‘বিশ্ব ইতিহাসের দ্বিতীয় হাত’ by সৈয়দ আবুল মকসুদ
একুশ শতকে সংবাদমাধ্যম জনজীবনে যে ভূমিকা
পালন করছে, দেড় শ বা দু শ বছর আগের মানুষ তা কল্পনাও করতে পারতেন না।
বাংলাদেশে তো নয়ই, পশ্চিমা দেশগুলোতেও নয়। তাই নেপোলিয়নের উক্তিটি
অতিশয়োক্তি বলে গণ্য করা হয় না। তাঁর ভাষায় সংবাদপত্র ‘রাষ্ট্রের পঞ্চম
প্রধান স্তম্ভ’। জার্মানির এনলাইটেনমেন্ট বা জ্ঞানবিভাসিত যুগের অন্যতম
আলোকবর্তিকা দার্শনিক আর্থার শোপেনহাওয়ার (১৭৮৮-১৮৬০) বলেছেন, সংবাদপত্র
হলো ‘বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতর হাত’ সেকেন্ড হ্যান্ড অব ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি।
অর্থাৎ একটি হাত নিয়ে যেমন একজন মানুষ অসম্পূর্ণ, তেমনি পৃথিবীর পূর্ণাঙ্গ
ইতিহাস রচনার জন্য প্রতিদিনের ইতিহাস বা সংবাদপত্রের সাহায্য না নিলে তা
হবে অসম্পূর্ণ। পৌনে দু শ বছর আগে তিনি বলেছেন, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে
যিনি পেশা হিসেবে বেছে নেবেন, তাঁর কাজ সদ্য-অতীতের দৈনন্দিন ধারার সঙ্গে
যুক্ত থাকা; কারণ তাঁর রচিত প্রতিদিনের ইতিহাসের উপাদান ভবিষ্যতের ইতিহাসের
গতিধারাকে প্রভাবিত করবে। এই ভূমিকা তিনি পালন করেন তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক
ওজন (ইনটেলেকচুয়াল ওয়েট) ও অন্তরস্থ স্বাধীন সত্তা দ্বারা। সুতরাং একটি
উন্নতমানের সংবাদপত্র প্রকাশ ও সম্পাদনা করা চাট্টিখানি ব্যাপার নয়,
যার-তার কাজও নয়।
সাংবাদিকতায় পাঠ বা প্রশিক্ষণ নিতে সত্তরের দশকে গিয়েছিলাম জার্মানির বার্লিনে। আমাদের শিক্ষকদের মধ্যে জার্মান ছাড়া কেউ কেউ এসেছিলেন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। যুক্তরাজ্য থেকে আসা একজন অধ্যাপক অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে একজন সম্পাদক ও সাংবাদিকের ভূমিকা, তাঁর নৈতিক দায়িত্ব, তাঁর বিপদ প্রভৃতি নিয়েও বলতেন। পশ্চিমের সংবাদপত্রজগৎ ও সাংবাদিক সমিতি প্রভৃতির কিছু দলিলপত্র ফটোকপি করে তিনি আমাদের দিয়েছিলেন। ১৯৫৪-তে ফরাসি দেশের বর্দো নগরে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ফেডারেশনের দ্বিতীয় কংগ্রেস। ভারত ও পাকিস্তানের সাংবাদিক নেতারাও তাতে যোগ দেন। সেই কংগ্রেসের ঘোষণাপত্রের একটি বাক্যের প্রতি তিনি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন: ‘সাংবাদিকদের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য হলো সত্যকে সম্মান প্রদর্শন (টু রেসপেক্ট দ্য ট্রুথ) ও সত্য অবগত হওয়ার জনগণের অধিকারকে (দ্য রাইট অব দ্য পাবলিক) শ্রদ্ধার সঙ্গে বিবেচনায় রাখা।’
