বখাটে তাড়াতে ওসির উদ্যোগ- নিরাপদে পথ চলবে মতলবের মেয়েরা by মুহাম্মদ জাকির হোসেন
পাড়ার মোড়ে মোড়ে, টং দোকানের সামনে বা স্কুল-কলেজের ফটকঘেঁষে দাঁড়ায় না ওরা আর। স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে পেছন থেকে মেয়েদের দেখে শিস বাজায় না উঠতি বয়সী বখাটের দল। তাদের জায়গায় কিছু তরুণকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সকাল, দুপুর কী সন্ধ্যা, সাদামাটা পোশাকে তরুণেরা আছেন। স্কুল-কলেজগামী মেয়েরা তাঁদের দেখে আশ্বস্ত হয়, নিশ্চিন্তে পথ চলে।
এঁরা আর কেউ নন, মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশ সদস্য। বখাটে তাড়াতে বিশেষ এই উদ্যোগ নিয়েছেন চাঁদপুরের ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন। তাঁর এই উদ্যোগের ফলে গত দুই মাসে প্রায় ৪০ বখাটে ধরা পড়েছে। দু-চারজন বাদে সবারই জেল-জরিমানা হয়েছে। সবকিছু দেখেশুনে শিক্ষক ও অভিভাবকেরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন এখন। থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা দুইটা এবং সন্ধ্যা থেকে এই অভিযান চলে। ওসির নির্দেশে উপজেলা সদরের মতলব ডিগ্রি কলেজ, রয়মনেন নেছা মহিলা কলেজ, মতলব বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কচিকাঁচা বিদ্যালয়, নিউ হোস্টেল, সিঙ্গাপুর প্লাজাসহ আরও কয়েকটি এলাকায় বখাটেদের ধরতে সতর্ক থাকেন পুলিশ সদস্যরা। বিভিন্ন স্থানে চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য ও পুলিশের সোর্স একসঙ্গে কাজে নামেন।
সালমা আক্তার নামে এক কলেজছাত্রী বলে, ‘ওসি সাহেবের এ ধরনের অভিযান প্রশংসনীয়। এতে বখাটেদের আনাগোনা কিছুটা হলেও কমবে। আমরাও নিরাপদে আসা-যাওয়া করতে পারব।’ উপজেলা সদরের মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, ‘ওসি সাহেবকে সকালে-দুপুরে স্কুলের সামনে দেখে আশ্বস্ত লাগে। এতে স্কুল এলাকায় বখাটেদের আনাগোনা অনেক কমে গেছে।’
ওসি কবির হোসেন বলেন, ‘ক্লাস শেষে যাতে মেয়েরা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সে জন্যই এই ব্যবস্থা নিয়েছি। পাশাপাশি সকাল-সন্ধ্যা পুলিশের টহলও চলছে।’ কবির হোসেন সম্পর্কে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার আমির জাফরের মন্তব্য, ব্যক্তি হিসেবে তিনি ইতিবাচক মানসিকতার মানুষ। তিনি বলেন, ‘তাঁর এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। তাঁর অভিযানের প্রতি আমার সমর্থন রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, কবির হোসেন ১৯ বছর বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করছেন। ২০১১ সালে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আফ্রিকার কঙ্গোতে যান এবং সেখানে তিন বছর সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে শান্তিরক্ষা মিশন পদক লাভ করেন। শান্তি মিশনে দায়িত্ব পালন শেষে তিনি কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানায় যোগ নেন। সেখান থেকে প্রায় তিন মাস আগে তিনি মতলব দক্ষিণ থানায় আসেন।
এঁরা আর কেউ নন, মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশ সদস্য। বখাটে তাড়াতে বিশেষ এই উদ্যোগ নিয়েছেন চাঁদপুরের ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন। তাঁর এই উদ্যোগের ফলে গত দুই মাসে প্রায় ৪০ বখাটে ধরা পড়েছে। দু-চারজন বাদে সবারই জেল-জরিমানা হয়েছে। সবকিছু দেখেশুনে শিক্ষক ও অভিভাবকেরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন এখন। থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা দুইটা এবং সন্ধ্যা থেকে এই অভিযান চলে। ওসির নির্দেশে উপজেলা সদরের মতলব ডিগ্রি কলেজ, রয়মনেন নেছা মহিলা কলেজ, মতলব বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কচিকাঁচা বিদ্যালয়, নিউ হোস্টেল, সিঙ্গাপুর প্লাজাসহ আরও কয়েকটি এলাকায় বখাটেদের ধরতে সতর্ক থাকেন পুলিশ সদস্যরা। বিভিন্ন স্থানে চার-পাঁচজন পুলিশ সদস্য ও পুলিশের সোর্স একসঙ্গে কাজে নামেন।
সালমা আক্তার নামে এক কলেজছাত্রী বলে, ‘ওসি সাহেবের এ ধরনের অভিযান প্রশংসনীয়। এতে বখাটেদের আনাগোনা কিছুটা হলেও কমবে। আমরাও নিরাপদে আসা-যাওয়া করতে পারব।’ উপজেলা সদরের মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, ‘ওসি সাহেবকে সকালে-দুপুরে স্কুলের সামনে দেখে আশ্বস্ত লাগে। এতে স্কুল এলাকায় বখাটেদের আনাগোনা অনেক কমে গেছে।’
ওসি কবির হোসেন বলেন, ‘ক্লাস শেষে যাতে মেয়েরা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সে জন্যই এই ব্যবস্থা নিয়েছি। পাশাপাশি সকাল-সন্ধ্যা পুলিশের টহলও চলছে।’ কবির হোসেন সম্পর্কে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার আমির জাফরের মন্তব্য, ব্যক্তি হিসেবে তিনি ইতিবাচক মানসিকতার মানুষ। তিনি বলেন, ‘তাঁর এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। তাঁর অভিযানের প্রতি আমার সমর্থন রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, কবির হোসেন ১৯ বছর বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করছেন। ২০১১ সালে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আফ্রিকার কঙ্গোতে যান এবং সেখানে তিন বছর সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে শান্তিরক্ষা মিশন পদক লাভ করেন। শান্তি মিশনে দায়িত্ব পালন শেষে তিনি কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানায় যোগ নেন। সেখান থেকে প্রায় তিন মাস আগে তিনি মতলব দক্ষিণ থানায় আসেন।
No comments