গুগলের সম্মেলনে
গোটা দুনিয়া থেকে নিজেদের বিভিন্ন
উদ্যোগের স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে গুগল আয়োজন করে ‘সার্চ’ নামের সম্মেলন। এ
সম্মেলনে গুগল স্টুডেন্ট অ্যাম্বাসেডর, গুগল বিজনেস গ্রুপ, গুগল ডেভেলপারস
গ্রুপ, গুগল ম্যাপমেকার ইত্যাদি দলের সদস্যরা একত্র হন।
গত ২০-২২ জুন ইন্দোনেশিয়ার জোগজাকার্তায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় ‘সার্চ
সম্মেলন ২০১৩’। এটিই গুগলের প্রথম সম্মেলন, যেখানে গুগলের প্রতিটি আউটরিচ
কমিউনিটিকে আলাদাভাবে একত্র করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এ সম্মেলনে গুগল
বাংলাদেশের কান্ট্রি কনসালট্যান্ট কাজী মনিরুল কবির, জিবিজির তিন
ব্যবস্থাপক এবং গুগল ম্যাপমেকার বাংলাদেশের দুই সদস্য অংশ নিয়েছেন। গুগল
ম্যাপমেকার বাংলাদেশের রিজিওনাল এক্সপার্ট রিভিউয়ার অভিজিত রায় সম্মেলন
থেকে ফিরে এসে লিখেছেন তাঁর অভিজ্ঞতা।
প্রতিবছর গুগল তার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে নানা রকমের সম্মেলন করে থাকে। এসবের একটি সাউথইস্ট এশিয়া আউটরিচ সামিট (সার্চ সম্মেলন)। ২০১৩ সালের সার্চ সম্মেলন আয়োজন করা হয় ইন্দোনেশিয়ার জোগজাকার্তায়। এ সম্মেলনে গুগলের বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে যোগাযোগ এবং পারস্পরিক সম্পর্ক ও শিক্ষা বাড়ানোর কৌশলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। যেখানে গুগল স্টুডেন্ট অ্যাম্বাসেডর, গুগল বিজনেস গ্রুপ, গুগল ডেভেলপারস গ্রুপ, গুগল ম্যাপমেকার দলগুলোকে একত্র করা হয়। সার্চ সম্মেলন ২০১৩ হলো গুগলের প্রথম এবং একমাত্র সম্মেলন, যেখানে গুগলের প্রতিটি আউটরিচ দলকে আলাদাভাবে একত্র করা হয়েছে। তিন দিনের এই সম্মেলনে দলের সদস্যদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা আদান-প্রদানের পাশাপাশি প্রতিটি দলের সেরা কাজগুলোর কৌশল বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। এখানে আমরা বুঝতে পারি, বিশ্বের সেরা বিভিন্ন কৌশলের অনেকগুলোই বাংলাদেশের জিবিজি, ম্যাপমেকার ইতিমধ্যেই নিজেদের কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে, যা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা প্রাপ্তি।
সার্চ সম্মেলনে সাধারণত প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে গুগল স্টুডেন্ট অ্যাম্বাসেডরদের (জিএসএ)। কারণ, তাঁরাই হলেন পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গুগলের আনুষ্ঠানিক যোগসূত্র, যাঁরা গুগলকে নিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তুলেধরে থাকেন।কিন্তু ২০১৩ সালের সার্চ সম্মেলনে গুগল জিবিজি, জিডিজি, ম্যাপমেকারদেরও আমন্ত্রণ জানায়। তবে তা স্বল্প পরিসরে। দক্ষিণ এশিয়ার যারা গুগলের বিভিন্ন দল বা কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করে দলকে অনেক ওপরে নিয়ে গেছে এবং নিজ নিজ স্থানে সেরা, গুগল শুধু তাদের এ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে এবার গুগল বিজনেস গ্রুপের ব্যবস্থাপক নাশিদ ইসলাম, সালমান হোসেন ও রিয়াদ হুসেন, গুগল