সেটি ছিল দুই পরাশক্তির শীতল যুদ্ধের কাল। সংবাদপত্রের নীতির প্রশ্নে দুই শিবিরের দুই রকম মত। পশ্চিমের তথাকথিত উদার গণতান্ত্রিক দেশের এক মত, কমিউনিস্ট পার্টিশাসিত সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর আরেক মত। সমাজতান্ত্রিক দেশের নেতারা লেনিনের বাক্য ধর্মীয় শ্লোকের মতো বিশ্বাস করতেন। সংবাদপত্র সম্পর্কে লেনিন বলেছিলেন, সংবাদপত্র শুধু যৌথ তথ্য প্রচারক এবং যৌথ আন্দোলনের সংগঠন নয়, সংবাদপত্র যৌথ সংগঠকও বটে। জনগণের পক্ষে সংবাদপত্র যদি তার সঠিক দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে প্রতিদিন কিছু তথ্য প্রচার করে মানুষের কোনো লাভ হয় না। কিন্তু লেনিনের অনুসারী কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা সংবাদপত্রকে শুধু তাঁদের সরকারের, লেনিনের ভাষায়, প্রপাগান্ডিস্ট করে রাখেন। জনগণের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের সব পথ বন্ধ করে সংবাদপত্রের ভূমিকাকে খর্ব করেন। সত্যকে সম্মান জানানোর প্রয়োজন তাঁরা বোধ করেননি, বরং জনগণকে সত্য জানার অধিকার থেকে রেখেছেন বঞ্চিত। তা করে তাঁরা সমাজতন্ত্রেরই সর্বনাশ ডেকে আনেন। জনগণের মুক্তি ও ব্যক্তির স্বাধীন বিকাশের পথ বন্ধ করে দেন।
আমাদের অর্থাৎ বাংলা ভাষাভাষী মানুষের অহংকারের কথা এই যে, প্রায় দু শ বছর আগে ১৮২১ সালে প্রকাশিত সম্বাদ-কৌমুদী থেকে আজ পর্যন্ত মূলধারার বাংলা সংবাদপত্র জনগণের পক্ষেই কাজ করেছে। সত্য প্রকাশে যথাসাধ্য ভূমিকা পালনে সাংবাদিকেরা সাহসের পরিচয় দিয়ে আসছেন। বহু সম্পাদক কঠিন ঝুঁকি নিতেও দ্বিধা করেননি। ব্যক্তিগত বিপদ পর্যন্ত ডেকে এনেছেন অনেকে। বলা বাহুল্য, মুক্ত সমাজব্যবস্থায় প্রতিক্রিয়াশীল ও ক্ষমতাবানদের পদলেহনকারী সংবাদপত্রও থাকে। একশ্রেণির পাঠককে তারা বিভ্রান্ত করে। তবে ইতিহাসে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না।
সংবাদপত্র সময়ের সঙ্গে চলে। তাই একেক কালে একেক রকম ভূমিকা পালন করে। বাংলা ভাষার মূলধারার সংবাদপত্র শুরু থেকেই প্রতিক্রিয়াশীলতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে কাজ করছে। সম্বাদ-কৌমুদীও তা করেছে এবং রামমোহন রায় ও তাঁর সহযোগীরা প্রতিক্রিয়াশীল ও রক্ষণশীলদের গালাগাল শুনেছেন। একপর্যায়ে সইতে না পেরে পত্রিকাই বন্ধ করে দেন। ১৯৪৭ পর্যন্ত বাংলা সংবাদপত্র ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে এবং জাতীয়তাবাদী চেতনা প্রচারে কাজ করেছে। ’৪৭-এর পর থেকে ’৭১ পর্যন্ত পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লিখেছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশে সংবাদপত্রের ভূমিকা বিরাট। একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সংবাদপত্রের ভূমিকা ইতিহাসে খুব বড় করে লেখা থাকবে। স্বাধীনতার পর গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সংবাদপত্রকে সংগ্রাম করতে হয়। সামরিক শাসনের মধ্যে প্রথম কিছু সময় সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ থাকলেও একপর্যায়ে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে সংবাদপত্র গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় স্মরণীয় ভূমিকা রাখে। সংবাদপত্রের সহযোগিতা ছাড়া আশির দশকের সামরিক স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলন সফল হতে আরও দেরি হতো। রাজনীতিবিদদের যে গোত্রই যখন আপসের পথ ধরেছে, পত্রিকা তখনই তার বিরোধিতা করেছে। নব্বইয়ে সামরিক একনায়কের পতন হলো, নির্বাচিত সরকার গঠিত হলো, কিন্তু গণতন্ত্র বলতে যা বোঝায় তা এল না। সংবাদপত্রও বসে রইল না।
