মানবতাবিরোধী অপরাধের পলাতক ছয় আসামিকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ by রোজিনা ইসলাম
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ছয় আসামির অবস্থান চিহ্নিত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি দেওয়ার জন্য পুলিশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন মামলায় পলাতক আসামিদের সাজা কার্যকর কার্যক্রম মনিটরিং সেলের প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় পলাতক এসব আসামির মধ্যে যাঁরা বিদেশে নাগরিকত্ব পেয়েছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থানকারী ভুক্তভোগী পরিবার বা মানবতাবিরাধী বিচারের বিষয়ে সোচ্চার ব্যক্তিদের দিয়ে মামলা করানোর উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কেউ যাতে রাজনৈতিক আশ্রয় না পান, সে জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে।
পলাতক ওই ছয় আসামির মধ্যে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এঁদের মধ্যে বিচারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চৌধুরী মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে, আশরাফুজ্জামান খান ওরফে নায়েব আলী খান যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব গ্রহণ করে সেখানে আছেন। আর আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের সম্ভাব্য অবস্থান পাকিস্তানে।
এ ছাড়া মানবতাবিরোধী পৃথক মামলার তদন্তে অভিযুক্ত ও বিচারাধীন মামলার আসামি এম এ জাহিদ হোসেন ওরফে খোকন রাজাকার বর্তমানে সুইডেনে আছেন। তিনি যাতে ওই দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করতে না পারেন, সে জন্য সুইডেনে বাংলাদেশ দূতাবাসকে উদ্যোগী হতে এবং সুইডেনের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি রয়েছে কি না, সে বিষয়ে খোজঁ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছে মনিটরিং সেল।
অভিযুক্ত অপর দুই আসামি আবদুল জব্বর ইঞ্জিনিয়ার ও সৈয়দ মো. হাসান ওরফে হাসান আলীর অবস্থান সম্পর্কে সরকার নিশ্চিত হতে পারেনি। তাঁদের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে মনিটরিং সেলের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত রোববার সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এসব আসামিকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আশা রাখি সফল হব।’
সভায় পলাতক এসব আসামির মধ্যে যাঁরা বিদেশে নাগরিকত্ব পেয়েছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থানকারী ভুক্তভোগী পরিবার বা মানবতাবিরাধী বিচারের বিষয়ে সোচ্চার ব্যক্তিদের দিয়ে মামলা করানোর উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া কেউ যাতে রাজনৈতিক আশ্রয় না পান, সে জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে।
পলাতক ওই ছয় আসামির মধ্যে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এঁদের মধ্যে বিচারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চৌধুরী মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে, আশরাফুজ্জামান খান ওরফে নায়েব আলী খান যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব গ্রহণ করে সেখানে আছেন। আর আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের সম্ভাব্য অবস্থান পাকিস্তানে।
এ ছাড়া মানবতাবিরোধী পৃথক মামলার তদন্তে অভিযুক্ত ও বিচারাধীন মামলার আসামি এম এ জাহিদ হোসেন ওরফে খোকন রাজাকার বর্তমানে সুইডেনে আছেন। তিনি যাতে ওই দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করতে না পারেন, সে জন্য সুইডেনে বাংলাদেশ দূতাবাসকে উদ্যোগী হতে এবং সুইডেনের সঙ্গে বন্দিবিনিময় চুক্তি রয়েছে কি না, সে বিষয়ে খোজঁ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলেছে মনিটরিং সেল।
অভিযুক্ত অপর দুই আসামি আবদুল জব্বর ইঞ্জিনিয়ার ও সৈয়দ মো. হাসান ওরফে হাসান আলীর অবস্থান সম্পর্কে সরকার নিশ্চিত হতে পারেনি। তাঁদের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে মনিটরিং সেলের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত রোববার সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এসব আসামিকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আশা রাখি সফল হব।’
No comments