ম্যাপমেকার কমিউনিটি-ম্যাপিং বাংলাদেশ থেকে রিজিওনাল এক্সপার্ট রিভিউয়ার হাসান সাহেদ ও আমি আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। গুগল কর্তৃপক্ষ আমাদের যাতায়াত ও থাকা-খাওয়ার সব খরচ বহন করে। বাংলাদেশে জিবিজি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে গুগলের বিভিন্ন প্রযুক্তিকে সম্পৃক্ত করার কাজ করে যাচ্ছে। আর ম্যাপমেকার টিম সারা দেশকে গুগল ম্যাপসে যোগ করার মাধ্যমে দেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরছে এবং বিভিন্ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ম্যাপ করে দেশের দুর্যোগ মোকাবিলায় অবদান রাখছে। আর এ সম্মেলনের পুরোটা সময়আমাদের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে গুগল কান্ট্রি কনসালট্যান্ট কাজী মনিরুল কবির।
যা ছিল এই সম্মেলনে
এই সম্মেলনের প্রথম এবং প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো গুগল জিএসএদের অভিজ্ঞ করে তোলা এবং এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অন্যান্য দলের অভিজ্ঞতা বিনিময়, যা জিএসএদের আরও অভিজ্ঞ হতে সাহায্য করবে। সম্মেলনের অনেকগুলো আকর্ষণীয় দিকের মধ্যে অন্যতম হলো, এতে জিবিজির বিভিন্ন কর্মশালা ও অনুষ্ঠান আয়োজনের বিভিন্ন সংগঠনের প্রধানদের আলোচনা এবং গুগল এমার্জিং মার্কেট প্রধান নেলসনের বক্তব্য এবং তাঁর সঙ্গে দলীয় ছবি তোলা। এরপর জিবিজি, জিডিজি, ম্যাপমেকার ও জিএসএদের জন্য আলাদা আলাদা অনুষ্ঠান হয়। গত বছর পর্যন্ত বাংলাদেশের নাম জিএসএ তালিকায় না থাকলেও চলতি বছর এতে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে। যদিও এখনো বাংলাদেশ থেকে কোনো জিএসএ নির্বাচন করা হয়নি। কিন্তু আশা করা হচ্ছে, আগামী বছর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা গুগল জিএসএ হয়ে সার্চ সম্মেলনে অংশ নিতে পারবেন।
জিবিজির জন্য যা ছিল
জিবিজির বিভিন্ন কর্মশালা আয়োজনের জন্য এবং কমিউনিটি গঠনের বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল ‘কমিউনিট ২.০’ নামের একটি অধিবেশন, যেখানে আলোচনা করা হয় কীভাবে একটি নতুন কমিউনিটিকে অনেক অভিজ্ঞ করে তোলা যায়। এখানে বুদ্ধিদৃপ্ত আলোচনার মাধ্যমে বের করে আনা হয় কীভাবে আরও সফল ও নতুন কর্মশালার মাধ্যমে কমিউনিটিকে সুদূরপ্রসারী এবং স্থায়ী করা যায়।
আরও একটি আকর্ষণীয় সেশন ছিল, যেখানে গুগল অ্যাপসের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা চলে, যা ‘গুগল ট্রেনিং রিসোর্স’ নামে পরিচিত। এর মধ্যে একটি হলো গুগল ওয়েব একাডেমি। জিবিজি ঢাকা এই বৈশিষ্ট্যগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন দলের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে আগ্রহী।জিবিজি ঢাকা ২০১৩ সালের প্রথম অংশে প্রথম স্থান অর্জন করার জন্য বিশেষ সম্মাননা পায়।
ম্যাপমেকারদের জন্য ছিল আলাদা অনুষ্ঠান। সেখানে অংশ নেন নয়জন ম্যাপার এবং ম্যাপমেকার দলের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। কীভাবে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে মানচিত্র তৈরি বিষয়ে কর্মশালা আয়োজন করা হয়, কীভাবে ম্যাপ আপ তৈরি করা হয় ইত্যাদি বিষয়ে সেখানে আলোচনা চলে।
