ওপারের ডাকের অপেক্ষায় ছিলেন ড. জহির!

২০১৩ সালের মার্চে আইন ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরাম এর প্রকাশিত ‘সংবিধান ও বিচার বিভাগের ৪০ বছর’ম্যাগাজিনে সদ্য প্রয়াত ড.এম জহিরের “কোম্পানী আইনের বইটি হবে আমার এপিটাফ” লেখাটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কিছুদিন আগে আমি জন্মেছি কলকাতার ভবানিপুরে। সাধারণত বাচ্চাদের জন্ম হয় নানার বাড়িতে, কারণ মা যায় বাবা বাড়ি। কিন্তু আমার জন্ম হয়েছে ভবানিপুরের পুলিশ হাসপাতালে। সেখানে আমার নানা আর্মির চিকিৎসক ছিলেন। পরে তিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল হন। কলকাতার দাঙ্গার সময় ১৯৪৬ সালের আগস্টে আমরা পার্ক সার্কাসে আসলাম। সেখানে থাকার পরে আমার আব্বা (পরে বিচারপতি) মুহাম্মদ আসির কলকাতা থাকার চিন্তা করেছিলেন, বাড়িও কিনেছিলেন ৪৭ সালে। তবে, ৫০এর দাঙ্গার পরে তিনি এদেশে চলে আসেন। কলকাতার দাঙ্গায় হিন্দু মুসলিমদের হত্যার চিত্র দেখেছি। শুধু হিন্দু বা মুসলিম হওয়ার কারণে মারা হতো।

শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের সাথে আমার বাবার পরিচয় ছিল। ঈদের সময় তিনি আমাদের বাড়িতে আসতেন। ১৯৪৮ সালের দিকে কলকাতায় একদিন ঈদের সময় তিনি আমাদের বাড়িতে আসলেন। তিনি বললেন, ‘খোকা, তোমার আব্বা বাড়িতে আছেন।’ আমি বললাম নেই। তিনি বললেন, ‘আমি এসেছিলাম।’ আমি জিজ্ঞেস করলাম আপনার নাম কি। তিনি চুপ করে থেকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ পর আমাকে বললেন, ‘বলো বেড়াল এসেছিলো।’ আম্মা আমাকে বললেন, ‘কে এসেছিলো’। আমি বললাম বেড়াল। তিনি দৌড়ে গিয়ে দেখলেন, শেরে বাংলা গাড়িতে উঠছেন। এটা আমার জীবনের একটা স্মরণীয় স্মৃতি। প্রত্যেক ঈদে তিনি কেএম দাস লেন থেকে নারিন্দায় যখন আসতেন তখন আমাদের বাসায় আসতেন।

কলকাতায় পড়তাম হিন্দুদের সাথে। ভবানিপুরে একটা ভাল স্কুলে পড়তাম। পুরো বাংলায় দশটা প্লেসের মধ্যে প্রায় পাঁচটা সেখান থেকে থাকত। পার্ক সার্কাসে চলে আসার পর ভাল স্কুল পেলাম না। পরে ঢাকায় এসে সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুলে ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি হলাম। সেখানে আমেরিকানদের বেতের বাড়ি খেয়ে বাবু ইংলিশ বের হয়ে গেল। সেখান থেকেই ম্যাট্রিক পাশ করেছিলাম। তিনটাতে লেটার মার্কসহ স্টার। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৫৬ সালে ইংরেজিতে ভর্তি হই। আব্বা আমাকে পাস কোর্সে দিয়েছিলেন।

কিন্তু আমার মন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, তখন বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল কলেজের সাথে ছিল। ফাদার মার্টিন আমাকে বললেন, আমি তোমাকে দেব কিন্তু তোমার ক্লাসের রফি(পরে ব্যারিস্টার) এবং মাইনুর রেজা চৌধুরী (পরে প্রধান বিচারপতি)এদেরকে তুমি নিতে পারবেনা। আমি তাদের না নিয়ে ইংরেজিতে চলে গেলাম। সেখানে অনার্স ও মাস্টার্স করলাম। আইন পাশ করে অ্যাডভোকেট হলাম। ১৯৬২ সালে হাইকোর্টে এনরোলড হই। তারপর বিলেত গিয়েছি।

