হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে পায়ে শিকল
(ছেলে আল–আমিনের পায়ে শিকল পরিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখেছেন মা ছালেহা বেগম l প্রথম আলো) স্বামী
অনেক আগেই ছেড়ে গেছেন ছালেহা বেগমকে (৫০)। তখন থেকেই তিন ছেলে আর এক
মেয়েকে নিয়ে সংগ্রাম করছেন তিনি। মেজো ছেলে আল-আমিন (২৫) বাকপ্রতিবন্ধী।
ছালেহা বেগম বাধ্য হয়ে তাই কাজ করার সময় ছেলেকে শিকল পরিয়ে গাছের সঙ্গে
বেঁধে রাখেন। কাজ শেষে শিকল খুলে নিয়ে যান বাড়িতে।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে একটি ঝুপড়িঘরে বাস করেন ছালেহা। মেয়ে ও বড় ছেলে বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। ছোট ছেলে ঢাকায় দিনমজুরি করেন। বর্তমানে বাকপ্রতিবন্ধী আল-আমিনকে নিয়েই তাঁর সংসার। গতকাল বুধবার সকালে পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ সড়কের দুর্গাপুর এলাকায় পটুয়াখালী যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে গিয়ে দেখা যায়, আল-আমিনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা যায়, প্রতিদিনই আধা কিলোমিটার পথ হেঁটে আসেন তাঁরা। সকালে এসে গাছের সঙ্গে এভাবেই তাঁকে বেঁধে রাখেন তাঁর মা। ওই এলাকার আবুল কাসেম জানান, ‘ছেলে ছাড়া থাকলে কোথাও চলে যায়। ওর মা কান্নাকাটি করে। খুঁজতে বের হয়। তাই এভাবে বেঁধে রাখে, যাতে কোথাও যেতে না পারে।’
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাবুর্চির সহযোগী ছালেহা বেগম জানান, ছেলে কথা বলতে পারেন না। কিছু বোঝেনও না। তাঁকে না দেখলে পাগলের মতো আচরণ করেন। এক সপ্তাহ আগে শিকল খোলা পেয়ে চলে গিয়েছিলেন আল-আমিন। দুই দিন পর সদর হাসপাতালের সামনে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়।
বাবুর্চির সহযোগী হিসেবে কাজ করে মাসে ১ হাজার ২০০ টাকা পান তিনি। তা ছাড়া এখান থেকে যে খাবার পান তা দিয়ে মা ও ছেলের চলে যায়। প্রতিদিন সকালে শিকল দিয়ে বেঁধে চলে যান কাজে, বেলা তিনটার দিকে কাজ শেষ হলে আবার ছেলেকে নিয়ে ফিরে যান।
ছালেহা বেগম জানেন না তাঁর ছেলের নাম প্রতিবন্ধীর তালিকায় উঠেছে কি না। তিনি মনে করেন, অন্তত কেউ যদি প্রতিবন্ধী ছেলের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতেন, তাহলে তাঁরা উপকৃত হতেন।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে একটি ঝুপড়িঘরে বাস করেন ছালেহা। মেয়ে ও বড় ছেলে বিয়ে করে অন্যত্র থাকেন। ছোট ছেলে ঢাকায় দিনমজুরি করেন। বর্তমানে বাকপ্রতিবন্ধী আল-আমিনকে নিয়েই তাঁর সংসার। গতকাল বুধবার সকালে পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ সড়কের দুর্গাপুর এলাকায় পটুয়াখালী যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে গিয়ে দেখা যায়, আল-আমিনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে জানা যায়, প্রতিদিনই আধা কিলোমিটার পথ হেঁটে আসেন তাঁরা। সকালে এসে গাছের সঙ্গে এভাবেই তাঁকে বেঁধে রাখেন তাঁর মা। ওই এলাকার আবুল কাসেম জানান, ‘ছেলে ছাড়া থাকলে কোথাও চলে যায়। ওর মা কান্নাকাটি করে। খুঁজতে বের হয়। তাই এভাবে বেঁধে রাখে, যাতে কোথাও যেতে না পারে।’
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাবুর্চির সহযোগী ছালেহা বেগম জানান, ছেলে কথা বলতে পারেন না। কিছু বোঝেনও না। তাঁকে না দেখলে পাগলের মতো আচরণ করেন। এক সপ্তাহ আগে শিকল খোলা পেয়ে চলে গিয়েছিলেন আল-আমিন। দুই দিন পর সদর হাসপাতালের সামনে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়।
বাবুর্চির সহযোগী হিসেবে কাজ করে মাসে ১ হাজার ২০০ টাকা পান তিনি। তা ছাড়া এখান থেকে যে খাবার পান তা দিয়ে মা ও ছেলের চলে যায়। প্রতিদিন সকালে শিকল দিয়ে বেঁধে চলে যান কাজে, বেলা তিনটার দিকে কাজ শেষ হলে আবার ছেলেকে নিয়ে ফিরে যান।
ছালেহা বেগম জানেন না তাঁর ছেলের নাম প্রতিবন্ধীর তালিকায় উঠেছে কি না। তিনি মনে করেন, অন্তত কেউ যদি প্রতিবন্ধী ছেলের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতেন, তাহলে তাঁরা উপকৃত হতেন।
No comments