আমি নিজে বাংলাদেশে মানচিত্র তৈরির বিভিন্ন অগ্রগতি এবং কিছু নিজস্ব পদ্ধতি প্রদর্শন করি।মানচিত্র তৈরির সীমাবদ্ধতা ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন হাসান সাহেদ। ম্যাপস অ্যাপের ট্র্যাকিং পদ্ধতিটি অন্যান্য দেশের ম্যাপারদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি করে।তাঁরা এই পদ্ধতি তাঁদের নিজ নিজ কমিউনিটিতে বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া ম্যাপিংয়ের বিভিন্ন কারিগরি দিক নিয়ে আলোচনা করেন গুগল কর্মকর্তা আইলিন অ্যাপোলো।
জিডিজির অনুষ্ঠানে গুগল ড্রাইভ বা ডকস ব্যবহার করে কীভাবে সহজেই বিভিন্ন টেমপ্লেটের মাধ্যমে এইচটিএমএল, সিএসএস, সি, সি++, জাভা, জাভা স্ক্রিপ্ট ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ভাষায় প্রোগ্রামিং করা যায়, তা আলোচনা করা হয়।ওয়েবসাইট চালানোর জন্য হোস্টিং ছাড়া কীভাবে গুগল ড্রাইভকে ব্যবহার করতে হয়, তাও দেখানো হয়েছে এ সম্মেলনে।
তিন দিনের এই সম্মেলনে বিভিন্ন আলোচনা, কর্মশালার পাশাপাশি ছিল সাংস্কৃতিক আয়োজন। দ্বিতীয় দিন রাতে আয়োজন করা হয় জমকালো এই অনুষ্ঠানের, যেখানে বিভিন্ন দেশের জিএসএদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠানস্থল হয়ে ওঠে এক আনন্দভুবন। এ ছাড়া ছিল ইন্দোনেশিয়ার নানা ধরনের খাবারের বিশাল আয়োজন এবং আন্তরিক আপ্যায়ন। ছিল সবার জন্য ছোট ছোট গেম, যার মাঝে স্টিকার আদান-প্রদান উল্লেখযোগ্য। এই স্টিকার আদান-প্রদানের মাধ্যমেই প্রত্যেককে ন্যূনতম পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং এর ফলে নিজেদের মধ্যে একটা বন্ধুত্বও সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া ছিল অ্যান্ড্রয়েডের হারানো কুকুর খুঁজে বের করার মতো মজার গেম। সব মিলিয়ে এই সার্চ সম্মেলন ছিল অভিজ্ঞতা আহরণের খনি। এর মাধ্যমেই গুগলের অন্য দেশের সবার কাছে বাংলাদেশ পরিচয় পেল ভিন্নভাবে, অনেক সম্মানের সঙ্গে।
প্রতিবছর গুগল তার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে নানা রকমের সম্মেলন করে থাকে। এসবের একটি সাউথইস্ট এশিয়া আউটরিচ সামিট (সার্চ সম্মেলন)। ২০১৩ সালের সার্চ সম্মেলন আয়োজন করা হয় ইন্দোনেশিয়ার জোগজাকার্তায়। এ সম্মেলনে গুগলের বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে যোগাযোগ এবং পারস্পরিক সম্পর্ক ও শিক্ষা বাড়ানোর কৌশলকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। যেখানে গুগল স্টুডেন্ট অ্যাম্বাসেডর, গুগল বিজনেস গ্রুপ, গুগল ডেভেলপারস গ্রুপ, গুগল ম্যাপমেকার দলগুলোকে একত্র করা হয়। সার্চ সম্মেলন ২০১৩ হলো গুগলের প্রথম এবং একমাত্র সম্মেলন, যেখানে গুগলের প্রতিটি আউটরিচ দলকে আলাদাভাবে একত্র করা হয়েছে। তিন দিনের এই সম্মেলনে দলের সদস্যদের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা আদান-প্রদানের পাশাপাশি প্রতিটি দলের সেরা কাজগুলোর কৌশল বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। এখানে আমরা বুঝতে পারি, বিশ্বের সেরা বিভিন্ন কৌশলের অনেকগুলোই বাংলাদেশের জিবিজি, ম্যাপমেকার ইতিমধ্যেই নিজেদের কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে, যা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা প্রাপ্তি।