আব্বার খুব বেশি বিশ্বাস ছিল না যে, আমি বিদেশ গিয়ে পাস করতে পারব। বিলেত গিয়ে ব্যারিস্টার ও এলএলএম  পাস করলাম। লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৬৬ সালে কোম্পানি আইনের ওপর পিএইচডি করলাম। ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে খণ্ডকালীন লেকচারার হলাম। ১৯৬৭ সালের জানুয়ারিতে বিয়ে করলাম। প্র্যাকটিস শুরু করতে হলো।দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে আসলো আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা। আমি আর আমীর-উল ইসলাম হেবিয়াস কর্পাস রিট করলাম।

স্যার টমাস উইলিয়ামসকে আনলাম। তিনি আমার সাথে রিহার্সেল করলেন এখনকার হোটেল রুপসী বাংলায় বসে।আগরতলা মামলায় প্রথমে আমরা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। তখন ক্যান্টনমেন্টে যাইনি। কারণ আমাকে বলল,যারা যারা যায়নি, তাদের মামলাগুলো আমি দেখবো হাইকোর্টে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ট্রায়াল চলে আসলো। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে প্রায় যেতাম। বঙ্গবন্ধু অনেক বড় হৃদয়ের ছিলেন। আগরতলা মামলা থেকে ফিরে আসার পর তার সাথে ক্লোজ হই। একাত্তর সালের মার্চে ওনার সাথে আমার সখ্যতা আরো বাড়ে।

একাত্তরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে কোথাও যাইনি। শহীদ জননী জাহানার ইমামের ছেলে রুমি, কর্নেল জামানের ছেলে নাদিমকে বাসা থেকে নিয়ে আমি আর সিদ্দিক সেন্ট্রাল রোডে একটা বাড়িতে আসলাম। সেখানে রুমি আসলো। তারপর একেবারে আর্মির নাকের ডগা থেকে তাদের পার করলাম। আমার আব্বা ভালো চেহারার কারণে একাত্তরের ২৬ মার্চ নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম। আর্মিরা আমাকে বলল, ‘ইউ কাম এন্ড সো আস।’ মারার মতো অবস্থা। আব্বা বেরিয়ে আসলেন। আব্বার চেহারও ছিলো মাগরিবি। ওসব দেখে আমাদের ছেড়ে দিল। সেদিন যাদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল তারা আর ফেরেনি।কিছুদুর নিয়ে গিয়েই মেরে ফেলতো। তখন তো আমার মাথায় আসেনি আল বদর, আল শামস এগুলো হবে। আমি অবশ্য পাক বাহিনীকে বিশ্বাস করিনি। আমার চিন্তা মেরে ফেললে এখানেই মারুক। আমার এক বন্ধু গিয়েছিল। তাকেও মেরে ফেলেছিলো।

আমার বাবা বলতেন, কংগ্রেসের মধ্যে একটা গোপন কিছু আছে যেখানে ঢোকা যাবে না। তবে কংগ্রেসের জন্য তার সহানুভূতি আছে। পঞ্চাশের দাঙ্গার পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৫৬ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে বিচারপতি হলেন। অবসর নেন ১৯৬৫ সালে। একগ্রামে যেমন দুই পীর থাকতে পারে না, তেমনি বাবা আমাকেই এগিয়ে দিলেন। তবে আমার একটু অসুবিধা হলে ওনার কাছে যেতাম। তখন আটজন বা নয়জন বিচারপতি ছিলেন। আমি বিচারপতি হইনি বাবার অবস্থা দেখে। অবসরের সময় বাবার পেনশন একহাজার টাকা মাত্র। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের মার্চে আমাকে বললেন, ‘তুমি কি হতে চাও? চাকরি করতে হবে।’ আমি বুঝেছিলাম উনি কি বলতে চান। হয়তো আমাকে বিচারপতি হতে বলতেন। আমার ওদিকে নজরই ছিলো না।

বাবা অবসরের পর বেশিরভাগ সময় চুপচাপ থাকতে পছন্দ করতেন। আমি হাইকোর্ট থেকে আসার পর বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতেন। পরামর্শ দিতেন। একটা বিষয় আমি ভুলতে পারবো না। একদিন খুশি খুশি হয়ে আমি বললাম ওমুক পরিচালকের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে। উনি আমাকে লিগ্যাল অ্যাডভাইজারশিপ দেবেন। হঠাৎ তিনি ক্ষেপে উঠে বললেন,‘কি ডায়রেক্টর দেবেন? অনলি আল্লাহ ক্যান গিভ ইউ।’ যেটা আমি কোনোদিন ভুলতে পারবো না।

