রাডার ক্রয়ে দুর্নীতি-হঠাৎ গতি পেল এরশাদের মামলা
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সামরিক শাসক এইচ এম
এরশাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ধীরলয়ে চলতে থাকা যুদ্ধবিমানের রাডার ক্রয়ে
দুর্নীতি মামলার বিচারে হঠাৎ করে গতিসঞ্চার হয়েছে। এ মামলার বিচার দ্রুত
শেষ করতে তোড়জোড় চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার একই দিনে তিনজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীরা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের বর্তমান সহকারী পরিচালক আবদুস সাত্তার সরকারসহ তিন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা হিসেবে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বর্তমানে দুদকের উপপরিচালক মঞ্জুর আহমেদের আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণের পর ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ মো. নুরুল ইসলাম এ মামলার কার্যক্রম আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করেন।
মামলাটিতে ১১ নম্বর সাক্ষী হিসেবে আংশিক সাক্ষ্যদানকারী হলেন তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা হিসেবে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বর্তমানে দুদকের উপপরিচালক মঞ্জুর আহমেদ। তিনি গতকাল আদালতে তাঁর জবানবন্দি দেন। জবানবন্দির পর এরশাদের আইনজীবী শেখ মো. সিরাজুল ইসলাম তাঁকে আংশিক জেরা করেন।
সাক্ষ্যগ্রহণকালে মামলার প্রধান আসামি এরশাদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে আসামি সাবেক সহকারী বিমানবাহিনীপ্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদ হাজির ছিলেন। অন্য আসামি এ কে এম মুসা শুরু থেকেই পলাতক।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়েরের পর ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট এরশাদসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। সাক্ষ্যগ্রহণে কোনো বাধা না থাকলেও ২০০৯ পর্যন্ত দুদক বাদী আলী হায়দারকে আদালতে হাজির করেনি।
মামলার ১৮ বছর পর ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট শুরু হয় বাদীর সাক্ষ্য। প্রায় ১০টি ধার্য তারিখ পর ২০১২ সালের ১ মার্চ বাদীর সাক্ষ্য শেষ হয়। প্রায় দেড় বছর ধরে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর গত এক বছরে আরো ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদসহ অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিন কম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি চার লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি করেছিলেন।
এদিকে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনের আগে এরশাদের এ মামলার বিচার শেষ করার উদ্দেশ্যেই এমন তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এরশাদকে মহাজোটে রাখতে খালাস দেওয়ার বিষয়টি যেমন রয়েছে, তেমনি তিনি মহাজোটে না থাকতে চাইলে তাঁকে এ মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টাও করা হতে পারে বলে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের বর্তমান সহকারী পরিচালক আবদুস সাত্তার সরকারসহ তিন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা হিসেবে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বর্তমানে দুদকের উপপরিচালক মঞ্জুর আহমেদের আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণের পর ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ মো. নুরুল ইসলাম এ মামলার কার্যক্রম আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করেন।
মামলাটিতে ১১ নম্বর সাক্ষী হিসেবে আংশিক সাক্ষ্যদানকারী হলেন তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা হিসেবে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বর্তমানে দুদকের উপপরিচালক মঞ্জুর আহমেদ। তিনি গতকাল আদালতে তাঁর জবানবন্দি দেন। জবানবন্দির পর এরশাদের আইনজীবী শেখ মো. সিরাজুল ইসলাম তাঁকে আংশিক জেরা করেন।
সাক্ষ্যগ্রহণকালে মামলার প্রধান আসামি এরশাদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে আসামি সাবেক সহকারী বিমানবাহিনীপ্রধান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদ হাজির ছিলেন। অন্য আসামি এ কে এম মুসা শুরু থেকেই পলাতক।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়েরের পর ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট এরশাদসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। সাক্ষ্যগ্রহণে কোনো বাধা না থাকলেও ২০০৯ পর্যন্ত দুদক বাদী আলী হায়দারকে আদালতে হাজির করেনি।
মামলার ১৮ বছর পর ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট শুরু হয় বাদীর সাক্ষ্য। প্রায় ১০টি ধার্য তারিখ পর ২০১২ সালের ১ মার্চ বাদীর সাক্ষ্য শেষ হয়। প্রায় দেড় বছর ধরে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর গত এক বছরে আরো ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদসহ অন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিন কম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি চার লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতি করেছিলেন।
এদিকে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আগামী নির্বাচনের আগে এরশাদের এ মামলার বিচার শেষ করার উদ্দেশ্যেই এমন তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এরশাদকে মহাজোটে রাখতে খালাস দেওয়ার বিষয়টি যেমন রয়েছে, তেমনি তিনি মহাজোটে না থাকতে চাইলে তাঁকে এ মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টাও করা হতে পারে বলে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে।
No comments