কবিতা মহাসেন ও রবীন্দ্র ভাবে পিপীলিকা by আহমেদ স্বপন মাহমুদ
পিপীলিকা হেঁটে যাচ্ছে রবীন্দ্রনাথের ওপর।
সুমিষ্ট না হলে পিঁপড়ারা সারিবদ্ধ হয় না জেনে রবি বাবু কিছু বিস্ময় নিয়ে
ভাবছেন মহাফেজখানায় কেন আজ পিপীলিকা আসরে বসেছে, আর ঠাকুরের নামে পিলপিল
হাঁটছে—তা সবে জানা যায়নি; এমনকি মহাসেনের উগ্রতার দিনেও যখন তেলাপোকা জীববিজ্ঞানের ব্যবহারিক ক্লাসে স্টার মার্ক পেয়ে থাকে। শব্দের
প্রতি তেলাপোকার ভালোবাসা সুবিদিত। কিন্তু ইয়েটস এ কথা না জেনেই বিহ্বল
থাকেন বিজয় আহমেদের সরল মুগ্ধতার মতো; এতে পুস্তক ও ঘৃণা দূরবর্তী হয়, আর
সরল পিঁপড়েরা রবিকরোজ্জ্বলতা না পেয়ে বিষাদ রকম হয়; পোকামাকড়ের এসব
আচরণ কবে যে মানুষবর্তী হয়ে নিদ্রা যাবে তা ভেবে ভেবে জননীর দিকে তাকিয়ে
থাকি। রবি বাবু ও ইয়েটসের ঘনিষ্ঠতা সজ্জনতার চেয়ে বেশি সতীর্থপ্রবণ। পিপীলিকা হেঁটে যাচ্ছে রবীন্দ্রনাথের টেবিল পুস্তকে; কবি মরে গেলে তেলাপোকা কাব্যাশ্রয়ী হয়; মানুষ দূরে যেতে থাকে, ব্যতিক্রম ছাড়া! কাঠের আড়ালে কিছুটা রোদ পড়েছে ভাবছে গ্রীষ্মকাল এত বর্ষামুখর, তিক্ত কেন জলোচ্ছ্বাসের দিনে!
No comments