৫০ বছর ধরে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করছি। এখন আমি বুঝতে পারি কেন যে মক্কেল আসে, আর কেন যে আসে না। আমার বাবাই ছিলেন সঠিক। শুধু আল্লাহই জানেন কাকে কি দেবেন। এটা আমার বাবার কাছ থেকে পাওয়া আমার বিশাল অর্জনের একটি ।এসআর পাল আর দেবেশ ভট্টাচার্যও কিভাবে কোর্টে অ্যাপ্রোচ করেন তা দেখতে তিনি বলেছিলেন।


হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কথা কিছুটা মনে আছে। ১৯৬১ সালের দিকে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের মেয়ের বিয়েতে এসে তিনি আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তখন তিনি আব্বাকে বলেছিলেন, ‘আইয়ুব ডাজ নট রিয়েলাইজড, আনলেস দেয়ার ইজ ডেমোক্রেসি, পাকিস্তান উইল ব্রেক। মুজিব এন্ড আদার্স ওয়ান্ট টু ব্রেক পাকিস্তান। আই অ্যাম হোল্ডিং ইট। আই ক্যাননট। ইফ দেয়ার ইজ নো ডেমোক্রেসি পাকিস্তান উইল ব্রেক।’ এতো দুরদর্শী ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।

আরেকটি মজার ঘটনা, ১৯৬০-৬১ সালের কথা। একবার গাড়ি ব্রেক ফেল করে বঙ্গবন্ধুর গাড়িকে আমি ধাক্কা মেরেছিলাম। ছেলেরা এসে আমার গাড়ির নম্বর লিখে নিল। তখনো জানতাম না কার গাড়ি।পরে বাসায় গিয়ে দেখি দুই ভদ্রলোক। একজনের স্বাস্থ্য অনেক। আমার বাবা বললেন, ‘এই যে আমার ছেলে।’ তখনই দেখলাম বঙ্গবন্ধুকে। তিনি আমাকে বললেন,‘ কিসে পড়ো।বললাম ল’তে পড়ি। তিনি বললেন, ‘ব্যারিস্টারি পড়ছো ভালো। কোয়ালিফাইড হয়ে আমার কাছে এসো।’ বঙ্গবন্ধুর গাড়িকে ধাক্কা মারছি ভাবতেই কেমন লাগছে।

একবার একটা সমস্যা নিয়ে একজন মক্কেল আসলেন। আমি তাকে বললাম, আপনাকে কে পাঠিয়েছে। তিনি বললেন, আমাকে এসআরপাল পাঠিয়েছেন কোম্পানি ল’জের সমস্যার জন্য। আমি তো পারলে গিয়ে তার পায়ে সালাম করি। আমি ভেবেছিলাম তিনি আমার শিক্ষক। উল্টো তিনি আামকে দেখিয়ে দিলেন। এই হচ্ছে তাদের উদার মানসিকতা। এখন সেটা না বললেই চলে।

ফরিদপুরের একটি মামলার কথা বলতে হয়। ১৮৮২ সালে দুই জমিদারের ঝগড়া হলো। হতে হতে জমিদারি বাউন্ডারি দেয়া হলো। ১৯২০ সালে সেই ঝগড়ার সমাধান হলো। ১৯৪১ সালে আবার ঝগড়া শুরু হলো। মামলা করতে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে গেলো তারা। ১৯৬৮-৬৯ সালে এই মামলার একদল লোক আমার কাছে আসলো। আইল নিয়ে সমস্যা হলো। কোথায় ছিলো ওখানে, সেটা মাপজোক হবে। ১৯৭০ সালে তারা একথা বলে চলে গেলেন। তারপর ৭১ এলো। ৭৪ সালে মামলা আবার আসলে এসআরপাল এক পক্ষে আমি অপর পক্ষে।

 আদালত কক্ষে অনেক মানুষের সাথে কথা বলছিলাম। ভয়ও লাগছিলো। হঠাৎ এস আরপাল আমাকে বললেন,‘এই চুপ চুপ।’ তাকিয়ে দেখি জাস্টিসরা বসেছেন। প্রচণ্ড গরম পড়ছিলো আর এর মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলো জাস্টিস জাবির। প্রধান বিচারপতি সায়েম মাথা ধরে বসে আছেন। আর বলছেন ‘ও ব্রাদার।’ জাবির সাহেবের এই অবস্থা দেখে আমি দেয়াল ডিঙিয়ে গেলাম। গিয়ে জাস্টিস জাবিরের গলার কলার ছিঁড়ে ফেলে হাতে থাকা বই দিয়ে বাতাস করি কিছুক্ষণ। এর মধ্যে তার জ্ঞান ফেরে। আমার কাছে মনে হয় লিগ্যাল হিস্টোরিতে আমি প্রথম মানুষ যিনি বার ডিঙিয়ে গিয়েছিলাম। মামলা তো ওখানেই শেষ। তারপর ১৯৭৮ সালে এ মামলা নিষ্পত্তি হয়।