সংবাদপত্র নিয়ে এসব কথা বলছি এ জন্য যে আজ ষোলো পূর্ণ করে প্রথম আলো সতেরোতে পড়ল। একটি কাগজের জীবনে ষোলো বছর কম সময় নয়। বহু পত্রিকা এত দিন টেকেই না। এই ষোলো বছরেও অনেক দৈনিক বেরিয়েছে ও বন্ধ হয়ে গেছে। পনেরো বছরের বেশি সময় ধরে আমি প্রথম আলোতে লিখছি। তার বাইরে এই পত্রিকার আমি একজন—কোটি পাঠকের একজন পাঠকও বটে। পাঠক হিসেবে পর্যবেক্ষকও বটে।
প্রথম আলোর প্রণীত সম্পাদকীয় নীতি কী, তা বাইরের একজন লোক হিসেবে আমার জানার কথা নয়। কিন্তু একজন পাঠক হিসেবে এর প্রবণতা বা ঝোঁক কোন কোন বিষয়ে, তা বোঝা কঠিন নয়। মুক্তিযুদ্ধের জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক চেতনা অনির্বাণ রাখার প্রশ্নে অবিচল। একাত্তরের ঘাতক-দালালদের প্রশ্নে কঠোর। খবরে ও নিবন্ধে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা সাবলীলভাবে প্রকাশ পায়। নানা রকম সামাজিক অপশক্তির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান। সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় মৌলবাদ, নারী নির্যাতন, মাদক, দুর্নীতি প্রভৃতির প্রশ্নে আপসহীন। পরিবেশ রক্ষায় পরিবেশকর্মীদের পাশে সক্রিয়ভাবে থাকছে। তরুণদের যেকোনো সৃষ্টিশীল উদ্যোগে অবিচল উৎসাহদাতা প্রথম আলো। শুধু বিষয়বস্তুর কারণে নয়, সুসম্পাদিত ও রুচিশীল বলে ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে প্রথম আলো। আমাদের সমাজে কর্তব্যের অবহেলার সংস্কৃতিতে প্রথম আলোর সম্পাদকীয় বিভাগ, প্রশাসন ও অন্যান্য বিভাগের কর্মীদের যে সমন্বয়ী উদ্যম, তা সবার কাছেই স্বীকৃত। সেই স্বীকৃতির প্রমাণ সম্পাদকের আন্তর্জাতিক ম্যাগসাইসাই পুরস্কারে ভূষিত হওয়া।
এ তো গেল এক দিক। অন্য দিকও আছে। যে সময়টিতে প্রথম আলো আত্মপ্রকাশ করে, তা দেশের রাজনীতির ইতিহাসের এক দুঃসময়। অপশাসনে অতিষ্ঠ দেশবাসী। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। দুর্নীতির সঙ্গে দলীয়করণ। রাজনৈতিক হানাহানি ও রক্তপাত অতীতের যেকোনো সময়কে ছাড়িয়ে যায়। সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে বৈরিতা সংসদীয় গণতন্ত্রকে করে কলুষিত। এসবের বিরুদ্ধে প্রথম দিন থেকেই প্রথম আলো আপসহীন অবস্থান নেয়। ফলে অবিলম্বে সরকারের বিরাগভাজন হতে হয় সম্পাদককে। এরপর এল বিএনপি-জামায়াতের চারদলীয় জোটের সরকার। সেই সরকার সুশাসন দেওয়া তো দূরের কথা, দেশকে একটি সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী রাষ্ট্রে পর্যবসিত করার পথ করে দেয়। ইসলামি জঙ্গিবাদীরা পায় সরকারের প্রশ্রয়। আগের সরকারের দুর্নীতির সঙ্গে প্রতিযোগিতা দিয়ে যোগ হয় নতুন মাত্রা। এসবের বিরুদ্ধে প্রথম আলো বলিষ্ঠ ভূমিকা নেয়। তখন বিরোধী দল খুশি হলেও সরকার ক্ষুব্ধ হয়। চারদলীয় জোট ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার যে স্থূল কৌশল গ্রহণ করে, তার বিরুদ্ধে নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের আন্দোলনকে ব্যাপক প্রচার দেয় প্রথম আলো। সেই আন্দোলন সফল না হলে, ভুয়া ভোটার তালিকা বাতিল না হলে, ২০০৮-এ নির্বাচন না হলে, ১৪-দলীয় জোটের সরকার গঠন সম্ভব হতো না। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ওই সময় প্রথম আলো যে ভূমিকা রেখেছে, তা এই কাগজের ঘোরতর শত্রুও অস্বীকার করতে পারবে না। কিন্তু নির্বাচনের পরে পত্রিকা দুর্নীতি, অনাচার ও অপশাসনের বিরুদ্ধে নীরবতা অবলম্বন করেনি। তার ফলে সরকারের বিরাগভাজনে পরিণত হয়। মন্ত্রী ও সাংসদদের কেউ কেউ প্রকাশ্য জনসভা ও সংসদ থেকেও নিন্দা করতে সংকোচ করেননি। এ প্রসঙ্গে একটি অমার্জিত গ্রাম্য প্রবাদ মনে পড়ে: ‘গাঙ পার অইলে মাঝি অয় হালা’ (নৌকায় নদী পার করে দেওয়ার পর মাঝি হয় শালা)।
একটি স্বাধীন সংবাদপত্রের প্রতিপক্ষ শুধু সরকার নয়, রাজনৈতিক শক্তিগুলোও নয়, সমাজে যত রকম অপশক্তি আছে—দুর্নীতিবাজ আমলা, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, ভূমিদস্যু, রাষ্ট্রের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ আত্মসাৎকারী প্রভৃতি একটি দৈনিকের প্রতিপক্ষ শুধু নয়, শক্তিশালী শত্রু। এখনো দেশে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করা যায়। কিন্তু এসব সমাজশত্রুর বিরদ্ধে লিখলে নানা রকম বিপদ। আর আছে মানহানির মামলা। আইনের মাধ্যমে একজন সম্পাদক ও তাঁর সহকর্মীদের নাজেহাল করার এর চেয়ে উত্তম উপায় পৃথিবীর কোনো দেশে নেই। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগেই শাস্তি। জরুরি কাজ ফেলে সম্পাদককে ছুটতে হয় প্রত্যন্ত মফস্বলে। আদালত প্রাঙ্গণের বটগাছের তলায় চা ও পাউরুটি-কলা খেয়ে মামলায় হাজিরা দিতে হয়। কিছুকাল আমি সম্পাদক ছিলাম। মানহানির উকিল নোটিশ নিয়ে এক মারাত্মক মানীর প্রতিনিধি আমার অফিসে এলেন। তাঁকে আমি সবিনয়ে বললাম, ফরিয়াদিকেই আগে প্রমাণ করতে হবে তিনি মানী ব্যক্তি; আমাদের প্রতিবেদক জেনেশুনেই লিখেছেন। বস্তুত এই লোকের মান বলে কিছু নেই, তাঁর আছে মানি—অনেক টাকা ও সম্পদ।
সংবাদপত্রের সম্পাদক ও তাঁর সহকর্মীদের সামনে দুটি বিকল্প: শাসকশ্রেণির সহযোগী হয়ে তাদের প্রীতিভাজন থাকা; অথবা জনগণ, রাষ্ট্র ও জাতির স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে প্রয়োজনে ক্ষমতার বিরাগভাজন হওয়ার ঝুঁকি নেওয়া। দ্বিতীয় বিকল্পটি সম্ভবত প্রথম আলোর পছন্দ।
তবে সব দোষ সরকারের নয়। জনগণকেও পক্ষ নিতে হবে, সাহসী ও প্রতিবাদী হতে হবে। শুধু পত্রিকার ঘাড়ে সব দায়িত্ব চাপিয়ে চুপ থাকা যাবে না। তাতে কপাল পোড়া কেউ ঠেকাতে পারবে না। শুরু করেছিলাম দার্শনিক শোপেনহাওয়ারকে দিয়ে। শেষ করতে চাই তাঁরই দেশের কুড়ি শতকের শ্রেষ্ঠ অস্তিত্ববাদী দার্শনিক কার্ল ইয়েসপার্সকে দিয়ে। তিনি বলেছেন: ‘বড় সাংবাদিকেরা সত্যনিষ্ঠার জন্ম দেন।’ তবে ইয়েসপার্সের আরেকটি কথাও তাৎপর্যপূর্ণ: ‘একটি জাতি যে ধরনের সাংবাদিকদের জন্ম দেয়, তার ভাগ্যটিও সে রকম হয়ে থাকে। সাংবাদিকেরা জাতির নিয়তির অনিবার্য প্রতিনিধি।’
প্রথম আলো শতায়ু হোক।
সৈয়দ আবুল মকসুদ: গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক৷
No comments