সার্চ সম্মেলনে সাধারণত প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে গুগল স্টুডেন্ট অ্যাম্বাসেডরদের (জিএসএ)। কারণ, তাঁরাই হলেন পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গুগলের আনুষ্ঠানিক যোগসূত্র, যাঁরা গুগলকে নিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তুলেধরে থাকেন।কিন্তু ২০১৩ সালের সার্চ সম্মেলনে গুগল জিবিজি, জিডিজি, ম্যাপমেকারদেরও আমন্ত্রণ জানায়। তবে তা স্বল্প পরিসরে। দক্ষিণ এশিয়ার যারা গুগলের বিভিন্ন দল বা কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করে দলকে অনেক ওপরে নিয়ে গেছে এবং নিজ নিজ স্থানে সেরা, গুগল শুধু তাদের এ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে এবার গুগল বিজনেস গ্রুপের ব্যবস্থাপক নাশিদ ইসলাম, সালমান হোসেন ও রিয়াদ হুসেন, গুগল ম্যাপমেকার কমিউনিটি-ম্যাপিং বাংলাদেশ থেকে রিজিওনাল এক্সপার্ট রিভিউয়ার হাসান সাহেদ ও আমি আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। গুগল কর্তৃপক্ষ আমাদের যাতায়াত ও থাকা-খাওয়ার সব খরচ বহন করে। বাংলাদেশে জিবিজি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে গুগলের বিভিন্ন প্রযুক্তিকে সম্পৃক্ত করার কাজ করে যাচ্ছে। আর ম্যাপমেকার টিম সারা দেশকে গুগল ম্যাপসে যোগ করার মাধ্যমে দেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরছে এবং বিভিন্ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ম্যাপ করে দেশের দুর্যোগ মোকাবিলায় অবদান রাখছে। আর এ সম্মেলনের পুরোটা সময়আমাদের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে গুগল কান্ট্রি কনসালট্যান্ট কাজী মনিরুল কবির।
যা ছিল এই সম্মেলনে
এই সম্মেলনের প্রথম এবং প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো গুগল জিএসএদের অভিজ্ঞ করে তোলা এবং এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অন্যান্য দলের অভিজ্ঞতা বিনিময়, যা জিএসএদের আরও অভিজ্ঞ হতে সাহায্য করবে। সম্মেলনের অনেকগুলো আকর্ষণীয় দিকের মধ্যে অন্যতম হলো, এতে জিবিজির বিভিন্ন কর্মশালা ও অনুষ্ঠান আয়োজনের বিভিন্ন সংগঠনের প্রধানদের আলোচনা এবং গুগল এমার্জিং মার্কেট প্রধান নেলসনের বক্তব্য এবং তাঁর সঙ্গে দলীয় ছবি তোলা। এরপর জিবিজি, জিডিজি, ম্যাপমেকার ও জিএসএদের জন্য আলাদা আলাদা অনুষ্ঠান হয়। গত বছর পর্যন্ত বাংলাদেশের নাম জিএসএ তালিকায় না থাকলেও চলতি বছর এতে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে। যদিও এখনো বাংলাদেশ থেকে কোনো জিএসএ নির্বাচন করা হয়নি। কিন্তু আশা করা হচ্ছে, আগামী বছর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা গুগল জিএসএ হয়ে সার্চ সম্মেলনে অংশ নিতে পারবেন।
জিবিজির জন্য যা ছিল
