সূর্যের পরিবর্তন জানতে পাঁচ মিনিটের অভিযান!
সূর্যের ছবি তুলতে যন্ত্রপাতি বহনকারী
একটি রকেট উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার
রকেকটি মাত্র পাঁচ মিনিট সময়ের মধ্যে সূর্যের একটি নির্দিষ্ট অংশের দেড়
হাজার ছবি তুলবে। অর্থাৎ সেকেন্ডে তুলবে পাঁচটি ছবি। গবেষকেরা আশা করছেন,
এর মাধ্যমে সূর্যের সাম্প্রতিক পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর লাস ক্রুসেসের কাছের হোয়াইট স্যান্ড মিসাইল
রেঞ্জ থেকে স্থানীয় সময় সোমবার বেলা দু্ইটা সাত মিনিটে রকেটটি উৎক্ষেপণ
হওয়ার কথা। র্যাপিড অ্যাকুইজিশন ইমেজিং স্পেকটোগ্রাফ এক্সপেরিমেন্ট
(আরএআইএসই) নামক পরীক্ষার অধীনে এ রকেট উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে।
>>নাসার একটি পরিচ্ছন্নতা কক্ষে আরএআইএসই–এর রকেট। সূর্যের নির্দিষ্ট অংশের ছবি তোলার জন্য এটি উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে l ছবি: নাসা
গবেষকেরা
জানিয়েছেন, সম্প্রতি সূর্য বেশ সক্রিয়। গত কয়েক সপ্তাহে কয়েকবার বড়
অকৃতির সৌর ঝলক দেখা গেছে। গবেষকেরা আরএআইএসইয়ের রকেটের যন্ত্রপাতি
এমনভাবে স্থাপন করছেন যেন সূর্যের এমন একটি অংশের ছবি তুলতে পারে। পরে ওই
সব ছবি থেকে সূর্যের এ অঞ্চলের দ্রুত পরিবর্তনের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা
হবে এবং সৌর ঝলকের কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।
আরএআইএসইয়ের রকেট উড়বে মাত্র ১৫ মিনিট। এ কারণে সূর্যের ছবি তোলার সময় পাবে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট। তবে এতেই গবেষকেরা পৃথিবী থেকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে তোলা সম্ভব নয় সূর্যের এমন ছবি তোলা যাবে বলে আশা করছেন।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর সাউথওয়েস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সূর্যবিষয়ক গবেষক ডন হাসলার বলেন, এমনকি পাঁচ মিনিটের এক অভিযানেও বিজ্ঞানের উপযুক্ত স্থানের ওপর মনোযোগ দেওয়া সম্ভব। সূর্যের কিছু অঞ্চল যথাসম্ভব গুরুত্বের সঙ্গে পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
আরএআইএসইয়ের রকেট উড়বে মাত্র ১৫ মিনিট। এ কারণে সূর্যের ছবি তোলার সময় পাবে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট। তবে এতেই গবেষকেরা পৃথিবী থেকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে তোলা সম্ভব নয় সূর্যের এমন ছবি তোলা যাবে বলে আশা করছেন।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর সাউথওয়েস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সূর্যবিষয়ক গবেষক ডন হাসলার বলেন, এমনকি পাঁচ মিনিটের এক অভিযানেও বিজ্ঞানের উপযুক্ত স্থানের ওপর মনোযোগ দেওয়া সম্ভব। সূর্যের কিছু অঞ্চল যথাসম্ভব গুরুত্বের সঙ্গে পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
>>গোল চিহ্নিত অংশের ছবি তোলা হবে l নাসা
সৌর
ঝলক দেখা যায় এমন অংশটি অত্যন্ত ঘন ও জটিল চৌম্বকীয় ক্ষেত্রসমৃদ্ধ। এখান
থেকেই সৃষ্টি হতে পারে সূর্যের বড় কোনো অগ্ন্যুৎপাত। ফলে সূর্য থেকে
শক্তি ও কণা চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে। গবেষকেরা জানান, আরএআইএসইয়ের রকেটের
মাধ্যমে তোলা ছবি সূর্য থেকে আসা বিভিন্ন রঙের আলোক তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের
ভিত্তিতে পৃথক করা হবে। বিভিন্ন মাত্রার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বস্তুর তাপমাত্রার
পরিবর্তন ও গতির কারণে দেখা যায়। এ ছাড়া এক তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোর তারতম্য
থেকে কোনো বস্তু কীভাবে সূর্যের মধ্যে উত্তপ্ত হয় এবং চলাফেরা করে এ
সম্পর্কে জানা যাবে। সূত্র: নাসা।
No comments