জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হবে যেভাবে
জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামনকে ফাঁসি দিয়ে ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এখন তার ফাঁসি কার্যকরের পালা। তবে এই রায় কার্যকর ও রায়টি রিভিউয়ের (পুনর্মূল্যায়নের) আসামিপক্ষের আবেদন দায়ের নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। রায় কার্যকর হতে কতদিন লাগবে, জেল কোড অনুযায়ী প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা, সংবিধান অনুযায়ী রিভিউ আবেদন করার সুযোগ পাবে কিনা- এসব বিষয়ে পরস্পরবিরোধী মত এসেছে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। এর আগে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির আদেশ কার্যকর করার সময়ও এসব বিতর্ক উঠেছিল। তবে রায় কার্যকর হতে কতদিন লাগবে তা অনেকটাই নির্ভর করছে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশের ওপর।
সোমবার রায় ঘোষণার পর ফাঁসি কার্যকরের পরবর্তী প্রক্রিয়াটা কী হবে জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, এখন রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপিটি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে যাবে। পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা কিনা- এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সংক্ষিপ্ত আদেশেও হতে পারে। সেটি নির্ভর করবে আপিল বিভাগের ওপর। আমি সংক্ষিপ্ত আদেশটি চেয়েছি। আপিল বিভাগ বলেছেন, তারা বিষয়টি দেখবেন।
এর আগে কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত আদেশ নাকি পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পাঠানো হয়েছিল জানতে চাওয়া হলে মাহবুবে আলম বলেন, কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পাঠানো হয়েছিল। কামারুজ্জামনের ক্ষেত্রেও সেটাই হবে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটা এখন বলা যাবে না। রায় পাওয়ার পর বাস্তবায়ন পর্যন্ত মাঝের সময়টি জেল কর্তৃপক্ষ ও সরকারের বিষয় বলে মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম রিভিউ দায়ের প্রসঙ্গে বলেন, রিভিউ দায়েরের শর্ত হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি হাতে পেতে হবে। রায়ের কপি কবে পাওয়া যাবে তা সুপ্রিমকোর্টের ওপর নির্ভর করছে। রায়ের কপি পাওয়ার পর ৩০ দিন সময় পাব। এই ৩০ দিনের মধ্যেই রিভিউ আবেদন করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে যখনই আমরা রায়ের কপি পাব, তখনই রিভিউ আবেদন করব।
রিভিউ নিয়ে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য রয়েছে। কিন্তু সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ বলেছে, সংসদেও যে কোনো আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে এবং আপিল বিভাগ প্রণীত যে কোনো বিধি সাপেক্ষে আপিল বিভাগের কোনো ঘোষিত রায় বা প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা ওই বিভাগের থাকবে। এছাড়া সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ন্যায়বিচারের জন্য যেরূপ প্রয়োজন হইতে পারে, সেইরূপ আদেশ প্রদান এবং কমপ্লিট জাস্টিস নিশ্চিত করতে আপিল বিভাগের ব্যাপকভিত্তিক এখতিয়ার স্বীকৃত। পাশাপাশি বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক গতকালও গণমাধ্যমকে বলেছেন, রিভিউ আসামির সাংবিধানিক অধিকার। তাই এই অধিকার সবারই আছে ও থাকবে।
এর আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়। ৫ ডিসেম্বর তার মামলার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ের কপি প্রকাশের পর ৮ ডিসেম্বর সেটি ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এরপর ট্রাইব্যুনাল সেদিনেই কাদের মোল্লার মৃত্যুপরোয়ানা জারি করে আদেশটি ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায়।
রায়ের কপি হাতে পেয়েই তার ফাঁসি কার্যকর করার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। এক্ষেত্রে তখন জেল কোড অনুযায়ী রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ২১ দিনের আগে নয় ও ২৮ দিনের পরে নয় যে বিধান রয়েছে তা অনুসরণ না করেই ফাঁসি কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হয়। তখন বলা হয়েছিল, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের জন্য জেল কোডে প্রদত্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করতে আসামিপক্ষের উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে চেম্বার জজ ১০ ডিসেম্বরে ফাঁসির আদেশ স্থগিত করেছিলেন।
কাদেও মোল্লার পক্ষে দুটি রিভিউ আবেদন করা হয়েছিল। ১১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে পুনর্বিবেচনার আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে শুনানি হয়। ১২ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি কেবল ঘোষণা দেন যে, বোথ দ্য ক্রিমিনাল রিভিউ পিটিশনস আর ডিসমিসড। কিন্তু তাতে কী কারণে খারিজ হয়েছে তা স্পষ্ট হয়নি। রিভিউ আবেদনটি গ্রহণ করে খারিজ করেছেন নাকি রিভিউ গ্রহণের আগেই খারিজ হয়েছে সেটি স্পষ্ট করেনি আপিল বিভাগ। এমনকি সেই রায়টিও এখনও প্রকাশিত হয়নি। তাই রিভিউ করা যাবে কি যাবে না তা নিয়ে আইনি তর্কের মীমাংসা হয়নি। রিভিউ আবেদন খারিজের দিন রাতেই কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
