সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. এম জহির আর নেই
রখ্যাত আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. এম
জহির আর নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময়)
থাইল্যান্ডের ব্যাংকক জেনারেল হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন
(ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)।
তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে মাল্টিপল মাইলোমা রোগে ভুগছিলেন তিনি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায়
গত ২৭ জুন তাঁকে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যুকালে সহধর্মিণী শাহিদা
জহির ও একমাত্র সন্তান শামস মুনির তাঁর পাশে ছিলেন।
খ্যাতিমান এই আইনজীবীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
ড. জহিরের মৃত্যুর খবরে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সদস্য আপিল বিভাগের চার বিচারপতি এজলাস থেকে নেমে যান। একইভাবে হাইকোর্টের বিচারপতিরাও এজলাস ত্যাগ করেন। দুপুরের বিরতির পর হাইকোর্টের ৫৩টি বেঞ্চের কোনোটিতেই বিচারপতিরা আর বসেননি।
ড. জহিরের মরদেহ আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমানে করে বাংলাদেশে আনা হবে। সেখান থেকে মরদেহ সরাসরি তাঁর ৫০ বছরের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে নেওয়া হবে। সেখানে জুমার নামাজের পর দুপুর আড়াইটায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে মরদেহ তাঁর ধানমণ্ডির বাসভবনে নেওয়া হবে। বাদ আসর ধানমণ্ডির ৭ নম্বর রোডের বায়তুল আমান জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁর লাশ বনানী কবরস্থানে তাঁর বাবা বিচারপতি এম আছিরের কবরে দাফন করা হবে।
দেশের শীর্ষ আইনজীবীরা গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ড. জহিরের মৃত্যু বিচারাঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। এই শূন্যতা বহু দিন বিরাজমান থাকবে। তাঁরা বলেন, ড. জহির মেধা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা ও দক্ষতা দিয়ে আইন পেশার শিখরে উঠেছিলেন। সর্বজন শ্রদ্ধেয় নির্দলীয় এ আইনজীবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দুপুরের পর বিচারকরা যাতে এজলাসে না বসেন সে জন্য সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানানো হয়।
ব্যাংককে অবস্থানরত প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন ড. জহিরের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর মরদেহ দেখতে হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। প্রধান বিচারপতি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলাম। তিনি আরো জানান, ড. জহিরের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা দুপুরের পর এজলাসে বসেননি।
সংক্ষিপ্ত জীবনী : ড. এম জহির ছিলেন কম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ ও এমএ ডিগ্রি লাভ করেন এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি লন্ডন থেকে বার এট ল (ব্যারিস্টার) সনদ অর্জন করেন। ১৯৬৬ সালে লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পানি আইনের ওপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৭৮ সালে সুপ্রিম কোর্টে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। প্রায় ২০ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। ১৯৭৪-৭৫ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
ড. জহিরের বাবা মুহাম্মদ আছির পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ড. জহির আহসানিয়া মিশনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। গত মার্চে ল রিপোর্টার্স ফোরামের স্মরণিকায় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে তিনি ভারতের ভবানীপুরে জন্মগ্রহণ করেন বলে উল্লেখ করেন।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি কামালউদ্দিন ও সুলতানউদ্দিনের পক্ষে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের সঙ্গে আইনজীবী ছিলেন ড. জহির। জীবনের সর্বশেষ মামলায় (রানী ব্র্যান্ডের গুঁড়া মসলাসংক্রান্ত) জিতলেও ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন তিনি। আইন পেশার মতো রসকষহীন এক পেশার মানুষ হয়েও তিনি ছিলেন সংগীতজ্ঞ। ভালো গিটার বাজাতেন। পাশাপাশি স্পোর্টসম্যানও ছিলেন। গুলশান ক্লাব ও ঢাকা ক্লাবের টেনিস কোর্টে নিয়মিত টেনিস খেলতেন তিনি।
বিভিন্ন মহলের শোক
ড. জহিরের মৃত্যুতে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, সিপিবির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হায়দার আকবর খান রনো ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গণফোরামের সভাপতি সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী ও সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ঢাকা, ঢাকা আইনজীবী সমিতি ও জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁরা ড. জহিরের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও লন্ডনে ড. জহির আমার সহপাঠী ছিলেন। পেশাজীবনেও একসঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। কম্পানি আইনে পিএইচডি করেও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ছিলেন তিনি। তিনি সক্রিয়ভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। দেশের মানুষের সুবিচার নিশ্চিত করার আইনি লড়াইয়ে তিনি ছিলেন সামনের সারিতে। তাঁর মৃত্যুতে বিচারাঙ্গনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো তা পূরণ করা কঠিন হবে।'
ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম বলেন, 'আমি ও আমার বন্ধুরা
তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। আমরা একজন প্রতিভাবান আইনজীবীকে হারিয়েছি। সারা জীবন
তাঁর অভাব অনুভব করব। আমরা তাঁর শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।'খ্যাতিমান এই আইনজীবীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
ড. জহিরের মৃত্যুর খবরে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সদস্য আপিল বিভাগের চার বিচারপতি এজলাস থেকে নেমে যান। একইভাবে হাইকোর্টের বিচারপতিরাও এজলাস ত্যাগ করেন। দুপুরের বিরতির পর হাইকোর্টের ৫৩টি বেঞ্চের কোনোটিতেই বিচারপতিরা আর বসেননি।
ড. জহিরের মরদেহ আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমানে করে বাংলাদেশে আনা হবে। সেখান থেকে মরদেহ সরাসরি তাঁর ৫০ বছরের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে নেওয়া হবে। সেখানে জুমার নামাজের পর দুপুর আড়াইটায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে মরদেহ তাঁর ধানমণ্ডির বাসভবনে নেওয়া হবে। বাদ আসর ধানমণ্ডির ৭ নম্বর রোডের বায়তুল আমান জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁর লাশ বনানী কবরস্থানে তাঁর বাবা বিচারপতি এম আছিরের কবরে দাফন করা হবে।
দেশের শীর্ষ আইনজীবীরা গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ড. জহিরের মৃত্যু বিচারাঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। এই শূন্যতা বহু দিন বিরাজমান থাকবে। তাঁরা বলেন, ড. জহির মেধা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা ও দক্ষতা দিয়ে আইন পেশার শিখরে উঠেছিলেন। সর্বজন শ্রদ্ধেয় নির্দলীয় এ আইনজীবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দুপুরের পর বিচারকরা যাতে এজলাসে না বসেন সে জন্য সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানানো হয়।
ব্যাংককে অবস্থানরত প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন ড. জহিরের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর মরদেহ দেখতে হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। প্রধান বিচারপতি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলাম। তিনি আরো জানান, ড. জহিরের প্রতি সম্মান দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা দুপুরের পর এজলাসে বসেননি।
সংক্ষিপ্ত জীবনী : ড. এম জহির ছিলেন কম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ ও এমএ ডিগ্রি লাভ করেন এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি লন্ডন থেকে বার এট ল (ব্যারিস্টার) সনদ অর্জন করেন। ১৯৬৬ সালে লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পানি আইনের ওপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৭৮ সালে সুপ্রিম কোর্টে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। প্রায় ২০ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। ১৯৭৪-৭৫ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
ড. জহিরের বাবা মুহাম্মদ আছির পাকিস্তান হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ড. জহির আহসানিয়া মিশনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। গত মার্চে ল রিপোর্টার্স ফোরামের স্মরণিকায় প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে তিনি ভারতের ভবানীপুরে জন্মগ্রহণ করেন বলে উল্লেখ করেন।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি কামালউদ্দিন ও সুলতানউদ্দিনের পক্ষে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামের সঙ্গে আইনজীবী ছিলেন ড. জহির। জীবনের সর্বশেষ মামলায় (রানী ব্র্যান্ডের গুঁড়া মসলাসংক্রান্ত) জিতলেও ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন তিনি। আইন পেশার মতো রসকষহীন এক পেশার মানুষ হয়েও তিনি ছিলেন সংগীতজ্ঞ। ভালো গিটার বাজাতেন। পাশাপাশি স্পোর্টসম্যানও ছিলেন। গুলশান ক্লাব ও ঢাকা ক্লাবের টেনিস কোর্টে নিয়মিত টেনিস খেলতেন তিনি।
বিভিন্ন মহলের শোক
ড. জহিরের মৃত্যুতে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সাহারা খাতুন, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, সিপিবির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হায়দার আকবর খান রনো ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গণফোরামের সভাপতি সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী ও সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ঢাকা, ঢাকা আইনজীবী সমিতি ও জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁরা ড. জহিরের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও লন্ডনে ড. জহির আমার সহপাঠী ছিলেন। পেশাজীবনেও একসঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। কম্পানি আইনে পিএইচডি করেও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ছিলেন তিনি। তিনি সক্রিয়ভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। দেশের মানুষের সুবিচার নিশ্চিত করার আইনি লড়াইয়ে তিনি ছিলেন সামনের সারিতে। তাঁর মৃত্যুতে বিচারাঙ্গনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো তা পূরণ করা কঠিন হবে।'
ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান বলেন, 'তাঁর মৃত্যু আইন অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমরা একজন গুণী, দক্ষ আইনজীবী হারালাম। ৫০ বছর ধরে আইন অঙ্গনে বিচরণ করেছেন এবং দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।'
No comments