পিএসসির ভুলের মাশুল কেন পরীক্ষার্থীরা দেবেন? ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষা
বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি)
দায়িত্ব পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য ও মেধাবী প্রার্থী বাছাই করে সরকারি শূন্য
পদে পদায়ন, বিভিন্ন কায়দা-কৌশলে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া নয়। কিন্তু অর্পিত
দায়িত্ব পালনে প্রতিষ্ঠানটি যে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে, তা এখন
দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
বিসিএস প্রশ্নপত্র ফাঁস, মৌখিক পরীক্ষায় দলীয় লোকদের নম্বর বেশি দেওয়া পিএসসির পুরোনো ব্যাধি বলেই অনেকে মনে করেন।
এবার পিএসসি ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে যে কাণ্ড করেছে, তাতে তাদের কাণ্ডজ্ঞান নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। অস্বীকার করার উপায় নেই যে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ক্ষুব্ধ হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। আগে যে পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হতো, তাতে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হতো। অর্থাৎ, পরীক্ষার্থীকে চাকরি পেতে হলে পরীক্ষার সব ধাপ পেরিয়েই যেতে হতো। কিন্তু এবার প্রিলিমিনারিতেই কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের কারণে একজন সাধারণ প্রার্থী ৮০ পেয়েও উত্তীর্ণ হতে পারেননি। আবার বিশেষ কোটায় ৫০ নম্বর পেয়েও উত্তীর্ণ হয়েছেন। এই চরম অন্যায় মানতে পারেননি বলেই মেধাবী পরীক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন। পিএসসি বলেছে, আগের পদ্ধতিতে অনেক কোটার পদ শূন্য থাকত বলেই নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। শূন্য কোটা পূরণের জন্য ভিন্ন উপায় বের করা যেতে পারে। বিকল্প তালিকা হতে পারে। কিন্তু পিএসসি পাসা করাদের ফেল এবং ফেল করাদের পাস করাতে পারে না।
ফল প্রকাশের পর গত দুই দিনে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে পরীক্ষার্থীরা যে সংক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, তার দায় পিএসসিকেই নিতে হবে। এমনিতেই বিসিএস পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ আছে। পিএসসির অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত সেই ক্ষোভকে আরও উসকে দিয়েছে।
আমরা মনে করি, স্বাধীনতার ৪২ বছর পর বিসিএসের বর্তমান কোটা পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। কেননা, কোটা পদ্ধতির লক্ষ্য ছিল সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামনে এগিয়ে আনা। কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়ে মেধাবী পরীক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা যাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পিএসসি বিসিএস চাকরিতে কোটা পদ্ধতির পুনর্বিন্যাসের যে উদ্যোগ নিয়েছিল, তা বাস্তবায়িত হলে পরীক্ষার্থীদের যেমন রাস্তায় নামতে হতো না, তেমনি জনপ্রশাসনের দক্ষতা-যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হতো না।
তবে আন্দোলনের নামে রাস্তা বন্ধ কিংবা গাড়ি ভাঙচুর করার বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদ করতে সমস্যা কোথায়? জনজীবন ব্যাহত হয় এমন কোনো কর্মসূচি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা রাষ্ট্রের জনপ্রশাসনের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী, তাদের কাছ থেকে দেশবাসী বিশৃঙ্খলা নয়, দায়িত্বশীল আচরণই প্রত্যাশা করে।
এবার পিএসসি ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে যে কাণ্ড করেছে, তাতে তাদের কাণ্ডজ্ঞান নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। অস্বীকার করার উপায় নেই যে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের ক্ষুব্ধ হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। আগে যে পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হতো, তাতে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হতো। অর্থাৎ, পরীক্ষার্থীকে চাকরি পেতে হলে পরীক্ষার সব ধাপ পেরিয়েই যেতে হতো। কিন্তু এবার প্রিলিমিনারিতেই কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের কারণে একজন সাধারণ প্রার্থী ৮০ পেয়েও উত্তীর্ণ হতে পারেননি। আবার বিশেষ কোটায় ৫০ নম্বর পেয়েও উত্তীর্ণ হয়েছেন। এই চরম অন্যায় মানতে পারেননি বলেই মেধাবী পরীক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন। পিএসসি বলেছে, আগের পদ্ধতিতে অনেক কোটার পদ শূন্য থাকত বলেই নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। শূন্য কোটা পূরণের জন্য ভিন্ন উপায় বের করা যেতে পারে। বিকল্প তালিকা হতে পারে। কিন্তু পিএসসি পাসা করাদের ফেল এবং ফেল করাদের পাস করাতে পারে না।
ফল প্রকাশের পর গত দুই দিনে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে পরীক্ষার্থীরা যে সংক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, তার দায় পিএসসিকেই নিতে হবে। এমনিতেই বিসিএস পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ আছে। পিএসসির অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত সেই ক্ষোভকে আরও উসকে দিয়েছে।
আমরা মনে করি, স্বাধীনতার ৪২ বছর পর বিসিএসের বর্তমান কোটা পদ্ধতি নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। কেননা, কোটা পদ্ধতির লক্ষ্য ছিল সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামনে এগিয়ে আনা। কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়ে মেধাবী পরীক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা যাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পিএসসি বিসিএস চাকরিতে কোটা পদ্ধতির পুনর্বিন্যাসের যে উদ্যোগ নিয়েছিল, তা বাস্তবায়িত হলে পরীক্ষার্থীদের যেমন রাস্তায় নামতে হতো না, তেমনি জনপ্রশাসনের দক্ষতা-যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হতো না।
তবে আন্দোলনের নামে রাস্তা বন্ধ কিংবা গাড়ি ভাঙচুর করার বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদ করতে সমস্যা কোথায়? জনজীবন ব্যাহত হয় এমন কোনো কর্মসূচি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা রাষ্ট্রের জনপ্রশাসনের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী, তাদের কাছ থেকে দেশবাসী বিশৃঙ্খলা নয়, দায়িত্বশীল আচরণই প্রত্যাশা করে।
No comments