এক্ষেত্রে জেল কোডের বিধান অনুসরণ করা হয়নি। এই মামলার ক্ষেত্রেও জেল কোডের বিধান অনুসরণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। বিষয়টি অনেকটা সরকারের ওপর নির্ভর করছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আসামিপক্ষ রিভিউয়ের আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। আর এই আবেদন দায়েরের জন্য আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপিটি প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
সোমবার রায় ঘোষণার পর ফাঁসি কার্যকরের পরবর্তী প্রক্রিয়াটা কী হবে জানতে চাইলে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, এখন রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপিটি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে যাবে। পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা কিনা- এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সংক্ষিপ্ত আদেশেও হতে পারে। সেটি নির্ভর করবে আপিল বিভাগের ওপর। আমি সংক্ষিপ্ত আদেশটি চেয়েছি। আপিল বিভাগ বলেছেন, তারা বিষয়টি দেখবেন।
এর আগে কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত আদেশ নাকি পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পাঠানো হয়েছিল জানতে চাওয়া হলে মাহবুবে আলম বলেন, কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পাঠানো হয়েছিল। কামারুজ্জামনের ক্ষেত্রেও সেটাই হবে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটা এখন বলা যাবে না। রায় পাওয়ার পর বাস্তবায়ন পর্যন্ত মাঝের সময়টি জেল কর্তৃপক্ষ ও সরকারের বিষয় বলে মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম রিভিউ দায়ের প্রসঙ্গে বলেন, রিভিউ দায়েরের শর্ত হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি হাতে পেতে হবে। রায়ের কপি কবে পাওয়া যাবে তা সুপ্রিমকোর্টের ওপর নির্ভর করছে। রায়ের কপি পাওয়ার পর ৩০ দিন সময় পাব। এই ৩০ দিনের মধ্যেই রিভিউ আবেদন করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে যখনই আমরা রায়ের কপি পাব, তখনই রিভিউ আবেদন করব।
রিভিউ নিয়ে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য রয়েছে। কিন্তু সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ বলেছে, সংসদেও যে কোনো আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে এবং আপিল বিভাগ প্রণীত যে কোনো বিধি সাপেক্ষে আপিল বিভাগের কোনো ঘোষিত রায় বা প্রদত্ত আদেশ পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা ওই বিভাগের থাকবে। এছাড়া সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ন্যায়বিচারের জন্য যেরূপ প্রয়োজন হইতে পারে, সেইরূপ আদেশ প্রদান এবং কমপ্লিট জাস্টিস নিশ্চিত করতে আপিল বিভাগের ব্যাপকভিত্তিক এখতিয়ার স্বীকৃত। পাশাপাশি বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক গতকালও গণমাধ্যমকে বলেছেন, রিভিউ আসামির সাংবিধানিক অধিকার। তাই এই অধিকার সবারই আছে ও থাকবে।
এর আগে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়। ৫ ডিসেম্বর তার মামলার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ের কপি প্রকাশের পর ৮ ডিসেম্বর সেটি ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এরপর ট্রাইব্যুনাল সেদিনেই কাদের মোল্লার মৃত্যুপরোয়ানা জারি করে আদেশটি ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায়।
রায়ের কপি হাতে পেয়েই তার ফাঁসি কার্যকর করার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। এক্ষেত্রে তখন জেল কোড অনুযায়ী রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ২১ দিনের আগে নয় ও ২৮ দিনের পরে নয় যে বিধান রয়েছে তা অনুসরণ না করেই ফাঁসি কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হয়। তখন বলা হয়েছিল, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের জন্য জেল কোডে প্রদত্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করতে আসামিপক্ষের উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে চেম্বার জজ ১০ ডিসেম্বরে ফাঁসির আদেশ স্থগিত করেছিলেন।
কাদেও মোল্লার পক্ষে দুটি রিভিউ আবেদন করা হয়েছিল। ১১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে পুনর্বিবেচনার আবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে শুনানি হয়। ১২ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি কেবল ঘোষণা দেন যে, বোথ দ্য ক্রিমিনাল রিভিউ পিটিশনস আর ডিসমিসড। কিন্তু তাতে কী কারণে খারিজ হয়েছে তা স্পষ্ট হয়নি। রিভিউ আবেদনটি গ্রহণ করে খারিজ করেছেন নাকি রিভিউ গ্রহণের আগেই খারিজ হয়েছে সেটি স্পষ্ট করেনি আপিল বিভাগ। এমনকি সেই রায়টিও এখনও প্রকাশিত হয়নি। তাই রিভিউ করা যাবে কি যাবে না তা নিয়ে আইনি তর্কের মীমাংসা হয়নি। রিভিউ আবেদন খারিজের দিন রাতেই কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
এক্ষেত্রে জেল কোডের বিধান অনুসরণ করা হয়নি। এই মামলার ক্ষেত্রেও জেল কোডের বিধান অনুসরণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। বিষয়টি অনেকটা সরকারের ওপর নির্ভর করছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আসামিপক্ষ রিভিউয়ের আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। আর এই আবেদন দায়েরের জন্য আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপিটি প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
No comments