অপহরণ নাটক সাজিয়ে বাবার কাছে মুক্তিপণ দাবি
নিজে অপহৃত হওয়ার নাটক সাজিয়ে বাবার কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নিতে গিয়ে পুলিশের হাতে কয়েক বন্ধুসহ ধরা পড়েছে এক কিশোর। ফরিদপুরের বাসিন্দা ওই কিশোরকে রাজবাড়ী থেকে আটক করা হয়। ওই কিশোরের বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায়। সে উপজেলার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। পাশাপাশি তিনি চালের ব্যবসা করেন।
পুলিশ ও ওই কিশোরের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে রাজবাড়ীর বসন্তপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে চলে যায় ওই কিশোর। সেখান থেকে এক বন্ধুকে দিয়ে সে তার বাবার মোবাইলে ফোন করায়। তার বন্ধু বলে, ‘আপনার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। আর তাকে জীবিত পেতে হলে দিতে হবে দুই লাখ টাকা।’ মোবাইল ফোন নম্বরটি ট্র্যাক করে পুলিশ গতকাল রাতেই ওই কিশোরকে উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, ফোন পাওয়ার পরপরই ওই কিশোরের বাবা বিষয়টি নগরকান্দা থানা পুলিশকে জানান। পুলিশ মোবাইল ট্র্যাক করে গতকাল রাত ১২টার দিকে রাজবাড়ীর সুলতানপুর ইউনিয়ন কার্যালয়-সংলগ্ন বাজার থেকে ওই কিশোরকে উদ্ধার করে। নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দত্ত প্রথম আলোকে বলেন, ওই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অপহরণের নাটকের বিষয়টি বের হয়ে আসে। পরে তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার অপর দুই সহযোগীকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে একজন একটি বেকারির কর্মচারী ও অপরজন ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র। ওই কিশোরের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে দুষ্টুমি করতে গিয়ে আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ করে ফেলেছে।’
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফসারউদ্দিন জানান, আটক করা তিনজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা না করে আজ বুধবার বিকেলে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আদালতের বিচারক ও নগরকান্দা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল আজিজ জানান, দোষী সাব্যস্ত করে তিনজনকেই ছয় সপ্তাহের বিনা শ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও এক সপ্তাহ বেশি কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
পুলিশ ও ওই কিশোরের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে রাজবাড়ীর বসন্তপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে চলে যায় ওই কিশোর। সেখান থেকে এক বন্ধুকে দিয়ে সে তার বাবার মোবাইলে ফোন করায়। তার বন্ধু বলে, ‘আপনার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে। আর তাকে জীবিত পেতে হলে দিতে হবে দুই লাখ টাকা।’ মোবাইল ফোন নম্বরটি ট্র্যাক করে পুলিশ গতকাল রাতেই ওই কিশোরকে উদ্ধার করে।
পুলিশ জানায়, ফোন পাওয়ার পরপরই ওই কিশোরের বাবা বিষয়টি নগরকান্দা থানা পুলিশকে জানান। পুলিশ মোবাইল ট্র্যাক করে গতকাল রাত ১২টার দিকে রাজবাড়ীর সুলতানপুর ইউনিয়ন কার্যালয়-সংলগ্ন বাজার থেকে ওই কিশোরকে উদ্ধার করে। নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দত্ত প্রথম আলোকে বলেন, ওই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অপহরণের নাটকের বিষয়টি বের হয়ে আসে। পরে তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার অপর দুই সহযোগীকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে একজন একটি বেকারির কর্মচারী ও অপরজন ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র। ওই কিশোরের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে দুষ্টুমি করতে গিয়ে আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ করে ফেলেছে।’
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফসারউদ্দিন জানান, আটক করা তিনজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা না করে আজ বুধবার বিকেলে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আদালতের বিচারক ও নগরকান্দা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল আজিজ জানান, দোষী সাব্যস্ত করে তিনজনকেই ছয় সপ্তাহের বিনা শ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও এক সপ্তাহ বেশি কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
No comments