বিসিএস পরীক্ষা-হুটহাট সিদ্ধান্ত কাম্য নয়
রমজান শুরুর আগের দিন বিকেলবেলা রাজধানী
যেন থমকে দাঁড়িয়েছিল। হাজার হাজার যানবাহন ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। বাসের মধ্যে
গরমে ঘেমে নেয়ে অস্থির মানুষ। তারা জানে না কখন গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে।
কেন এমন হলো? পত্র-পত্রিকা থেকে জানা যায়, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের
(পিএসসি) একটি 'হঠকারী' সিদ্ধান্তই লাখো মানুষের এই দুর্গতির জন্য দায়ী।
৩৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রদত্ত ফলাফলে ৫৫ শতাংশের মতো
কোটাপদ্ধতি অবলম্বন করায় ক্ষুব্ধ বিসিএস পরীক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে
এসেছিলেন। আর শাহবাগ এলাকায় তাঁদের সেই অবস্থানের প্রভাব পড়েছিল গোটা ঢাকার
রাস্তায়। এ কারণেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনে আটকে থাকতে হয় ঘরফিরতি
মানুষকে।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, সরকারের কোনো নির্দেশ না থাকলেও পিএসসি সম্পূর্ণ নিজেদের ইচ্ছায় বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কোটাপদ্ধতি অনুসরণ করে। এর ফলে বেশি নম্বর পেয়েও অনেকে বাদ পড়ে যান এবং কম নম্বর পেয়েও উত্তীর্ণ হয়ে যান। স্বাভাবিকভাবেই এটি বাদ পড়া বিপুলসংখ্যক পরীক্ষার্থীকে ক্ষুব্ধ করে এবং তাঁরা রাস্তায় নেমে আসেন। এরপর অবশ্য পিএসসি পরীক্ষার ফল স্থগিত করেছে এবং ফল পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এর ফলে লাখ লাখ মানুষ যে দুর্ভোগের শিকার হলো, যে ক্ষতির মুখোমুখি হলো, পিএসসি তার ক্ষতিপূরণ করবে কিভাবে? কোটাপদ্ধতি আগেও ছিল। তখন প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই কোটাপদ্ধতি অনুসরণ করা হতো। হঠাৎ করে এবার কেন তা প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রয়োগ করা হলো। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এর পেছনে কোনো দুরভিসন্ধি কাজ করেছে।
বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা চারটি দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। সেগুলো হলো- ৩৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়ন, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর পিএসসির ওয়েবসাইটে এবং দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করা, প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কোটাপদ্ধতি বাতিল করা এবং পিএসসির অধীন সব চাকরির পরীক্ষায় কোটার হার কমিয়ে আনা। তাঁদের দেওয়া সব দাবিই যৌক্তিক। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মেধার মূল্যায়ন আমাদের অবশ্যই করতে হবে। কোটাও থাকবে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই নানা ধরনের কোটা রয়েছে। কিন্তু সেই কোটার পরিমাণ কত? কোটা প্রথায় ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হলে স্বাভাবিকভাবেই তাতে মেধার বিবেচনাকে উপেক্ষা করা হবে। আমরা মনে করি, এ বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট নীতি ও হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, সরকারের কোনো নির্দেশ না থাকলেও পিএসসি সম্পূর্ণ নিজেদের ইচ্ছায় বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কোটাপদ্ধতি অনুসরণ করে। এর ফলে বেশি নম্বর পেয়েও অনেকে বাদ পড়ে যান এবং কম নম্বর পেয়েও উত্তীর্ণ হয়ে যান। স্বাভাবিকভাবেই এটি বাদ পড়া বিপুলসংখ্যক পরীক্ষার্থীকে ক্ষুব্ধ করে এবং তাঁরা রাস্তায় নেমে আসেন। এরপর অবশ্য পিএসসি পরীক্ষার ফল স্থগিত করেছে এবং ফল পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এর ফলে লাখ লাখ মানুষ যে দুর্ভোগের শিকার হলো, যে ক্ষতির মুখোমুখি হলো, পিএসসি তার ক্ষতিপূরণ করবে কিভাবে? কোটাপদ্ধতি আগেও ছিল। তখন প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই কোটাপদ্ধতি অনুসরণ করা হতো। হঠাৎ করে এবার কেন তা প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রয়োগ করা হলো। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এর পেছনে কোনো দুরভিসন্ধি কাজ করেছে।
বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা চারটি দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। সেগুলো হলো- ৩৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল পুনর্মূল্যায়ন, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর পিএসসির ওয়েবসাইটে এবং দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করা, প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কোটাপদ্ধতি বাতিল করা এবং পিএসসির অধীন সব চাকরির পরীক্ষায় কোটার হার কমিয়ে আনা। তাঁদের দেওয়া সব দাবিই যৌক্তিক। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মেধার মূল্যায়ন আমাদের অবশ্যই করতে হবে। কোটাও থাকবে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই নানা ধরনের কোটা রয়েছে। কিন্তু সেই কোটার পরিমাণ কত? কোটা প্রথায় ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হলে স্বাভাবিকভাবেই তাতে মেধার বিবেচনাকে উপেক্ষা করা হবে। আমরা মনে করি, এ বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট নীতি ও হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
No comments