জিবিজির বিভিন্ন কর্মশালা আয়োজনের জন্য এবং কমিউনিটি গঠনের বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল ‘কমিউনিট ২.০’ নামের একটি অধিবেশন, যেখানে আলোচনা করা হয় কীভাবে একটি নতুন কমিউনিটিকে অনেক অভিজ্ঞ করে তোলা যায়। এখানে বুদ্ধিদৃপ্ত আলোচনার মাধ্যমে বের করে আনা হয় কীভাবে আরও সফল ও নতুন কর্মশালার মাধ্যমে কমিউনিটিকে সুদূরপ্রসারী এবং স্থায়ী করা যায়।
আরও একটি আকর্ষণীয় সেশন ছিল, যেখানে গুগল অ্যাপসের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা চলে, যা ‘গুগল ট্রেনিং রিসোর্স’ নামে পরিচিত। এর মধ্যে একটি হলো গুগল ওয়েব একাডেমি। জিবিজি ঢাকা এই বৈশিষ্ট্যগুলো বাংলাদেশের বিভিন্ন দলের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে আগ্রহী।জিবিজি ঢাকা ২০১৩ সালের প্রথম অংশে প্রথম স্থান অর্জন করার জন্য বিশেষ সম্মাননা পায়।
ম্যাপমেকারদের জন্য ছিল আলাদা অনুষ্ঠান। সেখানে অংশ নেন নয়জন ম্যাপার এবং ম্যাপমেকার দলের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। কীভাবে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে মানচিত্র তৈরি বিষয়ে কর্মশালা আয়োজন করা হয়, কীভাবে ম্যাপ আপ তৈরি করা হয় ইত্যাদি বিষয়ে সেখানে আলোচনা চলে।
আমি নিজে বাংলাদেশে মানচিত্র তৈরির বিভিন্ন অগ্রগতি এবং কিছু নিজস্ব পদ্ধতি প্রদর্শন করি।মানচিত্র তৈরির সীমাবদ্ধতা ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন হাসান সাহেদ। ম্যাপস অ্যাপের ট্র্যাকিং পদ্ধতিটি অন্যান্য দেশের ম্যাপারদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি করে।তাঁরা এই পদ্ধতি তাঁদের নিজ নিজ কমিউনিটিতে বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া ম্যাপিংয়ের বিভিন্ন কারিগরি দিক নিয়ে আলোচনা করেন গুগল কর্মকর্তা আইলিন অ্যাপোলো।
জিডিজির অনুষ্ঠানে গুগল ড্রাইভ বা ডকস ব্যবহার করে কীভাবে সহজেই বিভিন্ন টেমপ্লেটের মাধ্যমে এইচটিএমএল, সিএসএস, সি, সি++, জাভা, জাভা স্ক্রিপ্ট ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ভাষায় প্রোগ্রামিং করা যায়, তা আলোচনা করা হয়।ওয়েবসাইট চালানোর জন্য হোস্টিং ছাড়া কীভাবে গুগল ড্রাইভকে ব্যবহার করতে হয়, তাও দেখানো হয়েছে এ সম্মেলনে।
তিন দিনের এই সম্মেলনে বিভিন্ন আলোচনা, কর্মশালার পাশাপাশি ছিল সাংস্কৃতিক আয়োজন। দ্বিতীয় দিন রাতে আয়োজন করা হয় জমকালো এই অনুষ্ঠানের, যেখানে বিভিন্ন দেশের জিএসএদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠানস্থল হয়ে ওঠে এক আনন্দভুবন। এ ছাড়া ছিল ইন্দোনেশিয়ার নানা ধরনের খাবারের বিশাল আয়োজন এবং আন্তরিক আপ্যায়ন। ছিল সবার জন্য ছোট ছোট গেম, যার মাঝে স্টিকার আদান-প্রদান উল্লেখযোগ্য। এই স্টিকার আদান-প্রদানের মাধ্যমেই প্রত্যেককে ন্যূনতম পাঁচজনের সঙ্গে কথা বলতে হবে এবং এর ফলে নিজেদের মধ্যে একটা বন্ধুত্বও সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া ছিল অ্যান্ড্রয়েডের হারানো কুকুর খুঁজে বের করার মতো মজার গেম। সব মিলিয়ে এই সার্চ সম্মেলন ছিল অভিজ্ঞতা আহরণের খনি। এর মাধ্যমেই গুগলের অন্য দেশের সবার কাছে বাংলাদেশ পরিচয় পেল ভিন্নভাবে, অনেক সম্মানের সঙ্গে।
No comments