গিটার বাজিয়ে সময় নষ্ট করতাম। পালিয়ে এখানে ওখানে বাজিয়ে বেড়াতাম। তারপর অ্যাডভোকেট হওয়ার পর ৬১/৬২ সালে পল্টন ময়দানে গিটার বাজিয়েছি। পরে আমার সিনিয়র ও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আমাকে যা বকা দিয়েছেন। বলেছিলেন, অ্যাডভোকেট হয়ে পল্টন ময়দানে তুমি গিটার বাজাও। তোমাকে দিয়ে কিছু হবেনা। তারপর থেকে গিটার কম বাজিয়েছি। এখন হয়তো এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টা প্র্যাকটিস করি।
লন্ডনে একবার মোহাম্মদ রাফির সঙ্গে গিটার বাজিয়েছিলাম। ওনার গিটারের হ্যান্ড কম হয়েছিলো। সেই সুযোগটা নিয়েছিলাম। মোহাম্মদ রাফির মতো মানুষের সঙ্গে গিটার বাজানো আমার জীবনের অন্যতম অর্জন। হাইকোর্টে অনেক বড় আইনজীবী আছেন তারা হয়তো বলতে পারবেন এটা করেছি। ওটা করেছি। কিন্তু এ সুযোগ আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। তা কেউ বলতে পারবো না।

টেনিসই আমাকে আরেকটা সুযোগ দিলো। টেনিস কোর্টেই আমি অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। কোনো একটা কারণে আমি বীতশ্রদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। টেনিস কোর্টে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারিকে চাকরির কথা বলেছিলাম।তারপর আমি আবেদন করলাম।মনেই ছিলনা। তার তিন চার মাস পর একটা জবাব আসলো অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা থেকে।

দুটো শর্ত দিলো আমাকে সেখানকার ইমিগ্রেশন নিতে হবে। আর তাদের হাইকোর্টে অ্যানরোলমেন্ট নিতে হবে। এরপর আমি এক মিনিটে এনরোলড হয়ে যাই। তারপর ওখানে চলে গেলাম। কোম্পানি ল’ আর সিকিউরিটিজ ল’ এর ওপরে আমাদের কাজ ছিলো। সেখানে সিকিউরিটিজ ল’জ অব অস্ট্রেলিয়া ড্রাফট করেছিলাম। সেখানে সিকিউরিটিজ ল’ নিয়ে কাজ করতাম।তারপর আব্বার স্ট্রোক হলো। আমি চলে আসলাম। তারপর থেকে আসতাম আবার যেতাম।এরপর ১৯৯১ সালের পরে আমি খুব কম যেতাম।

কোম্পানি আইনের ওপরে একটা বই লিখেছি। আশা করছি, মরে গেলে হয়ত বইটা অন্য উকিলের ঘরে থাকবে। এটাই হবে আমার এপিটাফ। এখন পর্যন্ত ওটাই আমার হাতে লেখা ভাল একটা বই। আইনজীবীরাও সেটা অনুসরণ করেন। তবে মাহমুদুল ইসলামের সংবিধান নিয়ে লেখা বইও আইনজীবীসহ সবার কাছে জনপ্রিয়।আমি প্রকাশ্যে বলতে পারি, তিনি আমার চাইতে বেশি লেখাপড়া করেন। অনেক জ্ঞানী লোক।

একটি আফসোস দিয়ে শেষ করতে চাই। হেমন্তের গান আমার খুব প্রিয়। আমি একবার অস্ট্রেলিয়া গিয়েছি। সেবার হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ঢাকায় এসেছিলেন। তিনি ছিলেন সুন্দরবন হোটেলে। আমার এক চাচাত বোন হেমন্তকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। আমি তাকে সামনা সামনি দেখতে পারিনি।দ্যাট ওয়াজ দ্যা বিগেস্ট মিসটেক অব মাই লাইফ।

আজ আমার জীবনের পশ্চিম আকাশ লাল। ওপারের ডাকের অপেক্ষায়। তবু বলে যাই-
আবার যদি আসে ফাল্গুন
শিমুল শাখায় লাগে আগুন
তখন আবার স্মরণ করো
অচিন সাথীটিরে-
দেখা হবে আবার
যদি ফাল্গুন আসে গো ফিরে ।।

No comments

Powered by Blogger.