সংঘাতের রাজনীতিকে দিন স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ ধোলাই- এখনই উপযুক্ত সময়
অনেক আগে ঢাকায় ধোলাই খাল নামে একটা খাল
ছিল। আজ সেই খাল নেই, কিন্তু ধোলাই আছে। এখনো বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে
সাইনবোর্ডে লেখা থাকে, ‘এখানে জামাকাপড় ধোলাই করা হয়’।
শুধু
অলিগলি নয়, এখন আমাদের স্টেডিয়ামগুলোতেও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ধোলাই করা
হয়ে থাকে। এই তো কদিন আগে বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ডকে ওয়ানডে সিরিজে
ধবলধোলাই করল। সহজ বাংলায় যাকে বলে বাংলাধোলাই। শক্তিশালী একটা দলকে
দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাধোলাই দিতে পেরে দেশের মানুষ দারুণ আনন্দিত।
কিন্তু এক জাতি আছে, যে জাতির নাম রাজনীতিবিদ জাতি। এই জাতি মানুষের আনন্দ সহ্য করতে পারে বলে মনে হয় না। তাই বাংলাধোলাইয়ের আনন্দ শেষ হওয়ার আগেই তারা একের পর এক হরতাল ডেলিভারি দিতে থাকল। সম্ভবত রুবেল হোসেনের হ্যাটট্রিক তাদের দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। তা না হলে তারা কেন বারবার টানা তিন দিনের হরতাল দেবে?
বাংলাদেশ দল যেমন নিউজিল্যান্ডকে ধোলাই উপহার দিয়েছে, তেমনি পরীক্ষার মধ্যে হরতাল দিয়ে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল উপায়ে ধোলাই উপহার দিয়েছে ১৮-দল। বিশেষ করে জেএসসি, জেডিসি পরীক্ষার্থীরা বেশ ভালোভাবেই বুঝে গেছে, ধোলাই কাকে বলে! তারা বুঝে গেছে শুধু শিক্ষা বোর্ড, স্কুল, শিক্ষার্থী, শিক্ষকেরা চাইলেই পরীক্ষা দেওয়া যায় না, রাজনৈতিক দলগুলোকেও চাইতে হয়!
তবে জেএসসি, জেডিসি পরীক্ষা পেছালেও হরতালে মানুষকে অংশ নিতে হয় অগ্নিপরীক্ষায়। হরতালকারীরা যাত্রীবাহী যানবাহনে আগুন দিয়ে, বোমা, ককটেল মেরে জনগণের অগ্নিপরীক্ষা নিয়ে থাকে। বাসে আচমকা আগুন দেওয়া হবে, যাঁরা দ্রুত বের হয়ে পালাতে পারবেন, তাঁরা বাঁচবেন, নইলে পুড়ে মরবেন। এটাই রাজনৈতিক খেলা। আর এই রাজনীতিকে শুদ্ধ বাংলায় নোংরা রাজনীতি বলা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এমন রাজনীতির চর্চা চলে আসছে।
কিন্তু আর কত? এখন নোংরা রাজনীতিকে সবাই মিলে স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ ধোলাই দেওয়ার সময় এসেছে। ধোলাই খাল ঢাকার ময়লা-আবর্জনা সরাতে সাহায্য করত। নোংরা রাজনীতি দূর করতে প্রয়োজনে নতুন একটা ধোলাই খাল তৈরি করতে হবে। নিউজিল্যান্ডকে ধোলাই করেছি, চাইলে আমরা নোংরা রাজনীতিকেও আন্তর্জাতিক মানের ধোলাই দিতে পারব, এটা কোনো ব্যাপারই না।
কিন্তু এক জাতি আছে, যে জাতির নাম রাজনীতিবিদ জাতি। এই জাতি মানুষের আনন্দ সহ্য করতে পারে বলে মনে হয় না। তাই বাংলাধোলাইয়ের আনন্দ শেষ হওয়ার আগেই তারা একের পর এক হরতাল ডেলিভারি দিতে থাকল। সম্ভবত রুবেল হোসেনের হ্যাটট্রিক তাদের দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। তা না হলে তারা কেন বারবার টানা তিন দিনের হরতাল দেবে?
বাংলাদেশ দল যেমন নিউজিল্যান্ডকে ধোলাই উপহার দিয়েছে, তেমনি পরীক্ষার মধ্যে হরতাল দিয়ে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল উপায়ে ধোলাই উপহার দিয়েছে ১৮-দল। বিশেষ করে জেএসসি, জেডিসি পরীক্ষার্থীরা বেশ ভালোভাবেই বুঝে গেছে, ধোলাই কাকে বলে! তারা বুঝে গেছে শুধু শিক্ষা বোর্ড, স্কুল, শিক্ষার্থী, শিক্ষকেরা চাইলেই পরীক্ষা দেওয়া যায় না, রাজনৈতিক দলগুলোকেও চাইতে হয়!
তবে জেএসসি, জেডিসি পরীক্ষা পেছালেও হরতালে মানুষকে অংশ নিতে হয় অগ্নিপরীক্ষায়। হরতালকারীরা যাত্রীবাহী যানবাহনে আগুন দিয়ে, বোমা, ককটেল মেরে জনগণের অগ্নিপরীক্ষা নিয়ে থাকে। বাসে আচমকা আগুন দেওয়া হবে, যাঁরা দ্রুত বের হয়ে পালাতে পারবেন, তাঁরা বাঁচবেন, নইলে পুড়ে মরবেন। এটাই রাজনৈতিক খেলা। আর এই রাজনীতিকে শুদ্ধ বাংলায় নোংরা রাজনীতি বলা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই এমন রাজনীতির চর্চা চলে আসছে।
কিন্তু আর কত? এখন নোংরা রাজনীতিকে সবাই মিলে স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ ধোলাই দেওয়ার সময় এসেছে। ধোলাই খাল ঢাকার ময়লা-আবর্জনা সরাতে সাহায্য করত। নোংরা রাজনীতি দূর করতে প্রয়োজনে নতুন একটা ধোলাই খাল তৈরি করতে হবে। নিউজিল্যান্ডকে ধোলাই করেছি, চাইলে আমরা নোংরা রাজনীতিকেও আন্তর্জাতিক মানের ধোলাই দিতে পারব, এটা কোনো ব্যাপারই না।
No comments