেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্বাস- এই আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পাব না। সেটা আবার প্রমাণ হয়েছে। দেশের এই বর্তমান অবস্থায় তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী অবরুদ্ধ ও আটক অবস্থায় আছেন। তার রাজনৈতিক কার্যালয়ের চতুর্দিকে দলীয় সরকারের বিভিন্ন সংগঠন ঘেরাও করে রেখে তার জীবনের উপর হুমকি দিচ্ছে। এই অবস্থায় তার পক্ষে আদালতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব নয়। এটা বিবেচনা যোগ্য। এটা বিবেচনা করে আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তাও নাকচ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আইনগতভাবে যত রকম পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব সেটা আমরা নেব। তবে আমরা বারবার বলেছি- এই মামলাটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা। এখানে কোন অর্থ আত্মসাৎ হয়নি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এই মামলাটি করা হয়েছে এবং এটা রাজনৈতিকভাবেই ফায়সালা তারা করবে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করাটা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি হয়েছে বলে আমি মনে করি।
দুর্নীতি দমন কমিশন ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি করে। ২০১১ সালের ৮ই আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি করা হয়। গতবছর ১৯শে মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলা দুটির বিচার শুরু হয়।
No comments